Notification texts go here Contact Us Buy Now!

The power episode 21

 The Power,,S1


লেখকঃ- Amran Hossain 


পর্বঃ- ২১


নিয়ন এবং তাঁর টিম মেম্বার সবাই এখন স্নো কিংয়ের এলাকায় একটি তাবুতে অবস্থান করছিলো। দ্বীপক এবং আকাশ প্রথম দুই ঘন্টা জেগে থাকার পরে এখন তাঁরা ঘুমোতে গিয়েছে। নিয়ন এবং হ্যারি দুইজনে এবার তাবুর সামনে বসে পাহারা দিচ্ছিলো। আমরা যদি তাবুর ভিতরে লক্ষ্য করি তবে আমরা দেখতে পাই দ্বীপক এক সাইডে এবং আকাশ এক সাইডে ঘুমিয়ে আছে। আমরা দেখতে পাই দ্বীপকের সারা শরীর ঘাঁমতে শুরু করেছে এই ঠান্ডার মাঝেও।


আমাদের সিন পরিবর্তন হয়ে যায় তখন আর আমরা দ্বীপককে দেখতে পাই সে ঘুম থেকে উঠে তাবুর বাহিরে বের হয়ে আসে তবে আজব ব্যাপার হলো তাঁকে নিয়ন কিংবা হ্যারি দুইজনের একজনও দেখতে পেলো না। 


দ্বীপক ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেই ফরেষ্টের দিকে। সেই সময় বৃদ্ধটি তাঁকে সে যেতে পথ আটকালেও এখন এখানে কেউই ছিলো না আর তাঁর চেয়েও বড় কথা দ্বীপককে কেউই দেখতে পাচ্ছিলো না। এতোক্ষন দ্বীপকের শরীর সাধারন ভাবে থাকলেও তা এখন ফরেষ্টে প্রবেশ করার সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। দ্বীপকের গায়ে যে পোশাক ছিলো তা হালকা সবুজ রং ধারন করেছে যা মূলত উইন্ড এনার্জি ছিলো। এই জায়গায় প্রচুর পরিমানে এনার্জি জমা হয়ে রয়েছে যা চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। 


>- আমার কাছে সময় বেশি নেই আমার সোল যদি বেশিক্ষন শরীরের বাহিরে থাকে তবে আমি আর শরীরে প্রবেশ করতে পারবো না। সত্যি বলতে হবে নীলার স্পেল গুলো অনেক ইউনিক,,, ( দ্বীপক ভাবছে ) 


দ্বীপক ঘুমানোর চেষ্টা করার পরেই বুঝতে পারে সে ধীরে ধীরে শরীরের বাহিরে বের হয়ে আসছে, এই পাওয়ারটি সে কয়েকদিন উপলব্ধি করতে পেরেছে। দ্বীপক এখন পাওয়ারের দিক থেকে হিসেব করলে এখানে পাওয়ার ম্যাজিশিয়ানের দ্বিতীয় লেভেলে আছে। এই টুনামেন্টে জয়েন করার কিছু দিন পূর্বে সে পাওয়ার ম্যাজিশিয়ান লেভেন ওয়ান থেকে লেভেল দুইয়ে পৌছেছে। এই একাডেমিতে শুধু সোর্ডস ম্যান ম্যাজেশিয়ান এবং পাওয়ার ম্যাজিশিয়ান রয়েছে। পাওয়ার ম্যাজিশিয়ানদের ব্যাপারটা আলাদা কারন তাঁরা একি সাথে বিভিন্ন ধরনের শক্তিশালী স্পেল এবং সোর্ডস স্কিল ব্যবহার করতে পারে। কিন্ত সোর্ডস ম্যানেরা শুধু সোর্ডস স্কিলই ব্যবহার করতে পারে তবে এই নয় যে তাঁরা দুর্বল। সোর্ডস ম্যানদের বিভিন্ন লেভেল রয়েছে যা পাওয়ার ম্যাজিশিয়ানদেরও ছাড়িয়ে যায়। বিশেষ কিছু স্টোনের মাধ্যমে পাওয়ার ম্যাজিশিয়ানরা তাঁদের লেভেল সম্পর্কে জানতে পারে তবে স্টোন ছাড়াও জানা যায় কিচু ব্যাক্তির ক্ষেএে। দ্বীপক এখন যেই ফর্মে আছে তা স্পিরিট ফর্ম যা মূলত নীলার থেকে পেয়েছে সে। একজন ব্যাক্তির যদি স্পিরিট পার্টনার থাকে তাহলে সেই ব্যাক্তি সেই স্পিরিটের কিছু পাওয়ার ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু সেটা তখনই সম্ভব হবে যখন স্পিরিট তাঁর পাওয়ার শেয়ার করার জন্য রাজি থাকবে। 


