The Power,,,S1
লেখকঃ- Amran Hossain
পর্বঃ- ০৮
***********************বর্তমানে *************************
>- আচ্ছা দাদাজী দ্বীপক আর নীলার সাথে পরবর্তীতে কি হয়েছিলো,,,,
>- সেই গঠনাই তো তোমাকে বলতে চাচ্ছিলাম আমি,,,
>- হুম,,বলো আমি শুনতেছি,,
>- নীলা তাঁর ডানা বের করেছিলো দ্বীপকের পায়ের ক্ষত গুলো হিল করার জন্য,,,,,
*********
***************
দ্বীপকের পায়ের ক্ষত গুলো ঠিক হয়ে যায় নীলার ডানার আলো পড়ার সাথে সাথেই, দ্বীপক অবশ্য নীলাকে জিজ্ঞেস করেছিলো এই গুলো কিসের ডানা ছিলো কিন্তু নীলা বলেছে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করার জন্য,, দ্বীপক এবং নীলা বর্তমানে গোল্ডেন সিটির রাজধানীতে প্রবেশ করেছে,একটি রাজ্য তৈরি হয় ছোট ছোট কয়েকটি অঙ্গ রাজ্য নিয়ে যা অনেকটাই ছোট হয়,, দ্বীপক খালি পায়ে হাঁটতে ছিলো রাস্তায় যার ফলে তাঁর অনেকটাই কষ্ট হচ্ছিলো তাঁর জন্য তা,,
নীলা আর দ্বীপক একটি দোকানে প্রবেশ করে,তাঁদের পরণে যেই পোশাক ছিলো তা ছিলো এই দুনিয়ার জন্য অনেকটাই ভিন্ন যার ফলে অনেকেই তাঁদের দিকে তাঁকিয়ে ছিলো, নীলা এখানকার সাধারণ নারীদের একটি পোশাক পড়ে নিলো, যা ছিলো সবটাই সাদা রংয়ের অনেকটা লেহেঙ্গার মতো, তাঁর চুল গুলো একটি কাঠির দ্বারা মাথায় আটকানো ছিলো,তাঁর মাথা আটকানো কাঠিটা আর আট দশটা কাঠির মতো সাধারন নয়, এটি ছিলো সেই ওয়াইট সোর্ড যা সেই বৃদ্ধার বাড়িতে পেয়েছিলো নীলা এবং দ্বীপক,, সোর্ডটিকে নীলা একটি কাঠির রুপে নিয়ে গিয়েছে যাতে কারোর সন্দেহ না হয় যে তাঁদের কাছে একটি ডিভাইন সোর্ড রয়েছে,,
দ্বীপকও ততক্ষণে বের হয়ে এলো ভিতর থেকে, দ্বীপক একজন সাধারন লোকের মতোই পোশাক পড়েছে কিন্তু নীলাকে সাধারনের বেশেও অসাধারন লাগছিলো, শত হলেও তো সে একজন স্পিরিট,,,
পৃথিবীতে যেমন কোনো কিছু কিনলে তাঁর মূল্য পরিশোধ করতে হয় এখানেও ঠিক একি নিয়ম তবে কিছুটা পার্থক্য আছে এখানে,আমরা পৃথিবীতে কাগজের টাকা ব্যবহার করি কিন্তু এখানে কয়েন ব্যবহার করা হয়। ১০০০ সাধারণ কয়েনে ১টি সিলবার কয়েন, ১০০০ সিলবার কয়েনে ১টি গোল্ড কয়েন।
নীলার কাছে পরিমাণে গোল্ড কয়েন আছে যার ফলে তাঁদের কোনো সমস্যাই হওয়ার কথা না,নীলা এবং দ্বীপক এই বাজারের মধ্যে ঘুরে ঘুরে অন্য জিনিষ পএ দেখতে লাগলো। হঠাৎ করেই দ্বীপকের চোখ একটি দোকানের দিকে যায় যেখানে একটি বৃদ্ধ লোক দাঁড়িয়ে চাইলো আর কিছু ছেলে কিছু একটা নিয়ে ঝামেলা করছিলো। দ্বীপক সেই দোকানের দিকেই এগিয়ে গেলো আর কাছে যেতেই সে বৃদ্ধটির এবং ছেলে গুলো কথোপকথন শুনতে পেলো।
>- আমি এই ব্রেসলেইট এতো কম দামে বিক্রি করবো না। এই ব্রেসলেইট অমূল্য সম্পদ আমাদের বংশদের। আপসোস আমার কোনো বংশধর নেই আজ জীবিকার প্রয়োজনে এই ব্রেসলেইট আমাকে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমি ৫০টি গোল্ড কয়েন ছাড়া এটি বিক্রি করবো না,,,,,( বৃদ্ধা )
