Notification texts go here Contact Us Buy Now!

The power episode 20

 The Power,,, 


লেখকঃ- Amran Hossain 


পর্বঃ-২০ ( স্পেশাল পর্ব )


দ্বীপক যে কিনা পৃথিবী নাম গ্রহ থেকে মাল্টিবার্সের অন্য একটি ইউনিবার্সের গ্রহে টেলিপোর্ট হয়ে চলে আসে। অবশ্য সে আসে নিই বরং তাঁর মা মাল্টিবার্সে একটি পোর্টাল খুলেছিলো আর সেই পোর্টালের মধ্য দিয়েই দ্বীপক নতুন এই ইউনিবার্সে প্রবেশ করে। এই নতুন ইউনিবার্সে প্রবেশ করার সময় একজন টাইম গার্ডিয়ান তাঁর পথ আটকায়, তাকে নতুন এই ইউনিবার্সে প্রবেশ করতে মানা করেছিলো কিন্তু দ্বীপক তাঁর কোনো কথা না শুনে নতুন ইউনিবার্সে প্রবেশ করার পরে এই নতুন জগতে আশে। তারপরে ঘটনা তো আপনারাই সবাই জানেন তাই তা আর বললাম না। 


আমাদের সিন চেঞ্জ হয় আবারো আর আমরা একটি বড় প্যালেস দেখতে পাই যেখানে দশটি লোক বসে আছে উচু চেয়ারে। চারদিকে ঠান্ডা বাতাস বয়েছে,অনেকটা শান্তিপূর্ণ সময় বিরাজ করছে এখানে। ঝড় আসার আগে প্রকৃতি যেমন শান্ত থাকে ঠিক তেমনই শান্ত এখন এই জায়গাটি। লোক গুলো দুটি লাইন অনুযায়ী বসে ছিলো দুইদিকে আর তাঁদের ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি বড় সিংহাসন, প্যালেসটি সাদা পাথরের তৈরি। চারদিকে অনেক কারুকার্য, এই রুমটি অনেক বড়। তখন সেই জায়গায় একটি লোক প্রবেশ করে যাকে দেখে বসে থাকা দশজন ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে যায়। লোকটি কোনো দিকে না তাঁকিয়ে সোজা সিংহাসনের দিকে চলে গেলো, সিংহাসনে বসার পরে হাত দিয়ে ইশারা করলো সবাইকে বসার জন্য। লোকটির ইশারা বুঝতে পেরে বাকি দাঁড়িয়ে থাকা লোক গুলো বসে পড়ে। কিছুক্ষন সেখানে নিরবতা বিরাজ করছিলো যা ভেঙে সেই সিংহাসনে বসা ব্যাক্তিটা কথা বলতে শুরু করলো,,, 


>- আজকে হঠাৎ এভাবে আমাকে ডেকে আনার মানে কি? আমি বলেছিলাম না তোমাদের ছোট ছোট কাজে আমাকে ডাকবে না,,,, ( সিংহাসনে বসা ব্যাক্তি ) 


উচুঁ স্হানে বসা লোকটি যখন কথা বলছিলো তখন বাকি লোক গুলো তখন চুপ করে ছিলো। সিংহাসনে বসা ব্যাক্তিটার কথা শেষ হওয়ার পরে সেখানে থাকা দশ জনের মাঝে একজন লোক তখন কথা বলতে শুরু করলো,,, 


>- লিডার আপনার মনে আছে কিনা জানি না, কয়েক বছর আগে আমরা একটি ছেলের সাথে লড়াই করি যে কিনা আপনার সিংহাসন কেঁড়ে নিতে চেয়েছিলো। আমরা সবাই মিলে তাঁকে হত্যা করে তাঁর পিতাকে বন্ধি করে রাখি, যে সোর্ডের জন্য এতো সেই সোর্ড এখন ধংস হওয়ার দ্বার প্রান্তে। আমাদের সোর্ডটা পেতে হলে সেই ছেলেটির শক্তিকে মুক্ত করে দিতে হবে না হলে আগামী কয়েক মাসের মাঝেই সোর্ডটি ধংস হয়ে যাবে,,,,, 


