Notification texts go here Contact Us Buy Now!

The power episode 12

 The Power


লেখকঃ- Amran Hossain 


পর্বঃ-১২


দ্বীপক এবং অন্যান্য স্টুডেন্টেরা মিলে একটি মিশনে যাচ্ছিলো, তাঁদের প্রায় সকলেরই লক্ষ্য ছিলো মন্সটার হান্ট করা। কেউ কেউ এই প্রথমবার মন্সটার হত্যা করতে যাচ্ছিলো তাই তারা নার্ভাস হচ্ছিলো। স্যার জ্যামস চারটি টিম তৈরি করেছেন ১৭ জন স্টুডেন্টকে নিয়ে, শুধু মাএ একটি টিমে একজন ছেলে বেশি ছেলে আর সে হলো দ্বীপক আর বাকি টিম গুলোতে ৪জন করে রয়েছে। সব স্টুডেন্টদের একটি ফরেস্টের সামনে নিয়ে আসা হয়েছে মন্সটার হত্যা করার জন্য, যে টিম ফাষ্ট হতে পারবে সবার থেকে মন্সটার বেশি হত্যা করে সেই টিমের প্রত্যেক জন একটি করে গ্রিপ্ট পাবে স্যার জ্যামস থেকে। স্যার জ্যামস চারটি টিমকে একটি ফরেষ্টের কাছে নিয়ে আসলেন যেখান থেকে তাঁদের ভিতরে প্রবেশ করতে হবে, যেহেতু তাঁরা প্রথম বর্ষের স্টুডেন্ট তাই সেখানে একটা রিক্স ছিলো যার ফলে স্যার জ্যামস তাঁর অন্য এক সহকারী শিক্ষকে নিয়ে এসেছেন সাথে করে।  যদি এখানে কোনো শক্তিশালী মন্সটার আক্রমণ করে তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্হানে নিয়ে যাওয়ার জন্যই আরো একজন শিক্ষকের প্রয়োজন ছিলো। 


>- তোমাদের হাতে সময় রয়েছে মাএ একদিন,তোমাদের ব্যাগে এক বেলার খাবার দেওয়া আছে আর বাকি দুই বেলার খাবারের ব্যবস্হা তোমাদের করতে হবে,,,, ( স্যার জ্যামস ) 


স্যার জ্যামসের কথা শেষ হতেই চারটি টিম ফরেষ্টে প্রবেশ করে, চারটিম চারদিকে চলে গিয়েছে স্যার জ্যামস দুই টিমের সাথে গিয়েছে এবং অন্য স্যারটি বাকি থাকা দুই টিমের পিছে পিছে যাচ্ছে।


>- এই বছর এই একাডেমিতে সবচেয়ে ব্রেষ্ট টিম যাবে এরিনায়, আমাদের হারানো সম্মান আবারো ফিরে পেতে হবে। আমাদের শেষ ভরসা এই সতেরো জন। যদি এদের মধ্যে ব্রেষ্ট পাঁচজনকে না পাই তবে হয়তো এই বছরই আমাদের একাডেমি বন্ধ হয়ে যাবে, এখন আমার শেষ ভরসা তোমরা কিন্তু আমাকে দ্বীপকের বিষয়টা ভাবাচ্ছে,,,,( স্যার জ্যামস মনে মনে ভাবতেছিলো ) 


সব স্টুডেন্ট ফরেষ্টে প্রবেশ করার পূর্বে স্যার জ্যামস সবার উপরে একটি পোর্টেকশন স্পেল ব্যবহার করেছেন যাতে তাঁদের কোনো ক্ষতি না হয়। স্পেলটি বাকি সব স্টুডেন্টের উপরে কাজ করলেও শুধু দ্বীপকের উপরে কাজ করে নিই বরং উল্টো স্পেলটি স্যার জ্যামসের কাছেই ফিরে আসে দ্বীগুন শক্তিশালী হয়ে,, 


>- এইটা ঠিক কাউন্টার স্পেলের মতো, মনে হচ্ছে এই ছেলেটি সত্যিই স্পেশাল। আমার মনে হয় মাইশা ঠিকই বলেছিলো,,,, ( স্যার জ্যামস ) 


স্যার জ্যামস মনে কথা গুলো বলছিলো আর হাটঁছিলো আনমনে কিন্তু হঠাৎ কিছু একটার সাথে ভারী খেয়ে সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং একটি পাথরের নিচে পড়ে যান,, 