>- আমি তোরে ৫০০ সিলবার কয়েন দিচ্ছি এই ব্রেসলেইট আমাকে দিয়ে দেয় নাহলে কিন্তু ভালো হবে না,,,, ( ছেলে গুলোর মাঝে একজন )
>- আমি এতো কম দামে বিক্রি করবো না,,( বৃদ্ধা )
>- আমি ৫০০টি গোল্ড কয়েন দিবো, এই ব্রেসলেইট আমি কিনবো,,,, ( দ্বীপক )
সেখানে থাকা সব লোকই দ্বীপকের কথায় অবাকের শীর্ষ স্হানে পৌছে গেছে। ৫০০ গোল্ড মানে অনেক কিছু আর এই ছেলেটি এই সাধারণ ব্রেসলেইটের জন্য ৫০০ গোল্ড কয়েন দিতে প্রস্তত।
>- তোমার সাহস তো কম না। তুমি জানো কে আমি?,,, ( ছেলে গুলোর মাঝে একজন )
>- না আমার জানার প্রয়োজনও নেই,,, ( দ্বীপক )
দ্বীপক বৃদ্ধাটির সামনে এসে তাঁকে গোল্ড কয়েন গুলো দিয়ে ব্রেসলেইট নিয়ে নিলো। দ্বীপক ব্রেসলেইটটি তাঁর বাম হাতে পরে নিলো। সোনার কারুকার্যে তৈরি,সোনার উপরে নীল রংয়ের কিছু একটা রয়েছে যা পানীয় জাতীয়। দোকানে প্রথমে ছেলে গুলোর একজন দ্বীপকের মুখে একটা ঘুষি মেরে বসে হঠাৎ আক্রমন করায় দ্বীপক ডিফেন্স করতে পারলো না। দ্বীপক দুটি চোখ বন্ধ করে ফেললো ভয়ে যখন দেখলো অনেক্ষন হওয়ার পরেও কিছু হয় নিই তখন সে চোখ মেলে তাকায়।
নীলা যে কিনা অন্য একটি দোকানে গিয়েছিলো কিছু খাবার কিনার জন্য সে হঠাৎ অনুভব করে দ্বীপকের উপরে কেউ আক্রমন করতেছে। নীলা নিজের সমস্ত স্পিড ব্যবহার করে দ্বীপকের কাছে চলে আসে। নীলার স্পিড এতোটাই বেশি ছিলো যে সেখানে থাকা সবাই মনে করেছিলো নীলা টেলিপোর্টেশন স্পেল ব্যবহার করেছে। কিন্তু টেলিপোর্টেশন স্পেল এমন একটি স্পেল যা সাধারন এনার্জি ব্যবহার করা ব্যাক্তিরা ব্যবহার করতে পারে না , আচ্ছা যায় হোক আমাদের গল্পে ফেরা উচিত।
যখন দ্বীপকের মুখে ঘুষিটা লাগবে তখন সেখানে দ্বীপকের সামনে নীলা উপস্থিত হয় আর সেই ছেলেটির হাত ধরে ফেলে, ব্যাপারটি এতোটাই দ্রুত হয়েছিলো যে কেউই বুঝতে পারে নিই সেখানে কি ঘটেছিলো।
নীলা ডান হাত দিয়ে ধরে রেখেছে ছেলেটির হাত এই দিকে ছেলেটি তো নীলার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কিছুই বলতে পারছিলো না কিন্তু নীলা তো আর বসে থাকার মেয়ে নয় সে তাঁর স্পিরিট এনার্জি বাম হাতে চ্যানাল করে ব্লাস্ট মুড ব্যবহার করে।
অন্য ছেলে গুলোও নীলার দিকে একদৃষ্টিতে তাঁকিয়ে ছিলো আশে পাশের কোনো খেয়ালই ছিলো না তাঁদের কিন্তু একটি বিকট শব্দে তাঁদের সেন্স ফিরে আসে। পিছনে তাঁকিয়ে দেখে তাঁদের বন্ধু কয়েকটি বাড়ির দেওয়াল ভেঙে অনেক দূরে গিয়ে পড়েছে এবং নিজের সেন্স হারিয়ে ফেলেছে সে।
>- আমার বন্ধুকে আক্রমন করেছো তুমি, তোমাদের মধ্যে একজনও আজ এখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারবে না। অনেক দিন কাউকে মারি না তাহলে খেলা শুরু করা যাক,,, ( ছেলে গুলোর লিডার )
এখানে মূলত চারটি ছেলে ছিলো,একজন তো নিজের সেন্স হারিয়ে ফেলে পরে আছে আর বাকি তিনজনের দুইজন আহত হওয়া ছেলেটিকে হিল করা শুরু করেছে। তাঁদের মধ্যে লিডার যে ছিলো সেই উপরোক্ত কথাটি বলে নিজের সোর্ড বের করে এগিয়ে গেলো নীলার দিকে,,