এখানে দশজন ব্যাক্তির শরীরে এক আজব ধরনের পোশাক রয়েছে, একজন ব্যাক্তির যদি হলুদ রংয়ের পোশক হয় তবে অন্য জনের ভিন্ন এক রং। আমরা যদি পোশাক গুলো ভাবে খেয়াল করি তবে দেখতে পাই এই গুলো আসলে কোনো পোশাক নয়। এখানে বসে থাকা দশজনই ভিন্ন রংয়ের আর্মার পড়ে আছে। প্রত্যেকটি এনার্জিকে বুঝাচ্ছে,যেমন হলুদ রংয়ের পোশাকটি চি-এনার্জির তৈরি। এতোক্ষন সাদা আর্মার পড়া এক ব্যাক্তি উচু স্হানে বসা লোকটিকে কথা গুলো বলছিলো, সাদা আর্মার পড়া ব্যাক্তিটা সে লোকটিকে লিডার বলে ডাকছিলো। 


>- লিডার আমার কাছে একটি উপায় রয়েছে, আমরা সেই শক্তির উপরে এমন কোনো ফরবিডেন স্পেল ব্যবহার করে ছেড়ে দেই যার ফলে এই শক্তি ছেড়ে দেওয়ার পরে যে ব্যাক্তির কাছে পৌছাবে সে জেনো বাধ্য হয় আমাদের সোর্ডটিকে দিতে। ( সাদা আর্মার পড়া ব্যাক্তি ) 


>- আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন নাকি। আপনি সেই যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন না সেই জন্য এই শক্তির ক্ষমতা সম্পর্কে জানেন না। এই শক্তি ডার্ক এনার্জি এবং চি-এনার্জির থেকে জন্ম গ্রহন করেছে, এই শক্তি দিনো যেমন শক্তিশালী তেমনি রাতে এই শক্তি আর দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে যায়। ( লাল আর্মার পড়া ব্যাক্তি ) 


>- আপনি সব সময় ডার্ক এনার্জির বিরুদ্ধে যান কেনো? আমি বা ডার্ক এনার্জি আপনার কি ক্ষতিটা করেছি?,,,,, ( কালো রংয়ের আর্মার পড়া ব্যাক্তি )


>- আপনারা তো একটি কথা ভুলেই গেছেন, ড্রাগন কিংয়েন জন্মও হয়ে গিয়েছে। আমি আপনাদের আগেও বলেছিলাম ড্রাগন কিংকে হত্যা করার জন্য কিন্তু আপনারা শুনেন নিই আমার কথা। ড্রাগন কিংকে হত্যা করার পরে তাঁর সন্তানের উপরে একটি কার্স দিয়েছিলেন যাতে কখনো ড্রাগন ব্লাড লাইন তাঁর এবং তাঁর পরের জেনারেশনেরও এক্টিভ না হয় কিন্তু এখন তাঁর ব্লাড লাইন ফিরে এসেছে এবং সে নিজেও আসছে,,,, ( বেগুনি রঙের আর্মার পড়া ব্যাক্তি ) 


সবাই বেগুনি রংয়ের আর্মার পড়া ব্যাক্তিটির কথা শুনে হাইফার হয়ে যায় আর একে উপরের দোষ ধরতে লাগে যার ফলে সেখানে শোরগোলের সৃষ্টি হয়। সিংহাসনে বসা ব্যাক্তিটা এসব দেখে প্রচন্ড রেগে যায় এবং সিংহাসন থেকে এক লাফে নেমে এসে বেগুনি রংয়ের আর্মার পড়া ব্যাক্তিটার গলা চেপে ধরে দেওয়ালের সাথে উচুঁ করে। লোকটি তাঁর হাত দিয়ে অনেক চেষ্টা করে লিডারের হাত থেকে ছাড়া পেতে কিন্তু লিডার ছাড়ার জন্য তাঁকে ধরে নিই। লিডার আরো জোরে চেপে ধরে যার ফলে লোকটি গাড় সেখানেই ভেঙে যায় আর লোকটি মারা যায়। 