এই দিকে আমরা যদি সিন চেন্জ করে তাহলে দেখতে পাই দ্বীপকের টিম অনেকই ভিতরে চলে এসেছে ফরেষ্টের, আমরা দেখতে এই টিমে রয়েছে তিনজন ছেলে এবং দুইটি মেয়ে। ছেলে গুলোর মাঝে রযেছে দ্বীপক,নিয়ন এবং আকাশ। মেয়ে গুলোর মাঝে রয়েছে মাইশা এবং ঐশী,, তাঁরা বাকি চারজন একসাথে কথা বলতে বলতে যাচ্চিলো আর দ্বীপক তাঁদের পিছনে ছিলো। তাঁর এখন একজনেরই কথা মনে হচ্ছে সে আর কেউই সে ছিলো আকাশ, তাঁর অনেক রাগ হচ্ছিলো আকাশের মতো। দ্বীপকের নিজের পৃথিবীতেও আকাশ ছেলে নাম্বার ওয়ান বারোভাতারি,আকাশের ব্রেষ্ট ফ্রেন্ড হওয়ার কারণে সে ভালো করেই জানতো আকাশ কেমন ছেলে। নওরিনের প্রতি তাঁর এমনি এমনি রাগ হয় নিই সেই রাগের মূল কারন ছিলো আকাশ। নওরিন যদি আকাশ কে বিয়ে না করে অন্য কাউকে করতো তাহলেও তাঁর এতো রাগ হতো না কিন্তু আকাশের কথা শুনার পরেই তাঁর মাথায় রক্ত উঠে যায় এখন,,,,,


>- আমি চাচ্ছিলাম না এই আকাশকে কিছু করতে কিন্তু সে আমাকে বাধ্য করতাছে। তাঁকে একটা উচিত শিক্ষাই দিতে হবে আজকে,,,, ( দ্বীপক ভাবছে ) 


দ্বীপক পিছনে ছিলো আর বাকি চারজন ছিলো সামনে তাই তাঁদের সব কার্যকলাপ দ্বীপক দেখতে পাচ্ছিলো, নিয়ন কোনো কথাই বলছিলো না সে তাঁর চিন্তা নিয়ে ব্যাস্ত,আর এই দিকে আকাশ মেয়ে দুটোকে নিয়ে ব্যাস্ত। টিম গঠন করার পর থেকেই আকাশ কথা বলে যাচ্চিলো ওদের সাথে, প্রথমে মেয়ে গুলো কোনো কথা না বললেও এখন তাঁরাও শুরু করেছে আকাশের কথা বলা যা দ্বীপকের কোনো ভাবেই সহ্য হচ্ছিলো না,,, 


>- সামনেই একটা মন্সটারের এনার্জি অনুভব করতে পারছি আমি যা আমি আগে পারতাম না, এই মন্সটার দিয়েই তাঁকে একটা শিক্ষা দিতে হবে,,, ( দ্বীপক ভাবছে ) 


নিয়ন হঠাৎই থেমে গেলো, নিয়ন থেমে যাওয়ার সাথে সাখে বাকি সবাই থেমে গেলো,,,, 


>- কি হইছে নিয়ন তুমি থেমে গেলে কেনো?,,, ( ঐশী ) 


>- চুপ কোনো কথা বলবে না, আমাদের আশে পাশে অনেক গুলো মন্সটার রয়েছে যা এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে,,, ( নিয়ন ) 


নীয়নের কথা শুনার পরে ঐশী নিজের এনার্জী চারদিকে ছড়িয়ে দিতে শুরু করলো, এই এনার্জির সংস্পর্শে অন্য কোনো এনার্জি আসলে সেখানে একটি শক্ ওয়েব তৈরি হবে ঠিক অনেকটা ভাইব্রেশনের মতো। যতো বার ভাইব্রেশন করবে ঠিক ততোটা মন্সটারের অওরা এনার্জি কোথায় থেকে আসছে তা বুঝা যাবে, এনার্জি দেখা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায়।  দ্বীপক এনার্জি অনুভব করতে পাচ্ছিলো না বরং সে দেখতে পাচ্ছিলো এই এনার্জি কোথায় হতে আসচিলো,, তাঁদের চারদিকে অনেক গুলো কালো রঙয়ের এনার্জি ঘুরে বেড়াচ্ছে যার দ্বারা বুঝা যাচ্ছে এখানে মন্সটারের একটি দল রয়েছে,, 


