লেখকঃ- #Amran_Hossain
পর্বঃ- ১৩
স্যার জ্যামস ১৭ জন স্টুডেন্টকে নিয়ে চারটি টিম তৈরি করেছে মন্সটার হত্যা করার জন্য, মূলত এখানে হত্যা করাটাই মূল লক্ষ ছিলো না। স্টুডেন্ট গুলোকে বাস্তবে ট্রেনিং দেওয়াটাও ছিলো মূল উদ্দেশ্য স্যার জ্যামসের, চারটি টিম ফরেষে্টের চারদিকে ছড়িয়ে গেছিলো। তবে কিছু একটা খারাপ ঘটারই ছিলো তাঁদের সাথে, স্যার জ্যামস নিজের জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পরে অন্য স্যারের সাথে টেরিপ্যাথিক ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করতে শুরু করুন তবে তা কোনো ভাবেই সম্ভব হচ্ছিলো। স্যার জ্যামস যখন উঠে দাঁড়ালো আর চারপাশে দেখলে লাগলো তখনই তিনি বুঝতে পারলেন এখানে কি হয়েছে,অনেক গুলো গোবলিন স্যার জ্যামসের চারদিকে দাঁড়িয়ে আছে। এখানে ওনার কিছুই করার ছিলো না,,
>- এরা কোনো ভাবেই সাধারন গোবলিন হতে পারে না আর গোবলিন এতটা চালাক কিভাবে হলো নিশ্চয়ই এখানে কোনো গোলমাল রয়েছে,,,, ( স্যার জ্যামস ভাবছে )
আমরা যদি এখন নিয়নের টিমের দিকে লক্ষ করি তবে আমরা দেখতে পাই তাঁরা একটি বিপদের মাঝে পড়েছে। অনেক গুলো নেকড়ে তাঁদের চারদিক থেকে ঘিরে ধরে রেখেছে, সবাই নিজ নিজ অবস্হান থেকে প্রস্তুত হচ্ছিলো ফাইট করার জন্য। আকাশ একটি এনার্জি স্টোন থেকে মানা এনার্জি এবর্জোব করছিলো, প্রথম দুটি ম্পেলই তাঁর মানা এনার্জি প্রচুর শেষ করে দিয়েছে যার ফলে তাঁর যতেষ্ট পরিমান এনার্জি ছিলো না ফাইট করার,নিয়ন চারদিক থেকে একটি ব্যারিয়ার তৈরি করে রেখেছে যা অনবরত তাঁর এনার্জিকে শেষ করে দিচ্ছিলো,মাইশাও নিয়নকে সাহায্য করার জন্য ব্যারিয়ারে এনার্জি প্রয়োগ করা শুরু করে,,,
>- এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মধ্যে কেউই বাঁচবে না, আমাদের তাড়াতাড়ি কিছু একটা করতে হবে,,,, ( নিয়ন )
একটা দুইটা নেকড়ে হলে কবেই তাঁদের কে শেষ করা যেতো তবে এখানে রয়েছে একটি নেকড়ের দল, যারা ধীরে ধীরে চারদিক থেকে ঘিরে আসছিলো,,
>- আমি এই জায়গার আশে পাশে থেকে একটি প্রচন্ড শক্তিশালী ডিম্যানিক এনার্জি অনুভব করতে পাচ্ছি, আমাদের দিকেই এগিয়ে আসছে দুটি ডিম্যানিক বিষ্ট,,, ( ঐশী )
ঐশীর কথায় সবাই আরো ভয় রয়েছে কারন দুটি শক্তিশালী বিষ্ট এগিয়ে আসছে যাদের ভয় হয়তো নেকড়ে গুলো চলে যাবে কিন্তু তাঁর চেয়েও বড় বিপদ হতে যাচ্ছে এই বিষ্ট গুলো,এক একটা সাধারন বিষ্ট হত্যা করতেই অনেক গুলো মানুষের প্রয়োজন পড়ে আর সেখানে তো দুটি শক্তিশালী বিষ্টের কথা বলছে, ঐশীর কথা অনুযায়ী বিষ্ট গুলো এই দিকেই এগিয়ে আসছে নেকড়ে গুলো তা বুঝতে পেরে সেখান থেকে পালাতে শুরু।
>- আজকেই আমাদের শেষ দিন হতে যাচ্ছে, আমি তোমাদের খুব মিস্ করবো,,,, ( আকাশ )
>- রাখ তোর মিস্ করা দ্বীপক কোথায়?,,, ( মাইশা )
মাইশার কথা শুনে সবাই দ্বীপককে খুজতে লাগলো যে সবার পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলো, দ্বীপক ব্যারিয়ারটিতে তাঁর দুই হাত দিয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে কিছু একটা করছিলো যা দেখতে পেয়ে নীয়ন তাঁকে একটি ঘুষি মারে যার ফলে দ্বীপক ব্যারিয়ার থেকে ছিটকে বেরিয়ে যায়।
>- তুই কেনো দ্বীপককে ব্যারিয়ার থেকে বের করে দিলি, এখন আমাদের সবাইকে একসাথে থাকা উচিত,,, ( মাইশা )