আমাদের সিন চেঞ্জ হয়ে যায় তখন আমরা দেখতে পাই স্নো কিংয়ের এলাকায় একটি ছেলে বিস্টের সাথে লড়াই করছে। বিস্টদের ডিফেন্স অনেক বেশি থাকে যার ফলে তাঁদের হারানো অনেক কষ্টকর, ছেলেটি প্রথমে বিস্টকে ভালো ড্যামেজ দিতে পারলেও এখন আর পারছে না। বিস্টটি তখনো তাঁর পুরো শক্তি ব্যবহার করছিলো না যার ফলে প্রথমে ড্যামেজ দিতে পারলেও এখন বিস্টটি তাঁর ফর্সে চলে এসেছে যার ফলে এখনো কোনো স্পেলই বিস্টের উপরে কাজ করছে না।


>- আমাকে এখনই এনাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে হবে এখান থেকে, নাহলে এখানে দুইজনকেই মরতে হবে,,,, ( ছেলেটি ভাবছে ) 


ছেলেটি তাঁর ভাবনায় ব্যাস্ত ছিলো ঠিক সেই সময় তাঁর মুখে একটা পান্স মেরে বসে বিস্টটি, হঠাৎ আক্রমণ করায় ছেলেটি কিছু বুঝে উঠার আগেই অনেক দূরে গিয়ে আঁচরে পড়ে। ছেলেটির নাক ফেঁটে রক্ত বের হওয়া শুরু হয়ে, এতোক্ষন ফাইটের ফলে তাঁর পোশাক বিভিন্ন জায়গায় ছিঁড়ে গিয়েছিলো যার ফলে সে এখন ঠান্ডায় কাঁপছে। তাঁদের কম্বিনেশন স্পেল ক্যান্সেল হয়ে গিয়েছে, বিস্টটা মেয়েটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যখন সে তাঁর হাত দিয়ে মেয়েটিকে স্পর্শ করবে তখন কোথায় থেকে একটি সোর্ড এসে বিস্টের হাত তাঁর শরীর থেকে ছিন্ন করে দেয় যার ফলে বিস্টটি অনেক জোরে চিল্লাতে থাকে,,,, 


>- অনেক পড়ে মনে হচ্ছে একটি ভালো কিছু পেয়েছি ফাইট করার জন্য,,,, ( নিয়ন ) 


নিয়ন একজন ফায়ার এট্রিবিউটের অধিকারী। নিয়ন তাঁর হাত উপরে তুললো আর সাথে সাথে তাঁর সোর্ডটি তাঁর হাতে চলে আসে। 


>- ঐশা,মাইশা তোমরা মেয়েটিকে দেখো আর আকাশ তুমি ছেলেটিকে দেখো ঠিক আছে কিনা। আমি বিস্টকে সামলে নিচ্ছি।,,, ( নিয়ন ) 


নিয়ন তাঁর সোর্ডকে ডান হাতে করে বরফের উপর দিয়ে টেনে নিয়ে আসছিলো,তাঁর সোর্ডে ফায়ার জ্বলছিলো অনেকটা লাল রং ধারন করে আছে সোর্ডটি। বিস্টটি তখন অন্য পাশে ফিরে তাকিয়ে ছিলো যার ফলে বুঝা যাচ্ছিলো সে কি করছিলো, নিয়ন এবার তাঁর স্পিড বাড়িয়ে বিস্টের কাছে এসে একটি লাফ দিয়ে উপরে উঠে সোর্ডটি বিস্টের ঘাঁড়ের উপরে আঘাত করে। তাঁর সোর্ডটি আঘাত করার পূর্বেই বিস্টটি তাঁর ডান হাত নিয়নকে ধাক্কা মারে যার ফলে সে কিছুটা দূরে গিয়ে পড়তে ছিলো কিন্তু সোর্ডটি বরফের মাঝে গেঁথে দেয় সে যার ফলে সে কিছুটা দূরে গিয়ে থেমে যায় সে,,, 


