Notification texts go here Contact Us Buy Now!

The power episode 16

 The Power 


লেখকঃ- Amran Hossain 


পর্বঃ- ১৬


দেখতে দেখতে একমাস কেঁটে যায়। কিভাবে সময় চলে গেছে কেউই বুঁঝে উঠতে পারে নিই। এই একমাসের মাঝে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এই মাসে দ্বীপক সারা দিন রাত ট্রেনিংয়ের মাঝেই কাঁটিয়েছে নিজের কোর বৃদ্ধি করার জন্য। অবশ্য কিছুটা সফলও হয়েছে, এখন সে অনেক স্পেলই ব্যবহার করতে পারে।সাধারনত একজন ব্যাক্তি তাঁর কোর তিন ভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। প্রথমত নিজের শরীরকে শক্তিশালী করে কোর বৃদ্ধি করা যায় এবং দ্বিতীয়ত এনার্জি স্টোন অবর্জোব করার মাধ্যমে আর সব শেষে কাল্টিবেশনের মাধ্যমে। দ্বীপক এর মাঝে প্রথম দুইটাকে বেচে নিয়েছে। কাল্টিবেশনের মাধ্যমে কোর বৃদ্ধি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয় কিন্তু তাঁর কাছে ততটুকু সময় ছিলো না যে সে তৃতীয়টি বেঁচে নিবে। 


স্যার জ্যামস দ্বীপককে এই ব্যাপারে অনেক সাহায্য করেছে। তাঁর যতো গুলো স্টোন প্রয়োজন ছিলো তাঁর সবই স্যার জ্যামস স্রাপ্লাই দিয়েছে। দ্বীপক এখন একটি আর্থ গোলেমের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, আর্থ গোলেমটি স্যার জ্যামসের তৈরি। দ্বীপক নিজের চারপাশের এয়ার কে অনুভব করতে লাগলো চোখ বন্ধ করে। নিজের দুই হাতকে বুকের কানে এনে বাম হাতের উপরে ডান হাতটি দিয়ে ধীরে ধীরে ডান হাতটি উপরে তুলতে শুরু করে। এখানে একটি সবুজ রংয়ের গোল সার্কেল তৈরি হতে শুরু করে সবুজ আকৃতির। সার্কেলটি ধীরে ধীরে একটি সোর্ডের রুপ নেয় আর দ্বীপক সোর্ড নিয়ে একসাথে অনেক গুলো এয়ার স্লাইস দিতে শুরু করে গোলেমটির দিকে। অনেক গুলো ওয়েব গোলেমটির দিকে এগিয়ে যায় আর সেই সাথে অনেক জোরে একটি শব্দ করে গোলেমটি ধংস হয়ে যায়।


>- বলতে হবে স্যার জ্যামসের দেওয়া এই সোর্ড অনেক শক্তিশালী। ওনি বলেছিলেন এই সোর্ড এই একাডেমিরই কোথায় পেয়েছিলেন, অবশ্য সেই জায়গাটা আমি চিনি আর আজকে রাএেই সেখানে যাবো,,  ( দ্বীপক ভাবছে ) 


দ্বীপক গোলেমটির দিকে তাঁকিয়ে কথা গুলো ভাবছিলো তখন কেউ একজন তাঁর নাম ধরে ডাকায় সে তাঁর সেন্সে ফিরে আসে। পিছনে ফিরে তাঁকিয়ে দেখে আকাশ দাঁড়িয়ে আছে। এই আকাশ ছেলেটার সাথে দ্বীপকের এই এক মাসের মাঝেই বন্ধুত্ব হয়ে যায়। যদিও দ্বীপক প্রথমে চাচ্ছিলো না বন্ধুত্ব করতে কিন্তু কিভাবে জেনো সে তাঁর সাথে বন্ধুত্ব করেই পেলে।


>- আজকে আমাদের সবাইকে এরিনায় যেতে হবে। সেখানে আমাদের মধ্য থেকে পাঁচজন কে সিলেক্ট করা হবে। স্যার জ্যামস তোরে তাড়াতাড়ি যেতে বলেছে,,,, ( আকাশ ) 


>- আচ্ছা তুই যা আমি আসছি,, ( দ্বীপক ) 


