The Power
লেখকঃ--Amran Hossain
পর্বঃ-১৫
দ্বীপক সহ আরো ১৬ জন স্টুডেন্ট এই ফরেষ্টে এসেছিলো একটি মিশনে, মিশনটি ছিলো কিছু মন্সটার হত্যা করা এবং গ্রুপ ভিত্তিক কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করা। স্যার জ্যামস এবং অন্য একজন স্যার এই মিশনের দায়িত্বে ছিলেন কিন্তু কে জানতো তাঁরা গোবলিনদের ফাঁদে পা দিবে। ভাগ্যক্রমে দ্বীপক গোবলিনদের হাতে ধরা পরে নিই, দ্বীপক জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পরে সেখানে ঐশীর ড্যাগার খুঁজে পায় আর সেই ড্যাগারের এনার্জি ধরেই গোবলিনদের এই গ্রামে ডুকে পড়ে দ্বীপক।
দ্বীপক এই কনফান্ডো বা কনফান্ডাস চার্ম স্পেলটি ব্যবহার করে, যদিও এটি মানুষদের ব্রেইনকে কিছুক্ষন কন্টোল করার স্পেল তবুও দ্বীপক এই স্পেলটি গোবলিনদের উপরে প্রয়োগ করে। ভাগ্যক্রমে স্পেলটি কাজ করেও তবে শএুমাএ দশজন গোবলিনকেই কন্টোল করতে পেরেছে দ্বীপক। এই সময় স্যার জ্যামস এবং বাকি স্টুডেন্টদের জ্ঞান ফিরানোর জন্য এই কয়েকটি গোবলিনই যতেষ্ট ছিলো।
>- আমার সব বন্ধুদের জ্ঞান ফিরানোর ব্যবস্হা করো তাড়াতাড়ি,,,,, ( দ্বীপক )
দ্বীপকের কথা শুনার পড়েই পাঁচটি গোবলিন দ্রুত পানি আনতে লাগলো আর পাঁচটি গোবলিন অন্য গোবলিনদের সাথে ফাইট করায় ব্যাস্ত ছিলো। এখানে শতশত গোবলিন রয়েছে যারা দ্বীপককে এট্যাক করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলো কিন্তু বাকি পাঁচ জন দ্বীপককে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে যাতে অন্য গোবলিন গুলো দ্বীপকের কাছে আসতে না পারে। পাঁচটি গোবলিন অনেক বড় বড় কত গুলো পাএে করে পানি নিয়ে এসে সব স্টুডেন্টদেন উপরে ফেলে দেয় এবং তাঁরাও এসে দ্বীপকের চারপাশে দাঁড়ায়। এই দিকে পানি পড়ার সাথে সাথে স্যার জ্যামস সহ বাকিরা সবাই জেগে যায়, তাঁরা প্রথমে বুঝতেই পারছিলো না এখানে কি হচ্ছিলো যার ফলে তাঁরা প্রথমে চারপাশ দেখছিলো। যখন তাঁদের সব কিছু মনে পড়ে তখন তাঁরা লাফিয়ে উঠে দাঁড়ায়। চারপাশ থেকে অনেক গুলো গোবলিন তাঁদের অস্ত্র নিয়ে দৌড়ে আসতে শুরু করে যা দেখে দ্বীপক একটি এয়ার ব্যারিয়ার তৈরি করে। এটি যেহেতু বায়ুর তৈরি তাই এটাকে বিভিন্ন ধরনের আকূতিতে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। দ্বীপক যেই ব্যারিয়ারটি তৈরি করেছে তা কলো এিভুজ আকৃতির। ব্যারিয়ারের চারপাশে অনেক গুলো এয়ার ব্লেড তৈরি করে দিয়েছে যা ঘুনার্য়মান ছিলো।