>- দ্বীপক ব্যারিয়ার থেকে এনার্জি অবর্জোব করছিলো যার ফলে আমরা দুইজন মিলেও ব্যারিয়াটিকে ধরে রাখতে পারছিলাম না,,,,( নীয়ন )
মাইশা নিয়নের উপরে রেগে গিয়ে ব্যারিয়ারে নিজের এনার্জি সাপ্লাই দেওয়া বন্ধ করে দেয় আর ঠিক তখনই একটি বিষ্ট এসে ব্যারিয়ারে আঘাত করে যার ফলে ব্যারিয়ারটি অনেক জায়গা থেকেই ভেঙে যেতে শুরু করে। বিস্ট গুলো দেখতে অনেকটা দেখতে গরিলার মতো হলেও তা ছিলো গরিলার চেয়ে দ্বিগুণ বেশি বড়,সাধারন গরিলারা এনার্জি ব্যবহার করতে পারে না আর এই দিকে এই গরিলা গুলোর ডিফেন্স এবং স্পিড অন্যান্য গরিলা থেকে বেশি ছিলো। যার ফলে এদের এতো তাড়াতাড়ি ঘায়েল করা সম্ভব হবে না,এখানে একটি গরিলা হলে তবুও চেষ্টা করা যেতে কিন্তু এখানে একের অধিক বিস্ট রয়েছে। এতোক্ষন আকাশ এবং ঐশী দাঁড়িয়ে থাকলেও এবার তাঁরাও ব্যারিয়ারে নিজেদের এনার্জি সাপ্লাই দিতে থাকে যার ফলে ব্যারিয়ারটি ভেঙে যাওয়া অংশ গুলো পুনরায় ঠিক হতে শুরু করে। এবার বিষ্ট দুটো একসাথে ব্যারিয়ারে পান্স মারা শুরু করে যার ফলে ব্যারিয়াটিকে আর ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছিলো না বলে তাঁরা এনার্জি সাপ্লাই দেওয়া বন্ধ করে দেয় যার ফলে ব্যারিয়ারটিও গায়েব হয়ে যায়,,,
>- আমাদের এখন আর ফাইট করা ছাড়া কোনো উপায় নেই আজকে হয়তো মরবো না হয় মারবো,,, ( নিয়ন )
নিয়ন নিজের সোর্ড নিয়ে একলাফে বিষ্টের কাছাকাছি পৌছে ঠিক তখন অন্য আরেকটি বিষ্ট নিয়নকে হাতের মুঠোয় ধরে নেয় আর প্রচন্ড গতিতে মাটিতে আচঁড়ে মারে যার ফলে নিয়ন মাটির ভিতরে কয়েক ভিতরে ডুকে যায়, সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে প্রচন্ড রক্তক্ষরনের জন্য। মাইশা যখন এট্যাক করতে যাবে তখন আকাশ তাঁকে পালাতে বলে কিন্তু সে রাজি হয় নিই তাই আকাশ আর ঐশীও যায় নিই। মাইশা প্রথমবারের মতো নিজের সোর্ড বের করে অনেক পুরোনো একটি সোর্ড এটি যা দেখেই বুঝা যাচ্চিলো, মাইশা কিছু করার আগেই বিষ্ট দুটি তাঁদের দুই হাতকে একএ করে ফেলে আর সেখানে প্রচন্ড পরিমানে ডিম্যানিক এনার্জি চ্যানেল করছিলো যা সরাসরি মাইশা তাঁর সোর্ড দিয়ে আটকাচ্ছিলো কিন্তু তা বেশিক্ষন পারলো তাঁর সোর্ড অতিরিক্ত এনার্জি গ্রহন না করতে পেরে সেখানেই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় আর সমস্ত এনার্জি এসে মাইশাদের শরীরে পরে, তাঁরা এতো এনার্জির চাপ না নিতে পেরে সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তবে বিষ্ট গুলো তখনো থামার নামই নিচ্ছিলো না। বিষ্ট গুলো তখন এনার্জি চ্যানেল করা বন্ধ করতে চাচ্ছিলো কিন্তু কোনো ভাবেই তা সম্ভব হচ্ছে না, অবশেষে তাঁরা সেখানে একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো যে আর কেউ নয় বরং সে ছিলো দ্বীপক যে এতোক্ষন ধরে বিষ্ট গুলোর এনার্জি অবর্জোব করেই চলেছে,,,,,
>- আমি এনার্জিকে ভালোবাসি,,, ( দ্বীপক )
বিষ্ট গুলো নিজেদের এনার্জিকে চ্যানেল করানো কোনো ভাবেই বন্ধ করতে পাচ্ছিলো না তাঁরা হাঁটু গেরে বসে পড়ে,ঠিক তখনই কোথাও থেকে একটি বড় পাথর এসে আঘাত করে দ্বীপককে যার ফলে দ্বীপক অনেকটাই দূরে গিয়ে পড়ে আর পাথরটি তাঁর উপরে পড়তে চাচ্ছিলো তবে দ্বীপকই পাথরটিতে ঘুষি মারে যার ফলে পাথরটি ভেঙে চুরমুচর হয়ে যায়। বিষ্টটি তাঁর সমস্ত স্পিড ব্যবহার করে যার ফলে তাঁর চারদিক অনেকটা স্লো হয়ে যায় অথাৎ সময় ধীরে ধীরে চলতে শুরু করেছে,বিষ্টটি এসে দ্বীপকের মুখে পান্স মারে যার ফলে দ্বীপক আরো অনেকটা দূরে গিয়ে পড়ছিলো কিন্তু সে মাটিতে দুই হাত গেঁথে দেয় যার ফলে সে বেশি একটা দূরে যায় নিই কিন্তু তাঁর দুই হাত থেকে প্রচন্ড পরিমানে ব্লাড লস হচ্ছিলো যা এই স্পিডকে বন্ধ করতে গিয়ে হয়েছে,,,
