The Power
পর্বঃ-১৪ ( রিপোষ্ট )
মানুষের মতো দেখতে এক ধরনের প্রানির নাম হলো গোবলিল। গোবলিন সাধারণত গভীর পাহাড়ি বনের একটি নির্দিষ্ট বিন্যাসে বাস করে। তারা সাধারণত একটি অস্ত্র হিসাবে একটি জাদুকরী পাখার পাখা ব্যবহার করে, যা বাতাস এবং উড়ান নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গোবলিন প্রায়ই মানুষকে অপহরণ করে, বিশেষ করে ১৮ বছরের বছরের কম বয়সী শিশুদের। তাই একটি কথা আছে যে যদি কোনো শিশু রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যায় সাধারণত গোবলিনেরাই চুরি করে।
চারদিকে ধংসস্তুপ, অনেক জায়গায় গর্ত হয়ে আছে। দ্বীপকের শরীরের উপরে অনেক গুলো গাছ পড়ে আছে যার ফলে তাঁকে দেখা যাচ্ছিলো না উপর থেকে। ঠিক এই সময়েই সেখানে উপস্হিত হয় গোবলিন, অনেক গুরো গোবলিন এসে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ধংসস্তপের অনেকটা দূরেই পড়ে রয়েছে দ্বীপকের টিমের বাকি চার সদস্য, গোবলিন গুলো তাঁদের সবাইকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তাঁরা দ্বীপককে খুঁজে পায় নিই যার ফলে শুধু মাএ দ্বীপকই ছিলো একমাএ যে গোবলিনের হাতে ধরা পড়ে নিই। নিয়নের টিম ছাড়া বাকি টিমের সদস্য গুলোকে বিভিন্ন ধরনের ট্রাপে ফেলে ধরেছে, শুধু নিয়নের টিমই বাকি ছিলো কিন্তু তাঁরাও ধরা পড়ে গেছে।
অনেক সময় কেঁটে গেছে, এখন রাত হতে চলেছে। জঙ্গলের মাঝে বিকট শব্দে ঢাক ডোলের আওয়াজ শুনা যাচ্ছে, বনের শেষ প্রান্তে একটি নদী ছিলো আর সেই নদীকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে একটি গ্রাম। সেখান থেকে শব্দ গুলো আসছিলো। দ্বীপকের জ্ঞান ফিরেছে কিছুক্ষন হলো কিন্তু সে কোনো ভাবেই গাছ গুলোর নীচ থেকে উঠতে পারছিলো না। ব্লাড লসের কারনে সে অনেকটা দুর্বল হযে পড়েছে যার ফলে অনেক চেষ্টা করেও সে গাছ গুলোর নীচ থেকে উঠতে পারছিলো না। দ্বীপকের শরীর থেকে সাদা আলো বের হতে শুরু হয় যা তাঁর ক্ষত গুলোকে ঠিক করে দিচ্ছিলো।
>- এই রকম ম্যাজিক শুধু নীলাই করতে পারে, তবে কি নীলার ঘুম ভেঙে গেছে?,,,, ( দ্বীপক ভাবছে )
দ্বীপক নিজের শরীরে হঠাৎ করেই প্রচুর এনার্জি ফিল করতে পাচ্ছিলো যা তাঁর সারা শরীরে দৌড়াচ্ছিলো, দ্বীপক ভাবছিলো এই এনার্জি গুলো নীলার ছিলো কিন্তু যখন সে তাঁর বাম হাতের দিকে তাকালো তখন তাঁর ধারনা টাই পাল্টে যায়। দ্বীপকের বাম হাতে ব্রেসলেইট থেকেই এনার্জি স্রাপ্লাই হচ্ছিলো তাঁর সারা শরীরে, এখন এই ব্রেসলেইটই তাঁর এনার্জি সোর্স হিসেবে কাজ করছে,,,