>- আজ নিয়নের হাত থেকে মেয়েটি কোনো ভাবেই বাঁচতে পারবে না,,
>- নিয়ন কিং সোর্ডস ম্যান লেভেলে রয়েছে,
>- মেয়েটি কোনো ভাবেই পারবে না নিয়নের সাথে,,
সেখানে থাকা সবার দৃষ্টি এখন নিয়ন এবং নীলার দিকে, নিয়ন যে কিং সোর্ডস ম্যান লেবেলে রয়েছে আর নীলা যে এখনো তাঁর কাল্টিবেশন লেবেল একে রয়েছে সে কি পারবে নিয়নের সাথে লড়তে।
>- তুমিও নিজের অস্ত্র বের করো কারন আমি সেন্স করছি তোমার কাছেও এমন কিছু রয়েছে যা টক্কর দিতে পারে আমার সোর্ডের সাথে। আজ পর্যন্ত আমার সোর্ডের সাথে কোনো সোর্ডই টিকতে পারে নাই আজ তোমার সোর্ডের শেষ দিন,,,, ( নিয়ন )
নিয়ন নীলার দিকে তাঁকিয়ে তাচ্চিল্যাের সুরে কথা গুলো বলছি আর হাসছিলো সে ভেবেছে নীলা তাঁর সাথে পারবে না,,,
>- আমি আমার বন্ধুর মতো প্রতিপক্ষকে দুর্বল হিসেবে নিতে পারবো না। এই মেয়েটি হঠাৎ এখানে এসেছে তাঁর মানে ছেলেটির সাথে তাঁর কোনো সম্পর্ক আছে। এখানে থাকা সবাই ভেবেছে মেয়েটি টেলিপোর্টেশন স্পেলের মাধ্যমে এখানে এসেছে কিন্তু আমি দেখেছি মেয়েটি তাঁর স্পিডের মাধ্যমে এখানে এসেছে। তাঁর সাথে আমি কখনোই লং রেন্জে পারবো না,,,,
নিয়ন মনে মনে কথা গুলো বলছিলো আর কিছুটা ভয় পাচ্চিলো কারন এই প্রথম বারের জন্য এমন একজনের সাথে লড়াই করছিলো যে তাঁর সমান শক্তিশালী বা তার থেকে বেশি। নিয়ন তাঁর সোর্ডের হাতল ধরে টেনে আনছিলো আর নিজের ফায়ার এনার্জি প্রয়োগ করছিলো সোর্ডে।
নীলা এইবার সোর্ড বের করার সিধান্ত নিচ্ছিলো,নীলা নিজের চুলের কাঠিটা জোরে টান দিলো আর সাথে সাথে তাঁর চুল গুলো বের হয়ে এলো। এমনিতেই তাঁর চুল গুলো বড় ছিলো আর এখানে বাতাস থাকার ফলে তাঁর চুল গুলো হাওয়ায় ভাসছিলো, কাঠিটা ধীরে ধীরে সোর্ডে রুপান্তর হয়ে গেলো।
নীলার সোর্ডের হাতলটি ছিলো সোনার তৈরি আর ব্লেডটি কি দিয়ে তৈরি তা জানা নেই তাঁর তবে তা ছিলো একদম সাদা আর সাথে তো রয়েছেই ধারালো।
>- তাহলে চলো শুরু করার যাক,,, ( নীলা )
নীলা এই বলে নিজের স্পিড ব্যবহার করে এগিয়ে যেতে লাগলো নিয়নের দিকে নিয়নও নিজের স্পিড ব্যবহার করে এগোতে লাগলো নীলার দিকে।
দুইজন একএ হওয়ার সাথে সাথে পুরো মাটি কাঁপতে থাকে,প্রচন্ড শক্তি ব্লাস্ট একটি যার ফলে পুরো রাজ্যসহ কেঁপে উঠে কিছুক্ষনের জন্য,,
নিয়ক যে কিনা একজন বৃদ্ধ দোকানদার থেকে জোর পূর্বক একটি ব্রেসলেইট কিনে নিতে চায় তাকে বাধা দেয় দ্বীপক। দ্বীপক উচ্চ মূর্ল্যে কিনে নেয় সেই ব্রেসলেইট, যার ফলে রেগে যায় নিয়ন এবং সে ফাইট করার সিদ্ধান্ত নেয় দ্বীপকের বিরুদ্ধে। নিয়নের এক বন্ধু যখন দ্বীপক কে আক্রমন করতে যায় তখন বাঁধা হয় দাঁড়ায় নীলা এবং নিয়নের বন্ধুর আক্রমন করে বসে যার ফলে নিয়ন আরো রেগে গিয়ে নীলার সাথে ফাইট করা শুরু করে। যখন তাঁরা একে অপরকে আক্রমন করতে যায় তখন সেখানে এক বিশাল ব্লাস্ট হয় যার ফলে পুরো রাজ্য সহ কেঁপে উঠে এবং সেই জায়গা ধূলোয় অন্ধকার হয়ে যায়।