>- রিজানারেশনের মাধ্যমে হাত ঠিক হয়ে গেছে, খারাপ না ভালোই একটি প্রতিধন্ধি পেলাম,,,, ( নিয়ন ) 


নিয়ন আবার তাঁর স্পিড ব্যবহার করে বিস্টের কাছে গিয়ে লাফ দিয়ে অনেকটা উপরে উঠে মাল্টিশ্লাস স্পেল ব্যবহার করলো। এটি মূলত স্পেল না এটি একটি সোর্ড টেকনিক, নিয়নের সোর্ড থেকে অনেক সোর্ড বের হলো। প্রায় ২০টির মত সোর্ড তৈরি হয়েছে, এই সোর্ড গুলো নিয়নের সোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করার যাচ্ছিলো। নিয়ন তাঁর ফুল এট্যাকা করার আগে বিস্টটি সেখান থেকে গায়েব হয়ে যায়,,,, 


>- এটি কি টেলির্পোটেশন স্পেল ছিলো নাকি অন্য কিছু?,,, ( নিয়ন ) 


নিয়ন মাটিতে মুখ থুবড়ে পরে যায় তাঁর মনোযোগ অন্য দিকে চলে যাওয়ার ফলে,নিয়ন উঠে দাঁড়ানোর পরে হঠাৎ করে তাঁর পিঠে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করে। পিঠে হাত দিয়ে দেখে রক্ত লেগে রয়েছে তাঁর হাতে, বিস্টটি হঠাৎ করে পিছন থেকে এসে নিয়নের সোর্ড দিয়েই নিয়নের পিঠে আঘাত করে যার ফলে নিয়নের পিঠে অনেক বড় আঘাতে চিহ্ন তৈরি হয়েছে,, 


>- বিস্টেরা কবে থেকে মানুষের মতো চালাক হতে শুরু করেছে,,,,,,


নিয়ন আর কিছু বলার আগেই অজ্ঞান হয়ে পরে যায়,ঐশী নিজেদের চারপাশে একটি ব্যারিয়ার তৈনি করেছে যাতে বিস্টকে কিছুক্ষন আটকে রাখা যায়। তাঁদের এখন দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিলো না,, বিস্টটি নিয়নের সোর্ডকে দুই হাত দিয়ে উচুঁ করে ধরে নিয়নের পিঠে গেঁথে দিতে যাচ্ছিলো ঠিক তখনই বিস্টটি নিজেকে মাথা বাঁকা করে কিছুটা উপরে উঠে যায় এবং উপরে উঠার পরে আবার প্রচন্ড শক্তিতে নিচে পড়ে যায়। কি থেকে কি হলো কেউই বুঝে উঠতে পারে নিই,কিছুটা পরেই তাঁরা সেখানে দ্বীপককে দেখতে পায়। 


দ্বীপক এতোক্ষন নিয়নের এনার্জি ডিটেক্ট করে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছিলো,হঠাৎ সে অনুভব করতে পারে নিয়নের এনার্জি কমে যাচ্ছে আর কিছুক্ষন পরে আর সে নিয়নের এনার্জি ডিটেক্ট করতে পারে না। তখন সে আকাশের এনার্জি ডিটেক্ট করে নিজের সর্বোচ্চ স্পিড ব্যবহার করে এগিয়ে আসছিলো তাঁদের দিকে, যখন সে পৌঁছালো তখন দেখতে পেলো বিস্টটি সোর্ড নিয়নের পিঠে গেঁথে দিচ্ছে যা দেখতে পেয়ে দ্বীপক তাঁর স্পিড আরো বাড়িয়ে বিস্টের কাছে চলে আসে পলক ফেলার আগেই। বিস্টটি কিছু বুঝে উঠার আগেই তাঁর থুতনিতে জোরে ডান হাত দিয়ে জোরে একটি পান্স মারে যার ফলে বিস্টটি হালকা উপরে উঠে যায় আর দ্বীপক একটু উপরে উঠে দুই হাত দিয়ে একটি পান্স মারে বিস্টের বুকে। ঠাস করে একটা শব্দ শুনা যায় শুধু সেখানে, বিস্টের বুকের হাঁড় ভেঙে বিস্টের কোরে ঠুকে যায় যার ফলে বিস্ট সেখানেই মারা যায়। 