দ্বীপক যদিও এখনই যেতে চেয়েছিলো কিন্তু সে কি ভেবে তাঁর মত পাল্টে পেলে,দ্বীপক এই একমাসের মাঝে তাঁর বাম হাতে থাকা এই ব্রেসলেইট সম্পর্কে অনেক রির্সাচ করেছে এবং অনেক কিছুই জানতে পেরেছে। ব্রেসলেইটটি একটি স্পেস রিংয়ের মতো কাজ করে। এখানে যতো জিনিষই রাখা হোক না কেনো তাঁর জায়গা কখনো ভর্তি হয়ে যাবে না বা ভরাট হবে না। তাঁর চেয়েও বড় কথা এই ব্রেসলেইটের মতো আরো ছয়টি ব্রেসলেইট রয়েছে। ছয়টি ব্রেসলেইটের মধ্যে এটিই একটি যা সবচেয়ে ইউনিক এবং শক্তিশালী। এটিকে ইউনিক বলার কারনও আছে এই ব্রেসলেইট সেকেন্ডারি কোর হিসেবে কাজ করে। এটিতে প্রচুর এনার্জি স্টোর করে রাখা যায়। যার ফলে প্রাইমারি কোরের এনার্জি শেষ হয়ে গেলে এই ব্রেসলেইট থেকে এনার্জি স্রাপ্লাই পাওয়া সম্ভব। তবে সব কিছু তো আর এমনি এমনি আসে না,এই কোরটির এনার্জি যতোবারই দ্বীপক ব্যবহার করবে ততবারই তাঁর প্রাইমারি কোর ধংস হতে শুরু করবে। 


এভাবে চলতে থাকলে এক সময় দ্বীপকের শরীর নিজে থেকেই ধংস হয়ে যাবে। আরো একটি ব্যাপার জানতে পেরেছে দ্বীপক এই ব্রেসলেইটের আশে পাশে কোনো শক্তিশালী আইটেম থাকলে তা এই কোর সেন্স করতে পারে। যখন সে তা সেন্স করবে তখন দ্বীপককে এক ধরনের সংকেত দিবে যার ফলে সে বুঝতে পারবে আসে পাশে কিছু একটা আছে। দ্বীপক আকাশের দিকে তাঁকিয়ে আছে, তাঁর চোখ থেকে পানি বের হচ্ছিলো। দ্বীপক কান্না করছিলো আকাশের দিকে তাঁকিয়ে। তাঁর দুটি চোখ একদম লাল হয়ে আছে ঠিক যেমনটা হয় অনেক দিন ঠিক মতো ঘুম না গেলে বা কান্না করলে। 


>- প্রতি বছর আমার জন্মদিনে তুমি আমাকে ঘুম থেকে উঠাতে, আমাকে পায়েস রান্না করে খাওয়াতে। তুমি কেনো এমন করলে মা? তুমি কিভাবে আমাকে একা করে দিলে এভাবে,,,,, ( দ্বীপক ) 


দ্বীপক চিৎকার করে কান্না করছিলো কিন্তু আফসোস তাঁর কান্না দেখার মতো আজ কেউই নেই। প্রকৃতি জেনো আজ অনেক ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে, চারদিকে শীতল হাওয়া বইছে। সে আজ এমন এক জায়গায় আটকে আছে যেখান থেকে না বের হতে পারছে না অন্য কিছু করতে পারছে। হঠাৎ দ্বীপক অনুভব করে তাঁর পিছনে কেউ একজন রয়েছে,,, 


>- কে কে এখানে? আমি তোমাকে সামনে আসতে বলছি,,, ( দ্বীপক )  


চারদিকে ডোল বাজার শব্দে মুখরিত হতে লাগলো, দ্বীপক তাঁর কান্না বন্ধ করে রুমে ফিরে আসে তৈরি হওয়ার জন্য। আজকে তাঁদের ১৭ জনের মাঝে ৫ জনকে সিলেক্ট করা হবে বিভিন্ন টেষ্টের মাধ্যমে। দ্বীপক জানে না সিলেক্ট হলেই বা কি হবে আর নাহলে বা কি হবে। সে তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হয়ে এরিনার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আসলো রুম থেকে। 


**********

আমাদের সিন চেন্জ করলে আমরা দেখতে পাই একজন লোককে,লোকটি দুই হাতে দুইটি শিকল শক্ত ভাবে লাগানো সামনের দেওয়ালের সাথে। পরনে পুরোনো কিছু রাজকীয় পোশাক, পোশাকটির জায়গায় ছিঁড়ে রয়েছে, লোকটির শরীর থেকে এক ধরনের গন্ধ বের হতে শুরু করেছে যার ফলে আশে পাশে সবাইকে লোকটির কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হইছে। চারদিকে কুচকুচে অন্ধকার, কোথাও থেকে একটি সূর্যের আলোক রশ্মি এসে রুমটাকে খানিকটক আলোকিত করেছে। লোকটির সামনে কিছু খাবার রাখা ছিলো কিন্তু তাঁর হাত বেঁধে রাখার কারনে কোনো ভাবেই খেতে পারছিলো না। লোকটির দুই চোখ থেকে শুধু অঝরে পানি ঝরছিলো যা তাঁর পরনে থাকা পোশাকটিকেও ভিজিয়ে দিয়েছে।