>- বৃদ্ধ লোকটি বলেছিলো এই ব্রেসলেইট স্পেশাল, তবে কি সত্যি এটা স্পেশাল নাকি আমার ভুল ধারনা,,, ( দ্বীপক ভাবছে )
দ্বীপক দুই হাত মাটিতে সোজা সোজি রেখে ধীরে ধীরে উঠতে লাগলো, গাছ গুলো তাঁর শরীরের উপর থেকে সরে যায়। দ্বীপক উঠে দাঁড়িয়েই জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে,,
>- মনে হচ্ছিলো আমার উপরে কয়েকটি পাহাড় পড়ে ছিলো, এখন নিজেকে অনেকটাই হালকা মনে হচ্ছে। কিন্তু এখানে এই ধংসস্তপ কিভাবে হলো আর এই আওয়াজটাই বা কোথায় থেকে আসছে,,, ( দ্বীপক নিজের সাথে বলছে )
দ্বীপক কোনো কিছু না ভেবে সেই আওয়াজটিকে ফলো করে এগিয়ে যাচ্ছিলো, সামনে বিপদের আশংকা বুঝতে দ্বীপক একটি স্পেল ব্যবহার করলো। " পৌর্টেকশন স্পেল " এই স্পেলটি প্রয়োগ শরীরের মধ্যে আকটি আর্মার চলে আসে যা। যতক্ষন এই আর্মার পুরোপুরি ভাবে ব্রেক না হবে ততক্ষন পর্যন্ত তাঁর কিছুই হবে না। সেই স্পেলের বইয়ের কয়েক হাজার স্পেল তাঁর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো,এই এনার্জি নিয়ে সে যতো স্পেল ব্যবহার করতে পারবে তাই শুধু তাঁর মাথায় আসছিলো। এই গুলো ছিলো সব সাধারণ স্পেল, তাঁর এনার্জি বাড়ার সাথে সাথে তাঁর স্পেল গুলোও ব্যবহার করতে পারবে।
এবার আমাদের গল্পে ফিরে আসা যাক, দ্বীপক আওয়াজটাকে ফলো করতে করতে গ্রামটির কাছে চলে আসে। একটি গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়রো যাতে কেউ তাঁকে না দেখতে পায়।
>- এরা তো গোবলিন, আমি এদের নিয়ে অনেক বই পড়েছি। এদের হারানো অনেকটাই সহজ হবে ,, ( দ্বীপক ভাবছে )
আজ অনেক গুলো গোবলিন গ্রামের চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছে, যাতে সহজে কেউ তাঁদের এট্যাক না করতে পারে। দ্বীপক এখন প্রচুর পরিমানে এনার্জি স্রাপ্লাই পাচ্ছিলো ব্রেসলেইট থেকে যার ফলে সে একাধিক স্পেল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইভানেস্কা স্পেল, দ্বীপক ইভানেস্কা স্পেল ব্যবহার করেছে যা কিছু সময়ের জন্য তাঁকে আদৃশ্য করে রাখবে, আর এই সময়টির মাঝেই তাঁকে গ্রামটির মধ্যে ডুকতে হবে। স্পেলটি প্রয়োগ করার ফলে দ্বীপক ধীরে ধীরে গ্রামের মাঝে প্রবেশ করা শুরু কর,
>- এই স্পেল গুলো সত্যিই মজার ,,,( দ্বীপক ভাবছে )