দ্বীপক নিয়নকে কোলে তুলে নিলো,সে মাইশাদের কাছে ফিরে আসে নিয়নকে নিয়ে। মাইশা নিয়নকে হিল করা শুরু করে, দ্বীপক হেঁটে হেঁটে আবারো বিস্টের কাছে ফিরে আসে এবং বিস্ট কোরটি নিয়ে নে। দ্বীপক এখানে আসার পরেই কিছু একটা ফিল করতে পারছিলো যা পূর্ব দিক থেকে আসছে। দ্বীপক এখস এসেছিলো উত্তর দিক দিকে, তাঁদের গন্তব্য হচ্ছে দক্ষিন দিকে। দ্বীপক এখন পূর্ব দিকে যাচ্ছিলো কারন সে এখানে একটি শক্তিশালী এনার্জির উপস্থিতি বুঝতে পারছিলো। 


>- এই এনার্জি আমি চিনি, আমি এই এনার্জি আমার মায়ের থেকেও অনুভব করেছি,,, ( দ্বীপক ) 


দ্বীপক পূর্ব দিকের একটি ফরেষ্টে চলে আসে কিন্তু যখন সে ফরেষ্টে প্রবেশ করতে চায় তখন একটি লোক তাঁর পথ আটকায়,,


>- তুমি এই ফরেষ্টে প্রবেশ করতে পারবে না আর এখানে প্রবেশ করার চেষ্টাও করো না,,,,, ( লোকটি ) 


একটি লোক দ্বীপকে বাম হাতকে পিছন থেকে টেনে ধরে ফরেষ্টের সামনে থেকে নিয়ে আসে, দ্বীপক লোকটিকে দেখতে লাগলো। লোকটির বয়স প্রায় ৮০ এর থেকে বেশি হবে, বাম হাতে একটি লাঠি নিয়ে কোনো মতে দাঁড়িয়ে আছে। বাম হাত অনবরত কেঁপে যাচ্ছে এই বুঝি সে পরে গেলো এমন একটি অবস্থা, লোকটি দ্বীপককে ভালো করে দেখছিলো। তখন লোকটি দ্বীপকের হাত ধরে তাঁকে এটি পাথরের কাছে নিয়ে যেতে বললো, লোকটি সেখানে বসার পরেই মাইশা ঐশী এবং নতুন মেয়েটিও এখানে উপস্থিত হয়, আকাশ নিয়নের সাথে রয়েছে। নিয়ন এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠে নেই আর কিছুক্ষন লাগবে তাঁর ক্ষতটি ঠিক হতে,,,, 