>- সবাই নিজেদের অস্ত্র বের করো, এখানে একটি দুইটি মন্সটার নয় প্রায় ১০০ এর উপরে রয়েছে,,,,( ঐশী )


এই দুনিয়ায় অনেক ধরনের এনার্জি পাওয়া যায়, প্রাকৃতিক এনার্জি যা প্রকৃতিতে তৈরি হয়, মানা এনার্জি,অওরা এনার্জি আর সব শেষে রয়েছে ডিম্যানিক এনার্জি। ডিম্যানিক এনার্জি ছাড়া বাকি দুটো এনার্জি প্রাকৃতিক এনার্জি থেকেই তৈরি বা ধরতে পারেন প্রাকৃতিক এনার্জী থেকে কনর্ভাট হয়ে তা তখন ভিন্ন ভিন্ন এনার্জিতে রুপান্তরিত হয়। সুতারাং ডিম্যানিক এনার্জি ছাড়া বাকি সব গুলোর এনার্জির সোর্সই হলো প্রাকৃতিক এনার্জি বা চি্-এনার্জি,, আমরা এখন ওই দিকে না গিয়ে বরং গল্পে ফিরে যাই,,,, 


ঐশী নিজের এনার্জি চারদিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলো, নিজের এনার্জি ইচ্ছে মতো কন্টোল করতে সবাই পারে না এই ব্যাক্তি গুলো অনেকটা শক্তিশালী হয়ে থাকে। এনার্জী ব্যবহার করা তিনটি মাধ্যমে, ১ঃ স্পেলের মাধ্যমে, ২ঃ বিভিন্ন ধরনের সোর্ড বা অস্ত্রের মাধ্যমে,আর সব শেষে রয়েছে এনার্জি কন্টোলার। এনার্জি কন্টোল করতে হলে অনেক দিনের কাল্টিবেশনের জ্ঞান প্রয়োজন তবে কিছু কিছু ব্যাক্তি জন্ম থেকেই কন্টোল করতে পারে এনার্জি আর এদের মধ্যে একজন হলো ঐশী।


দ্বীপক সহ সবাই গোল হয়ে দাঁড়িয়েছে চারদিকে, অনেকটা গোলাকৃতির মতো যেখানে সবাই সবাইকে সব দিক থেকে রক্ষা করতে পারবে। এখন কেউ যদি একলা ফাইট করতে যায় তবে তাঁকে আর বেঁচে ফিরতে হবে না, একটা দুইটা মন্সটার হলে পারা যেতো কিন্তু এখানে রয়েছে প্রায় ১০০ এর উপরে। এতো গুলোর মন্সটারের সাথে একজন ব্যাক্তি কখনোই পারবে না,, চারদিক থেকে অনেক গুলো নেকড়ে যা চারদিক থেকে ঘিরে ধরলো সবাইকে। 


>- এই নেকড়ে গুলো অনেকটা পৃথিবীর নেকড়ে গুলোর মতো তবে এখানে পার্থক্য রয়েছে,এই নেকড়ে গুলোর স্পিড অনেক বেশী তাছাড়াও এদের নখ প্রচুর ধারালো তাই আমাকে সাবধান থাকতে হবে,,,, ( দ্বীপক ভাবছে )


অনেক গুলো ফায়ার বল ছুড়ে মারলো নেকড়ে গুলোর দিকে আকাশ, তবে নেকড়ে গুরো সব গুলো থেকেই বেঁচে গেলো যেহেতু তাঁদের স্পিড বেশী রয়েছে তাই তাঁদের উপরে সাধারন ফায়ার বল কাজে দিবে না। ফায়ার পান্স, আকাশ তাঁর আরো একটি স্পেল ব্যবহার করলো,আকাশ তাঁর ডান হাতে নিজের এনার্জি ফোকাস করে মাটিতে আঘাত করে। মাটি থেকে অনেক গুলো আগুন বের হতে শুরু করে যা আকাশ কন্টোল করছিলো, রাউন্ড ফায়ার সার্কেল, আকাশ ফায়ার পান্সের মাধ্যমে তাঁর এনার্জিকে ফায়ারে রুপান্তরিত করেছিলো আরো একটি স্পেল ব্যবহার করার জন্য আর তা হলো রাউন্ড ফায়ার সার্কেল। আগুনের একটি সার্কেল তৈরি হলো তাঁদের পাঁচজন কে ঘিরে যাতে সবাই নিজেদের প্রস্তুতি নিতে পারে,,,,