>- আমি জানি না আমার প্রিন্স এখানে আসা পর্যন্ত আমি বেঁচে থাকবো কিনা তবে আমি নিজের সমস্ত শক্তি আমার ছোট ছেলেকে দিয়ে দিলাম। আমার মৃত্যুর সাথে সাথেই আমার সমস্ত শক্তি তাঁর কাছে চলে যাবে। আমার ছেলেটাকে এখনো পর্যন্ত নিজের দু-চোখে দেখিও নিই আমি। তাঁর সাথে অনেক অপরাধ করেছি আমি যার শাস্তি পাচ্ছি এখন আমি। এক শক্তিধর জীবের বংশধর হওয়ার কারনে সেও তাঁর পূর্ব পুরুষের শক্তি বহন করছে তাঁর রক্তে। কেউই তাঁকে থামাতে পারবে না। 


লোকটি কথা গুলো বলছিলো নিজের সাথে আবার কথা গুলো বলার পরে হাসতে শুরু করে কিন্তু আবার কিছুক্ষন পরেই কাঁদতে শুরু করে। 


********


আমাদের সিন আবারো চেঞ্জ হয় আর আমরা দেখতে পাই দ্বীপককে যে এরিনায় এসে দাঁড়িয়েছে তাঁর ক্লাস মেটদের সাথে। স্যার জ্যামস সহ বাকি শিক্ষক গুলো এরিনা থেকে অনেক উঁচু একটি জায়গায় বসে রয়েছেন। তবে জায়গাটিও এরিনারই অংশ,এরিনার চারপাশে অনেক গুলো বসার চেয়ারের মতো জায়গা রয়েছে যেখানে অনেক স্টুডেন্ট বসে রয়েছে। স্যার জ্যামস তখন সেই উঁচু জায়গা থেকে নেমে আসলেন,ওনি নামার জন্য অনেক গুলো সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে যা উপর থেকে মাটি পর্যন্ত ছিলো। স্যার জ্যামস নিচে নেমে কথা বলতে শুরু করলেন,, 


>- সবাইকে স্বাগতম একাডেমির এরিনায়, তোমরা জানোই প্রতি ৫ বছর পরে একটি গ্রান্ড মাষ্টার টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। এই বছরও আয়োজন করা হচ্ছে গ্রান্ড মাষ্টার টুর্নামেন্ট। তবে এই বার নিয়মটি একটু ভিন্ন যা বর্তমানে গোপন রাখা হয়েছে। প্রতি বছর প্রত্যােকটি একাডেমি থেকে তিন জন করে নিলেও এবার নেওয়া পাঁচজন করে। যার জন্য আমরা এই সিলেকশনের আয়োজন করেছি, প্রত্যােক বছর সব স্টুডেন্টই সিলেকশনের জন্য যেতে পারলেও এবার তা হচ্ছে না এবার শুধু প্রথম বর্ষের স্টুডেন্টেরাই অংশ গ্রহন করতে পারবে। আমাদের এই সিলেকশনের তিনটি রাউন্ড রয়েছে। প্রথম রাউন্ডটি হচ্ছে স্পিড, এই রাউন্ড পূর্ণ হওয়ার পরেই শুরু হবে দ্বিতীয় রাউন্ড। এই সিলেকশন চলবে পনেরো দিন ধরে, তাই এই সময়ের মধ্যে সবাইকে তাঁদের  নিজেদের ইউনিক কিছু দেখানোর সময় হয়েছে। কিছুক্ষনের মাঝেই শুরু হতে যাচ্ছে আমাদের সিলেকশন,,,, 


স্যার জ্যামস আরো কিছু কথা বলতে লাগলো, এই রাউন্ডে কি কি করতে হবে এবং নিয়ম সম্পর্কে জানাচ্ছিলো। প্রথম রাউন্ডের নাম দেওয়া হয়েছে স্পিড। একটি নিদিষ্ট জায়গা থেকে অন্য একটি জায়গায় যে প্রথমে পৌঁছাতে পারবে সেই বিজয়ই বলে গন্য হবে। এই রাউন্ড যতটা সহজ মনে হচ্ছে ঠিক ততটাই কঠিন। চারটি জায়গা নিয়ে এই রাউন্ডটি শুরু হবে, প্রথমে রয়েছে আহিল ফরেষ্ট। এই ফরেষ্টের মাঝেই দ্বীপকেরা আক্রমণের শিকার হয়েছিলো। দ্বিতীয়তে রয়েছে ডার্ক ফরেষ্ট,তৃতীয়তে রয়েছে স্নো কিংয়ের এলাকা এবং সর্বশেষ চুতুর্থে রয়েছে " দ্যা গ্রেট সাহারা "


>- তবে শুরু করা যাক আমাদের আজকের এই অনুষ্ঠান,,,,, 



,,,,,,,,,


,,,,,


,,,,


,,


To Be Continued 


Getting Info...

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.