>- আজকে আমি তোমাদের একটি গল্প বলবো। তোমরা এখন হয়তো ড্রাগনদের সম্পর্কে জেনেছো বিভন্ন বই পড়ে আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করে না ড্রাগন বলে কোনো জাতি এক সময় এখানে রাজ করেছিলো। আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর পূর্বে একটি সাধারন দম্পতির ঘরে কোল আলো করে জন্ম গ্রহন করে অ্যালেন নামে একটি যুবক। বলে রাখা ভালো সেই সময় ড্রাগন রাজ্য রাজ করেছিলেন কিং অ্যামব্রোস। ড্রাগন রাজ্যে যে ব্যাক্তি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ব্যাক্তি হবে সেই রাজা হবে এমন এক নিয়ম ছিলো। এক সময় অ্যালেন নামক সেই যুবক এতোটাই বেশি শক্তিশালী উঠে যে সেই ড্রাগন রাজ্যের সিংহাসন দখল করে, ভাগ্যের এক নির্মম খেলায় সব ড্রাগনেরা ধীরে মারা যেতে শুরু করে। তাঁদের মৃত্যুর পিছনে কি রহস্যা ছিলো তা কেউই জানতো না। যখন থেকে এই নির্মম শুরু হয় তখন অ্যালেন এই দুনিয়ায় আর ছিলেন না। তখন লোক মুখে শুনা গিয়েছিলো ড্রাগন কিং সেই সময়ে কোনো এক যুদ্ধে গিয়েছিলেন কিন্তু তিনি আর ফিরে আসেন নিই ফিরে এসেছিলো তাঁর মৃত শরীর। সব ড্রাগনদের থেকে তিনি ছিলেন আলাদা, ওয়াইট ড্রাগন হয়ে জন্মে ছিলেন আর মৃত্যু বরণ করলেন ব্লাক ড্রাগনের বিষ পান করে,,,,, 


>- কিন্তু এই কাহিনীর সাথে এই ফরেষ্টের সম্পর্ক কি?,,, ( দ্বীপক ) 


>- সম্পর্ক তো সেখানেই, সকল মৃত ড্রাগনদের এই জায়গার মাঝেই সমাধি করা হয়েছে। এটি এক সময় ড্রাগোনিয়া রাজ্যের প্যালেস ছিলো যা অনেকটা ভিতরে রয়েছে, অনেক বছর এই জায়গায় কেউই আসে নিই আর কালে পরিবর্তনে এটি আজ একটি ফরেষ্টে পরিণত হয়েছে। প্যালেসটি অনেক ভিতরে যা এখান থেকে একদিনের পথ, ফরেষ্টের মাঝখানে অবস্থান করছে এটি,,,, 


সবাই লোকটির কথা শুনে ফরেষ্টের দিকে তাকালাও কিন্ত মাইশা কিছু একটা বুঝতে পেরে সেখান থেকে চিৎকার দিয়ে উঠে পড়ে, মাইশার চিৎকার শুনে বাকিরা পিছনে তাঁকিয়ে দেখে লোকটি যেখানে বসে ছিলো সেখানে কেউই নেই কিন্ত লোকটির বাম হাতে থাকা লাঠিটা সেখানে রয়েছে গিয়েছে। দ্বীপক লাঠিটা তাঁর হাতে নিয়ে ভালো করে দেখতে লাগলো, লাঠিতে অনেক লেখা রয়েছে যা সে পড়তে পারছিলো না।


>- আমাদের তাবুতে ফিরে যাওয়া উচিত তাড়াতাড়ি, জানি না লোকটি কে ছিলো তবে আমার কোনো কিছু ঠিক মনে হচ্ছে না,,, ( ঐশী ) 


ঐশীর কথা শুনে মাইশা এবং অন্য মেয়েটি তাবুর দিকে ফিরে যাচ্ছিলো আর দ্বীপক তাঁদের পিছু পিছু হাঁটছে,,, 


>- আমি কিছু বুঝতে পারতেছি না লোকটি আমাকে কিসের ইংগিত দিলো। আমি সেই ফরেষ্টের মাঝে আমার মায়ের এনার্জি অনুভব করেছি এটা সত্যি কিন্তু আসলেই কি সত্যি? উফ্ আমার মাথা কাজ করছে না,,,,, ( দ্বীপক ভাবছে ) 