>- এই ফায়ার সার্কেল আমি বেশিক্ষন রাখতে পারবো না এইটা আমার এনার্জি খুব তাড়াতাড়ি শেষ করে দেয়,,,( আকাশ ) 


নিয়ন নিজের সোর্ড বের করলো, ডিভাইন সোর্ড গুলোর স্পেশাল পাওয়ারের মধ্যে এটিই একটি যা বাকি সাধারন সোর্ড থেকে আলাদা করে। এই সোর্ড গুলো যে ব্যবহার করবে তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য হয়ে থাকে যার ফলে এই গুলো কষ্ট বহন করতে হয় না। ঐশী নিজের ড্যাগার বের করলো কারন সে ক্লোজ রেঞ্জের ফাইটার, যদি তাঁকে কেউ দূর থেকে এট্যাক করে তবে সে তা আটকাতে পারে না তাই সে সমস্ত ভয়কে দূরে পেলে দিয়ে শএুর সামনে থেকে ফাইট করে। মাইশাও একটি সোর্ড বের করলো যা অনোটা পুরোনো মনে হলো দ্বীপকের কাছে, জেনো কয়েকশো বছর যাবত এই সোর্ড কেউই ব্যবহার করেনি আর তাছাড়াও সোর্ডটি কি সব আজব ধরনের লেখা। দ্বীপক এখন নিজের সোর্ড ব্যবহার করতে পারবে না, তাঁর সোর্ড ব্যবহার করতে হলে দরকার পড়বে স্পিরিট এনার্জির যা এখন তাঁর কাছে নেই। 


>- আমি এখন নীলাকে মিস্ করতেছি, সমস্যা নেই আমার নতুন স্পেল গুলো প্রয়োগ করার সময় এসে গেছে,,,( দ্বীপক ভাবছে ) 


আকাশ তাঁর স্পেল ক্যান্সেল করে দিলো আর সাথে সাথে নেকড়ে গুলো নিজেদের স্পিড বাড়িয়ে এগিয়ে আসতে লাগলো নিয়নের টিমের দিকে,,, 


***********


আমরা সিন চেন্জ করলে দেখতে পাই একটি টিম গিয়েছিলো ফরেষ্টের পূর্ব দিকে যারা এখনো পর্যন্ত কোনো মন্সটারের সম্মুখীন হয় নিই। তাঁরা সবাই একটি জায়গায় বসে বিশ্রাম নেওয়ার কথা ভাবছিলো কিন্তু টিক তখনই তাঁদের উপরে কোথাও থেকে একটি জাল সে পড়ে যা সবার এনার্জিকে এবর্জোব করতে থাকে অনেক দূত সবাই নিজেদের এনার্জি হারিয়ে সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে,,,, 


>- অবশেষে অনেক দিন পরে মানুষের মাংস খেতে পারবো হাহাহাহা,,,


>- মালিক আমার মনে হচ্ছে এখানে আরো অনেক গুলো মানুষ রয়েছে আমরা কি তাঁদেরও বন্ধি করবো,,,, 


অনেক গুলো লোক দাঁড়িয়ে হাসছিলো ছেলে মেয়ে গুলোর দিকে তাঁকিয়ে, লোক দেখতে কিছুটা মানুষের মতো হলেও তাঁদের নাক কান অনেক বড় ছিলো, গায়ের রং ছিলো সামান্য সবুজ রংয়ের, অনেকটাই খাটো মানুষ থেকে,,, 


>- আম্মু আজকে আমি মানুষের মাংস দিয়ে বিরিয়ানি কাবো,,,,, 


একটি ছোট বাচ্চা তাঁর মাকে হাত দিয়ে ইশারা করে বুঝাচ্ছিলো আর বলছিলো সে মানুষের মাংমের বিরিয়ানি খাবে,, 


>- আজকে আমরা সবাই বিরিয়ানি খাবো হাহাহাহ,,,,



এক ব্রিশি হাঁসিতে কেঁপে উঠে সারা ফরেষ্ট যার ফলে বনের পাখি গুলোও আকাশে ডানা মিলে, কেউ জানে না এই ছেলে মেয়ে গুলোর কি হবে আজকে,,,,,,, 


,,,,,,,,


,,,,


,,,


,,


To Be Continued  

Getting Info...

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.