ব্যারিয়ারের সামনে যেই আসছিলো সে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ হারাচ্ছিলো,,গোবলিন গুলো যখন দেখলো তাঁরা সামনে এগোতে পাচ্ছে না তখন তাঁরা দূর থেকে এট্যাক করার সিদ্ধান্ত নিলো। তাঁরা তাঁদের হাতে থাকা অস্ত্র গুলো দ্বীপকের সামনে থাকা ব্যারিয়ারের দিকে নিক্ষেপ করা শুরু করে। ব্যারিয়ারের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন ধরেছে যা দেখে দ্বীপক আরো বেশি এনার্জি প্রয়োগ করা শুরু করে কিন্তু তাঁর কোর আর এনার্জি স্রাপ্লাই নিতে পারছে না। যার ফলে সে এনার্জি প্রয়োগ করা বন্ধ করে দেয় কিন্তু তখন সবাই এসে দ্বীপকের পিছনে দাঁড়ায় এবং তাঁদের এনার্জি ব্যারিয়ারে দেওয়া শুরু করে যার ফলে ব্যারিয়ারটি আরো শক্তিশালী হয়ে যায়।
গোবলিন গুলো যখন দেখলো আরো কিছু করতো পারছিলো না তখন তাঁরা কিসব আজব ধরনের আওয়াজে চিৎকার দিতে থাকে আর ঠিক তখনই দ্বীপকের তৈরি করা ব্যারিয়ারটি ভেঙে সবাই অনেক দূরে ছিটকে পরে। দ্বীপক অনেক কষ্টে উঠে দাঁড়ালো, সামনে তাঁকিয়ে একটি লোককে দেখতে পেলো। লম্বা একটি কোট, মাথায় অনেক বড় একটি মুখোশ, হাতের নোক গুলো অনেকটাই বড়। লোকটি একহাত পিছনে রেখে আরেক হাত দিয়ে দ্বীপকের ঘুষি মেরেছিলো এখানে টেলিপোর্ট হয়েই। হঠাৎ করেই লোকটি দ্বীপকের সামনে চলে আসে যার ফলে দ্বীপক ভয় পেয়ে যাচ্ছে আর নিজের সব এনার্জি ডান হাতে প্রোকাস করে লোকটির পেটে একটি ঘুষি মারে। লোকটির গায়ে ঘুষি লাগার পূর্বেই গায়েব হয় যায় সে। দ্বীপক লোকটিকে খুজতে লাগলো কিন্তু কিছুক্ষন পরে তাঁর মনে হলো কেউ একজন তাঁর পিছনে রয়েছে, দ্বীপক সাথে পিছনে ফিরে তাঁর গলা চেপে ধরে কিন্তু সে অবাকই হয়ে যায়। দ্বীপক যার গলা ধরেছে সে হলো আকাশ, তখন দ্বীপক দেখতে পেলো তাঁর চারপাশও পরিবর্তন হয়ে গেছে। এটি সম্পর্নই নতুন একটি জায়গা, দ্বীপক আকাশের গলা ছেড়ে দেয় আর আকাশ সেখানেই বসে পড়ে। আকাশ হাঁপাচ্ছিলো তখনও, এই জায়গাটি ছিলো একটি হলরুম আর তখন একজন ব্যাক্তি তাঁদের সামনে উপস্থিত হয়। তাঁকে দেখে সব স্যার এবং স্টুডেন্ট গুলো হাঁটু গেড়ে বসে তাঁকে সম্মান জানাচ্ছিলো। দ্বীপক কোনো কিছুই বুঝছিলো না এখানে হচ্ছেটা কি, তাঁর সামনে ব্যাক্তিটা কে যাকে স্যার জ্যামসও সম্মান দিচ্ছে। লোকটি আমাদের সবাইকে এখান থেকে চলে যেতে বললো শুধু স্যার জ্যাম এবং অন্য স্যারটি ছাড়া। আমরা সবাই যার যার রুমে চলে যেতে শুরু করলাম।
>- তোমাদের সাহস কিভাবে হলো আমার অনুমতি ছাড়া ওই জঙ্গলের প্রবেশ করার? আমি যদি সময় মতো না আসতাম তাহলে এতক্ষনে তোমাদের সবার লাশ পড়ে থাকতো। তোমরা জানো ওই লোকটা কে ছিলো? সে ছিলো ভ্যামফায়ার নগরীর বিতাড়িত প্রিন্স, সে একটা পাগল। সে তোমাদের সবাইকে আজ মেরেই ফেলতো। সে একলাই পুরো গোবলিন জাতির মস্তিষ্ককে খেলতাছে। তার চেয়েও বড় কথা সে এখন গ্রেন্ডমাষ্টার লেভেলের ভ্যামফায়ার।