>- মাইর খেতে ভালোই লাগে অনেক দিন খাই না, দেখি আজকে আমাকে রাগাতে পারো কিনা?,,,,, ( দ্বীপক )
দ্বীপক হাসি মুখেই আবার উঠে দাঁড়িয়েছে, বিস্টটি তা দেখতে পেরে আবারো ছুটে আসে এবং প্রটন্ড শক্তিকে একটি পান্স মারে দ্বীপকের বুকে যার ফলে দ্বীপক প্রায় এক দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছে,তাঁর নাক মুখ থেকে প্রচুর পরিমানে রক্ত বের হচ্ছিলো,তাঁর বুকের কযেকটি হাঁরও ভেঙে গিয়েছে যার ব্যাথা দ্বীপক সহ্য করতে পারছিলো কিন্তু তাঁর মুখে জেনো হাসি লেগেই রয়েছে। তাঁর রক্ত বমিও শুরু হয়ে যায় কিছুক্ষন পরে,,,
>- আমার মনে হচ্ছে স্পেলটি প্রয়োগ করার সময় হয়ে এসেছে,,, ( দ্বীপক ভাবছে )
দ্বীপক ব্যাথায় এখন উঠে দাঁড়াতেও পারছিলো না, সে বুঝতে পারছিলো কিছুক্ষনের মাঝে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলবে। দ্বীপকের কোর এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠে নিই যে সে একসাথে অনেক গুলো স্পেল ব্যবহার করতে পারবে। ব্যারিয়ার থেকে এবং বিস্ট গুলো থেকে অনেক মানা এনার্জিই সে অবর্জোব করেছে স্পেলটি ব্যবহার করার জন্য, অনেক শক্তিশালী স্পেল এটি যার ফলে অনেক মানা এনার্জির প্রয়োজন ছিলো যা সে পর্যাপ্ত পরিসানে অবর্জোব করেছে।
ভেন্টাস ওইন্ড টর্নেডো
দ্বীপক একটি স্পেল ব্যবহার করেছে যা ধীরে ধীরে একটি টর্নেডো তৈরি করেছে, টর্নেডো বড় হতে হতে একসময় আশে পাশের সব কিছুকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে শুরু করে। দ্বীপক তাঁর কোরের শেষ এনার্জি টুকু দিয়ে অনেক এয়া ব্লেড তৈরি করে যা সেই টর্নেডোর ভিতরে প্রবেশ করে, টর্নেডোর ভিতরে প্রবেশ করা সব কিছু সেই এয়ার ব্লেড কাঁটতে শুরু করে। টর্নেডোটি ধীরে ধীরে বিস্ট গুলোকে আকর্ষন করতে থাকে,বিস্ট গুলো পালাতে চেয়েছিলো কিন্তু টর্নেডো সব কিছুকেই তাঁর দিকে টান ছিলো যার ফলে বিস্ট গুলো উরে এসে টর্নেডোর ভিতরে পড়ে যায়। এয়ার ব্লেড গুলো টর্নেডোর ভিতরে থাকা সব কিছুই কাঁটতে ছিলো, হাজার হাজার ছোট ছোট এয়ার ব্লেড একি সাথে বিস্ট গুলোর শরীরে কাঁট দিতে শুরু করে। প্রথমে বিস্ট গুলোর ডিফেন্স বেশি থাকলেও তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে এক সময় দেখা যায় এয়ার ব্লেড বিস্ট গুলোর শরীর কে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। দ্বীপক আর নিজের চোখ খোলা রেখে স্পেলটিকে ধরে রাখতে পারছিলো না, একদিকে তাঁর ব্লাড লস হচ্ছিলো আর অন্যদিকে তাঁর কোরের এনার্জি প্রায় অনেকটাই শেষ। দ্বীপক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সেখানে পড়ে যায় আর স্পেলটি ক্যান্সেল হয়ে যায়, স্পেলটি ক্যান্সেল হওয়ার সাথে সাথে টর্নেডোটি ব্লাস্ট হয়ে যায় যা চারদিকে প্রচন্ড শব্দের সৃষ্টি করে। এই শব্দের উৎস খুজতে চলে আসে সেই জায়গায় গোবলনি,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,
,,,,,,
,,
,,
To Be Continued