দ্বীপকের সাথে কি হচ্ছিলো সে তা নিজেও বুঝতে পারছিলো না, হঠাৎ করে সে আজ তাঁর মায়ের এনার্জি অনুভব করতে পারলো আবার এই লোকটির কিসের ড্রাগন নিয়ে বললো কিছুই বুঝতে পারছিলো না। আকাশ ট্যালিপ্যাথিকের সাহায্যে ঐশীকে তাবুর কথা বলেছিলো, তাঁর আজ এই জায়গায় রাতটি থেকে যাবে। তাঁরা এখন এখানে সাতজন ছিলো আর সাতজনের তাবু তৈরি করেছে দুইটি একটিতে ছেলেরা থাকবে আর অন্যটিতে মেয়েরা। যেহেতু এটি স্নো কিংয়ের এলাকা তাই এখানে বিস্টের কোনো অভাব নেই তাই ছেলেদের একটু কষ্ট করতে হবে। প্রথম দুইজন ২ ঘন্টা পাহাড়া দিবে আর দুইজন ঘুমাবে আবার ঘুম যাওয়া দুই জন পাহাড়া দিবে আর অন্য দুই জন ঘুম যাবে। এভাবে করেই তাঁদের রাতটি কাঁটাতে হবে এখানে। সবার পেঁটেই খুদা লেগেছে কিন্তু কেউই কিছু বলছিলো না কারন সেই বৃদ্ধ লোকটিকে তাঁদের স্বাভাবিক মনে হয় নিই তাই তাঁরা এখনো ভয়ে আছে। দ্বীপক কিছু গাছের কাঠ জোগাড় করে এনেছে আর আকাশ তার ফায়ার এট্রিবিউট দ্বারা আগুন জ্বালিয়েছে। যেই নতুন ছেলে মেয়ে এখন তাঁদের সাথে ছিলো তাঁরা ছিলো একজন এনা আর ছেলেটি ছিলো হ্যারি। তাঁরা দুইজনেই জমজ ভাইবোন যা একটু আগে মাইশা এবং বাকিরা জানতে পেরেছে।


হ্যারি একজন ওয়াটার এট্রিবিউটের অধিকারী তাই সে এই বরফের নদীর মাঝে অনেক গুলো মাছ ধরতে পেরেছে অবশ্য এই কাজে আকাশেরও অবদান রয়েছে। আকাশ তাঁর ফায়ার বল দ্বারা একটি জায়গার বরফকে গলিয়ে দেয় আর হ্যারি সেখানে তাঁর ওয়াটার এট্রিবিউট ব্যবহার করে মাছ ধরে ফেলে। আজ রান্নার দায়িত্ব পেয়ে দ্বীপক, এখানে যেহেতু আপাতত আগুন ছাড়া আর অন্য কিছুই নেই তাই দ্বীপক এই মাছ গুলোকে সিদ্ধ করে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। কিন্তু এভাবে তো আর সিদ্ধ মাছ খাওয়া যাবে না তাঁদের লবন প্রয়োজন ছিলো তাও হ্যারি ব্যবস্হা করেছে। তাঁরা এখন যেখানে অবস্থান করছিলো তা প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে সাগর অবস্থিত আর সাগরের লবনাক্ত পানি থেকে লবন কে আলাদা করেছে হ্যারি। অনেক গুকাঠিতে মাছ গুলোকে আটকে তাঁর উপরে লবন দিয়ে আগুনে সিদ্ধ করতে লাগলো দ্বীপক। 


>- নিয়ন এখন তোমার কেমন লাগছে?,,,, ( দ্বীপক প্রশ্ন করলো )


>- এখন ভালো লাগছে আর তোমাকে ধন্যবাদ আমার প্রান বাঁচানোর জন্য,,, ( নিয়ন )  


>- বন্ধুদের মাঝে ধন্যবাদ দিতে হয় না,,, ( দ্বীপক ) 


কিছুক্ষন পরে খাওয়া দাওয়া শেষ করার পরে মেয়েরা তাঁদের তাবুতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে, ছেলেদের মধ্যে নিয়ন এবং হ্যারি ঘুমাচ্ছে। বর্তমানে জেগে আছে শুধু আকাশ এবং দ্বীপক। তাঁরা এক সাথে বসে গল্প করছিলো এমন সময় আকাশ বলে উঠে,,, 