দ্বীপক আওয়াজটিকে অনুসরণ করে সামনে এগিয়ে যেতে থাকলো আর চারপাশে ভালো করে দেখতে থাকে। গোবলিনরা সব সময় নিজেদের মধ্যেই মারা মারি নিয়ে ব্যাস্ত থাকে যার ফলে তাঁদের বাড়ি ঘরের অবস্থা সব সময়ই খারাপ থাকে। দ্বীপক বুঝতে পারছিলো সে এভাবে আর বেশিক্ষন থাকলে ধরা পড়ে যাবে কারন স্পেলটি তাঁর মানা এনার্জি প্রচন্ড গতিতে ড্রেইন করতেছে যদিও ব্রেসলেইট মানা এনার্জি স্রাপ্লাই দিচ্ছিলো কিন্তু তাঁর কোর এক সাথে এতো এনার্জি নিতে পারছে না। সামনেই অনেক গুলো গোবলিন একে অপরের হাত ধরে বৃত্তাকারে একটি আগুনকে লক্ষ্য করে ঘুরছিলো আর মুখ দিয়ে কি সব ভাষায় গান গাচ্ছিলো যা দ্বীপক বুঝতে পারছিলো। তাঁদের ঠিক পূর্ব পাশে স্যার জ্যামস সহ সবাইকে বেঁধে রাখা হয়েছে মায়াবি রশ্মি দ্বারা যা সবার পাওয়ার অবর্জোব করে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
>- আমি যদি সেখানে ঐশীর ড্যাগার না পেতাম তাহলে হয়তে বুঝতেই পারতাম না তাঁরা কোথায় আছে,,, ( দ্বীপক ভাবছে )
দ্বীপক জ্ঞান ফিরার পরেই তাঁর থেকে কিছুটা দূরেই একটি ড্যাগার দেখতে পায়, ড্যাগারে থেকে যাওয়া হালকা এনার্জি অবর্জোব করার পরেই দ্বীপক বুঝতে পারে এই এনার্জি সোর্স ঐশীর আর এই এনার্জি আসতেছে আওয়াজ আসা গ্রামটি থেকে। দ্বীপকের সাথে সাথে তাঁর শরীরের সাথে বাকি সব কিছুও গায়েব হয়ে গিয়েছে যার ফলে সে ড্যাগারটি হাতে নিয়ে স্যার জ্যামস এবয় বাকি স্টুডেন্টদের দিকে এগিয়ে যায়। দ্বীপক ড্যাগারে নিজের এনার্জি প্রয়োগ করে মায়াবী রশ্মিতে একটি স্লাস দেয় আর সাথে সাথে রশ্মিটি কেঁটে যায় কিন্তু দ্বীপক তখন স্ব-শরীরে সবার সামনে চলে আসে যার ফলে সব গোবলিন কেমন করে দ্বীপকের দিকে তাঁকিয়ে আছে,,,,
>- এখানে নিশ্চয়ই এখন খারাপ কিছু হবে, আমাকে ওই স্পেলটি ব্যবহার করতে হবে,,,, ( দ্বীপক ভাবছে )
কনফান্ডো বা কনফান্ডাস চার্ম। এই স্পেল দ্বারা কাউকে বিভ্রান্ত করতে এবং সাময়িকভাবে স্মৃতি হারিয়ে কাউকে দিয়ে সহজ কোন কাজ করাতে এটি ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ এটার মাধ্যমে মানুষকে অতি অল্প সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
>- যদিও এটি মানুষেন উপরে ব্যবহার করা স্পেল কিন্তু তবুও আমি আশাবাদী,,, ( দ্বীপক ভাবছে )
অনেক গুলো গোবলিন একসাথে দ্বীপকের দিকে এগিয়ে আসে তাকে মারার জন্য ঠিক তখনই দ্বীপক স্পেলটি প্রয়োগ করে বসে গোবলিন গুলোর উপরর। তাঁদের উপর স্পেলটি ব্যবহার করার সাথে সাথেই সবাই দাঁড়িয়ে যায় জেনো সময় থেমে গেছে। দ্বীপক চোখ বন্ধ করে ফেলেছিলো ভয়ে কিন্তু অনেকক্ষন হযে যাওয়ার পরেও যখন কিছু হলো না তখন সে চোখ খুলে দেখতে পায় গোবলিন গুলো তাঁর সামনে হাঁটঁ গেঁড়ে বসে আছে।
>- আদেশ করুন মালিক,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,
,,,,,
,,
,,
To Be Continued