>- আমরা বুঝতে পারি নিই প্রিন্সপাল স্যার, আমরা জানতাম না সেখানে এতো বড় বিপদ লুকিয়ে আছে। যদি জানতাম তবে কখনোই যেতাম না,,,, ( স্যার জ্যামস )
>- আজ তোমাদের একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারনে অনেক গুলো নিরহ ছেলে মেয়ের প্রান যেতো,এবারের মতো ক্ষমা করলাম তোমাদের দুইজনকে। আগামী মাস থেকে গ্রান্ড মাষ্টার টুনামেন্টের আয়োজন শুরু হবে, আমি চাই এই একমাসের মধ্যে সবাইকে প্রস্তুত করে আমার সামনে নিয়ে আসবে।,,, ( প্রিন্সি )
>- কিন্তু স্যার সময়টা অনেক কম হয়ে যাচ্ছে। এই সীমিত সময়ের মধ্যে তাঁরা কি প্রস্তুত হতে পারবে আর তাছাড়াও তাঁদের মধ্যে ব্রেষ্ট পাঁচজনকে সিলেক্ট করতে হবে আমাদের যার জন্য তাঁদের সব কিছুই টেষ্ট করতে হবে আমাদের। আমরা কি পারবো এতো কম সময়ের তাঁদের প্রস্তুত করতে।,,, ( স্যার জ্যামস )
>- এই বছরের এই টুনামেন্টই আমাদের ভাগ্য নির্ধারন করবে, যদি আমরা হেরে যাই তবে এই একাডেমি চিরদিনের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হবে,,,, ( প্রিন্সি )
প্রিন্সিপাল স্যার চলে গেলেন তাঁর নিজস্ব রুমে, আর এই দিকে দ্বীপক তাঁর রুমের সামনে এসে দেখে তাঁর রুমের দরজা খোলা অবস্থায় রয়েছে। সে ভিতরে প্রবেশ করার পরে আরো বেশি অবাক হয়, সে যখন এই রুমে প্রথম এসেছিলো তখন এখানে একজন থাকার মতো জায়গা ছিলো কিন্তু এখন এই রুমটা প্রায় দ্বিগুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সে আকাশকে দেখতে পেলো ভিতরে। আকাশকে দেখেই দ্বীপকের মেজাজ গরম হতে শুরু করে কিন্তু সে নিজেকে সামলে নিলো।
>- শেষ পর্যন্ত এই আকাশের সাথেই আমার রুম শেয়ার করতে হবে,,, ( দ্বীপক ভাবছে )
আকাশ কেমন করে দ্বীপকের দিকে তাঁকিয়ে আছে,দ্বীপক আকাশ কে পাত্তা না দিয়ে ওয়াশরুমে ডুকে পরে।
>- আমি বুঝিনা এই দ্বীপক ছেলেটা আমার সাথেই এমন করে কেনো?,,, ( আকাশ ভাবছে )
*********
আমাদের সিন চেন্জ হয়ে যায় আবারো আর আমরা দেখতে পাই একটি লোককে। লোকটি একটি কালো রংয়ের লং কোট পড়ে আকাশের দিকে তাঁকিয়ে ছিলো আর বিরবির করে কি সব বলে যাচ্ছিলো,, অনেক গুলো গোবলিন তাঁর সামনে মৃত পরে আছে অবশ্য লোকটিই তাঁদের হত্য করেছে,,
>- যে আমার পথের বাঁধা হবে তাঁকেই আমি শেষ করে দিবো।প্রিন্সিপাল কেলিন প্রস্তুত হও তোমার মৃত্যুর জন্য। আমি শিগ্রই ফিরতে চলেছি গ্র্যান্ডমাষ্টার টুর্নামেন্টে। এবার কেউই আমাকে আটকাতে পারবে না হাহাহাহাহাহা,,,,
,,,,,,,,,,,
,,,,,
,,,
,,
To Be Continued