>- জানিস আমি চেয়ে ছিলাম বাকি সবার মতো আমার বন্ধু হবে,আমার ব্রেষ্ট ফ্রেন্ড হবে। আমি বন্ধুত্ব করার জন্য কত ছেলে মেয়ের সাথে চেষ্টা করেছি কিন্তু আমার বাবা একজন সার্বেন্ট হওয়ার কারনে কেউই বন্ধু-ত্ব করে নিই কিন্তু আজ আমি অনেক খুশি। আজ অনেক জোরে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে আমারও বন্ধু আছে ব্রেষ্টফ্রেন্ড আছে,,,, 


আকাশ এক নাগাড়ে কথা গুলো বলে যাচ্ছিলো যা দ্বীপক কোনো কিছু না বলে শুনে যাচ্ছে কিন্তু হঠাৎ দ্বীপক একটি কথা বলে উঠে যার উত্তর শুনে আকাশ বেকুব হয়ে যায়,, 


>- বেশি জোরে চিৎকার দিলে লাঠি দিয়ে তোরে পিঠাইবো, অবশ্য আমি মারা লাগবো না বিস্ট এসে তোমাকে মেরে মেরে সোজা করে যাবে,,,, ( দ্বীপক ) 


দ্বীপকের হঠাৎ লাঠির কথা মনে পড়তেই সে লাঠিটা হাতে নিয়ে ভালো করে দেখতে লাগলো। এই লাঠিটা পুরোপুরি ভাবে স্বর্ণের তৈরি, স্বর্ণের উপরে আরো কিছু একটা প্রলেপ দেওয়া আছে যা কাঠিটার কালারকে কিছুটা কপি কালারের মতো করে দিয়েছে। দ্বীপক হঠাৎ অনুভব করলো লাঠিটার মধ্যে কিছু একটা যা আছে লড়ছিলো। দ্বীপক লাঠিটার এক মাথা আকাশের হাতে ধরিয়ে দিলে আর যে মাথাটা বাঁকা ছিলো তা দ্বীপকের দিকে ছিলো। দুইজন দুই দিক থেকে লাঠিটা টানছিলো তখন দ্বীপক ঠাস্ করে মাটিতে পরে যায়, লাঠিটার বাঁকা অংশ ছিন্ন হয়ে যায় বডি থেকে। তবে তাঁরা অবাক হয়েছিলো তখন যখন লাঠিটার বডিতে একটি চিকন সোর্ড দেখতে পায় যা দেখে আকাশ বলে উঠে নাগিনটা,,,,,,


>- কি এটা? নাগিনটা কি এটা আবার কি?,,,, ( দ্বীপক ) 


>- নাগিনটা হলো অনেকটা সোর্ডের মতো, তবে সোর্ড অনেক ভারী আর সহজে লুকানো যায় না কিন্তু নাগিনটা এমন এটি অস্ত্র যা প্রচন্ড চিকন এবং দাঁড়ালো। এই গুলো বিভিন্ন ধরনের লাঠিতে ব্যবহার করা হয় যা মানুষ হত্যা করার জন্য গোপনে ব্যবহার করা হয় বা আনা হয়। কিন্তু এখন তো নাগিনটা পাওয়া যাওয়ার কথা না এটি অনেক আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে তুই এটা কই পাইলি?,,,, ( আকাশ ) 


>- তোকে আমি সব পরে বলবো, এখন আগে এটাকে লুকাতে হবে আর এই নাগিনটার ব্যাপারে কেউ জেনো জানতে না পারে,,,, ( দ্বীপক ) 


>- আচ্ছা ঠিক আছে কাউকে বলবো না তুই কিন্তু একাডেমিতে ফিরার পরে আমাকে সব কিছু বলতে হবে,,,,, ( আকাশ ) 


,,,,,,,,,,,


,,,,,,,


,,,


To Be Continued 

Getting Info...

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.