যখন ধূলো কেটে গেলো তখন সবাই দেখতে পেলো আরো একজন ব্যাক্তিকে যে তাঁর ডিফেন্স ফর্মে দাঁড়িয়ে আছে। নীলা অন্যদিকে দাঁড়িয়ে আছে আর তাঁর চারপাশে একটা ব্যারিয়ার দেখা যাচ্ছে যা প্রায় ভেঙে যাওয়ার পথে। নিয়ন অনেক দূরে পড়ে আছে, ব্লাস্টের আগে সে ব্যারিয়ার তৈরি করতে পারে নাই যার ফলে সে কিছুটা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। তখন ডিফেন্স ফর্মে থাকা লোকটি বলতে লাগলো,,,
>- আমি গোল্ডেন সিটির সেনাপতি আর্কার। গোল্ডেন সিটির নিয়ম ভেঙে ফাইট করার অপরাধে তোমাদের তিনজন কে আটক করা হলো,,,, ( আর্কার )
আর্কার কথা গুলো বলার পরেই সেখানে আরো কিছু ব্যাক্তিরা উপস্থিত হলো যারা সবাই গোল্ডেন আর্মার পড়ে রয়েছে।
>- এদের সবাইকে বন্ধি করো,,, ( আর্কার )
এখান সেনাপতি আর্কার ছাড়া আরো চারজন উপস্থিত রয়েছে আর সেনাপতি সহ পাঁচ জন। নীলা কোনো ভাবেই পাঁচ জনের সাথে একা ফেরে উঠবে না তাই নীলা তাঁর সোর্ডকে আবারো কাঠিতে রুপান্তর করে মাথার চুলে গেঁথে দেয় এবং এগিয়ে দ্বীপকের হাত ধরে টেনে উঠায় মাটি থেকে। নীলা নিয়নের সাথে ফাইটে নামার আগেই দ্বীপকের উপরে প্রটোকেশন স্পেল ব্যবহার করে গোপনে যাতে সে যদি নিয়নের সাথে হেরেও যায় তাহলেও জেনো দ্বীপকের ক্ষতি না হয়।
নীলা আর নিয়নের সোর্ড থেকে যে লিক হয়েছিলো তাই পুরো রাজ্যকে কাঁপানোর জন্য যতেষ্ট ছিলো,,
>- আমি মেয়েটি যতটুকু কম হিসেবে নিয়েছি কিন্তু সে আমার থেকে কম শক্তিশালি নয় বরং হয়তো আমার থেকেও শক্তিশালী। আমার ডিভাইন সোর্ড ক্লাটার পর্যন্ত কিছু করতে পারে নিই তোর সোর্ডকে এর থেকে বুঝা যায় তাঁর সোর্ডটিও কোনো ডিভাইন সোর্ড হবে,,,,,
নিয়ন মনে মনে কথা গুলো ভাবছিলো আর অপর দিকে নীলার মনেও একি ভাবনা চলছিলো এই দিকে দ্বীপক জেনো নিজের মধ্যে নেই ঠিক যেমনটা হয় মানুষ কোমায় চলে গেলে। সব কিছু দেখতে পারবে শুনতে পারবে কিন্তু কিছুই করতে পারবে না।
একটা গোড়ার গাড়িতে করে নিয়ন, নীলা এবং দ্বীপককে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো রাজ দরবারে যেখানে তাঁদের বিচার করা হবে, আর এই দিকে যেখানে ফাইট হয়েছিলো সেখানে বিশাল রকমের ক্ষতি হয়েছে। চারপাশের অনেক দোকান ভেঙে গেছে এমনকি কিছু কিছু দোকান তো তাঁর নিদিষ্ট জায়গা থেকেই সরে গেছে বহু দূর। দুই জন সৈনিক এই জায়গাটিকে ঠিক করার কাজে লেগে পরে আর সেনাপতি আর্কার এবং বাকি দুই সৈনিকের সাথে নিয়ন,নীলা এবং দ্বীপক যেতে লাগলো রাজদরবারে,,,,,,
********
হাহাহা ছেলেটিকে বোকা বানিয়ে দিলাম,এই ব্রেসলেইট আমি নদীর পাড়ে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। এখন আমি বড়লোক হয়ে গেছি হাহাহাহা,,,,,,,, ( বৃদ্ধ লোকটি )
,,,,,,,,,
,,,,
,,
,,,
To Be Continued