দ্বীপক তাঁর চারদিকে প্রচুর পরিমানে উইন্ড এনার্জি সেন্স করতে পারছিলো তখন তাঁর মাথায় একটি বুদ্ধি আসে। সে যদি এই আশে পাশের উইন্ড এনার্জি গুলোকে কন্টোল করতে পারে তবে সে নিজের এনার্জি গুলো দিয়ে যে কোনো কিছু তৈরি করতে পারবে। দ্বীপক সেই জায়গায় মেডিটেশনে বসে পড়লো চোখ বন্ধ করে, কিছুক্ষনের মধ্যেই আশে পাশের অনেক গুলো এনার্জি দ্বীপকের চারপাশে এসে ঘুরতে লাগলো। দ্বীপক বুঝতে পারলো সে এখনো এত টুকু এনার্জিই কন্টোল করতে পারবে তাই সে মেডিটেশন থেকে উটে যায় এবং তাঁর দুই হাত এনার্জি গুলোকে চারদিকে ঘুড়াতে লাগলো। চারদিকে ঘুড়াতে ঘুড়াতে এনার্জি গুলোকে একটি ফুটবলের আকার দিলো,ফুটবলের আকার তৈরি করার পরেই বলটির চারদিকে একটি ছোট ব্যারিয়ার তৈরি করলো যাতে বলটিতে থাকা এনার্জি বের হয়ে না যায়। এরপর এনার্জি বলটিকে আকাশের দিকে ছুড়ে মারলো যার ফলে বলটি অনেক স্পিডে উপরে উঠে আবার নিচে পতিত হতে শুরু করে। বলটি বরাবর দ্বীপকের দিকেই আসছিলো, দ্বীপক বলটি বরাবর তাঁক করে তার ডান হাত পান্স জন্য প্রস্তুত করে যখন বলটি তাঁর শরীরের উপরে পড়বে তখন সে বলটিতে একটি পান্স মেরে বসে যার ফলে বলটিতে থাকা ব্যারিয়ারের একপাশ ভেঙে তাঁর হাত ভিতরে আটকে যায় এবং বলটিতে থাকা এনার্জি ডান হাতে মধ্য দিয়ে তাঁর সারা শরীরে বয়ে যায়। দেখতে দেখতে সস্পর্ন এনার্জির দ্বীপকের সারা শরীরে এসে যায় আর ব্যারিয়াটিও গায়েব হয়ে যায়। দ্বীপকের শরীরের উপর দিয়ে সব গুলো এনার্জি ঘুড়ে বেরাচ্ছে, মুলত দ্বীপক এনার্জি গুলোকে অবর্জোব করছিলো না বরং সে এনার্জি গুলোকে তাঁর শরীরের উপর দিয়ে চ্যানেল করিয়ে কিছু একটা তৈরি করতে চাচ্ছে,, 


>- দেখা যাক বইটিতে লেখা প্রসেস অনুযায়ী চান্টিং কাজ করে কিনা?,,,( দ্বীপক ) 


দ্বীপক তাঁর দুই হাতকে মুষ্টিবদ্ধ করলো, চোখ বন্ধ করে একটি চান্টিং পড়া শুরু করে। তাঁর শরীরের উপরে থাকা এনার্জি গুলো এবার ধীরে ধীরে তাঁর পিঠের দিকে যেতে শুরো করলো। দ্বীপকের পিঠে এখন এনার্জি গুলো একটি ডানার রুপ নিতে শুরু করেছে, মূলত দ্বীপক এতোক্ষন ডানা তৈরির প্রসেস ব্যবহার করছিলো যাতে সে তাড়াতাড়ি প্যালেসে পৌছাঁতে পারে কিন্তু সে বুঝতে পারে নিই এতোক্ষন লাগবে। দ্বীপকের পিঠের দিকে এখন অনেক উজ্জ্বল দেখাচ্ছে যার ফলে সেখানে কি হচ্ছিলো কিছুই বুঝা যাচ্ছিলো না। দ্বীপের পিঠে দুটো ঘূর্ণন দেখা যাচ্ছে বায়ুর, যা প্রচন্ড শক্তিতে ঘুরে চলেছে। দ্বীপক তাঁর দুই হাতকে ছেড়ে দিয়ে মাটিতে বসে তাঁর দুই পায়ে এনার্জি চ্যানেল করিয়ে একটি লাফ দেয় যার ফলে সে মাটি থেকে অনেকটা উপরে উঠে যায়, কিছুটা উপরে উঠেই সে আবার মাটিতে পতিত হতে শুরু করে আর মাটিতে পরার পরেই সে মাটিতে একটি পান্স মারে যার ফলে সেখানে ধূলো উড়তে থাকে। দ্বীপক মূলত সারা শরীরে এনার্জি চ্যানেল করিয়ে ছিলো দুই কারনে। প্রথম কারন হলো বর্তমানে সে তাঁর শরীরের মাঝে নেই কিন্তু চান্টিং সম্পর্ন করার জন্য শরীরের প্রয়োজন তাই সারা শরীরে এনার্জি চ্যানেল করিয়ে তাঁর শরীরের কৃত্রিম আকৃতি তৈরি করেছে আর দ্বিতীয় কারটি হলো ডানা তৈরি করা। উইংস অফ দ্যা উইন্ড তৈরি করার জন্য প্রচুর এনার্জি প্রয়োজন যা এখানে পর্যাপ্ত ছিলো। চারদিকের ধূলো দূর হওয়ার পরে আমরা দ্বীপককে দেখতে পাই যে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে, তবে দ্বীপকের পিছনে দুটি ডানা দেখা যাচ্ছে যা উইংস অফ দ্যা উইন্ড ছিলো। 


>- উইংস অফ দ্যা উইন্ড তৈরি করতে সফল হয়েছি কিন্তু এখনো এটিকে তাঁর আসল ফর্মে আনতে পারি নিই। আমি যদি এভাবে ডানা নিয়ে আর কিছুক্ষন থাকি তবে এখানেই মারা যাবো এখনই আমাকে ফিরে যেতে হবে। ড্রাগন প্যালেস একদিন তোমার সব রহস্য আমি বের করে ছাড়বো আপাতত যেতে হবে আমাকে,,,, ( দ্বীপক ) 


দ্বীপক মাটিতে হাঁটুকে ভাজ করে বসলো,সে এখনো ডানা গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলো না আর এই দিকে তাঁর এনার্জি প্রচুর পরিমানে ড্রেইন হচ্ছে যা ডানা গুলোকে রাখার কাজে ব্যবহার হয়ে যাচ্ছে। দ্বীপক মাটিতে হালকা বসে তাঁর হাঁটুতে এনার্জি চ্যানেল করিয়ে একটি লাফ দিলো। এনার্জি চ্যানেল করানোর ফলে সে মাটি থেকে অনেকটা উপরে উঠে আবার পরে যেতে শুরো করে তখনো সে ডানা কে কন্টোল করতে পারছিলো যার ফলে সে ঘুরপাক খেতে খেতে মাটিতে পড়তে লাগলো। মাটিতে পড়ার একটু আগেই একটি মায়াবি রশ্মি এসে তাঁর পা বেঁধে ফেলে যার ফলে সে বেঁচে যায় কিন্তু হঠাৎ পায়েন টান লাগার ফলে সে ভিষন ব্যাথায় কাঁতরাতে থাকে তখন আবার তাঁর মনে হলো তোর সোল আর এখানে থাকতে চাচ্ছে। কিছু একটা প্রচন্ড শক্তিতে তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাঁর বডির থেকে, অনেক স্পিডে এসে দ্বীপক তাঁর বডির উপরে পড়ে আর সাথে সাথে লাফ দিয়ে উঠে পড়ে। তাঁর সোল প্রবেশ করেছে তাঁর বডিতে। দ্বীপক হাঁপাচ্ছে তখনো, সে যখন সামনে তাকাঁলো তখন একটি সাদা কাঁপড় পরা মেয়েকে দেখতে ফেলো যে বায়ুতে ভেসে আছে। মেয়েটিকে দেখে দ্বীপক অবাক হয়ে তাঁকিয়ে আছে সামনের দিকে,,,,,, 



,,,,,,,,,,,


,,,,,,


,,,,


,,


( আমি জানি আজকে ছোট হয়েছে,,, পরের পর্ব বড় করে দিবো ) 


To Be Continued 



Getting Info...

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.