The Power,,,S1
লেখকঃ- Amran Hossain
পর্বঃ- ০৭
এটা কি? কি হচ্ছে আমার সাথে এই সব? আমি তো কোনোদিনও এমন জীবন চাই নাই? আমি এমন একটি জীবন চেয়েছিলাম যেখানে আমার মা-বাবা আমি সুখে শান্তিতে থাকতে পারবো কিন্তু সৃষ্টি কর্তা হয়তো তা চাচ্ছেন না, জানি না মা এখন কেমন আছে?
হয়তো ওনি আমার অপেক্ষায় আছে কবে আমি ফিরে যাবো ওনার কাছে,একটু আগেই বৃদ্ধাটির কুঠিরে ফিরে আসি আমি তবে এসে দেখতে পেলাম বৃদ্ধাটি মারা গিয়েছে অবশ্য মারা যায় নিই বরং তাঁকে হত্যা করা হয়েছে,, একটি সাদা রংয়ের সোর্ড তাঁর বুক ভেদ করে হার্টকে ফুটো করে গেঁথে আছে।
কুঠিরের ভিতরে সব আসবাবপত্র চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে জেনো মনে হচ্ছে এখানে কেউ একজন কিছু খুজতে ছিলো যা হয়তো বৃদ্ধা হতে দেয় নাই যার ফলে তাঁকে মরতে হয়েছে,,
>- নীলা এখন আমি করবো?,,,, ( দ্বীপক )
দ্বীপক কথাটি বলার পরেই নীলা বের হয়ে আসে দ্বীপকের শরীর হতে, নীলা দ্বীপকের শরীর হতে বের হতে পারবে না যতক্ষন না সে আদেশ দিবে বের হওয়ার, একজন স্পিরিট হওয়ার ফলে সে একজন কিং লেভেলের ম্যাজিশিয়ান ছিলো তবে দ্বীপক যেহেতু এখনো অনেক দুর্বল তাই নীলা চাইলেও নিজের ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারবে না। যদি নীলা এখন ম্যাজিক ব্যবহার করার চেষ্টা করে তবে হতে দ্বীপকের সোলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে তাই সে ম্যাজিক ব্যবহার করা থেকে বিরত রয়েছে,,,
>- দ্বীপক তুমি বৃদ্ধাটির শরীর থেকে সোর্ডটি বের করে নাও তবেই সব সমস্যার সমাধান হবে,,,, ( নীলা )
নীলা যদিও এখন বাহিরে উপস্থিত ছিলো তবুও সে একজন স্পিরিট যার জন্য তাঁর নিদিষ্ট কোনো শরীর ছিলো না, স্ব-শরীরে আসার জন্য তাঁর একটি শরীরের প্রয়োজন পড়বে,, দ্বীপক সোর্ডটি বৃদ্ধার শরীর থেকে বের করার পরে বৃদ্ধার শরীর ছোট ছোট বালু কণায় পরিণত হয়ে বাতাসের সাথে মিশে যায়,,
>- এটি একটি ডিভাইন সোর্ড, তবে এটির কি ধরনের পাওয়ার রয়েছে তা আমি বলতে পারবো না,,,,, ( নীলা )
>- তোমাকে আর আমার শরীরে লুকিয়ে থাকতে হবে না, তুমি এখন থেকে আমার সাথেই থাকবে,,,, ( দ্বীপক )
দ্বীপক কথাটি বলার পরেই নীলার সারা শরীরে এক ধরনের সোনালী আলো জ্বলে উঠে যার ফলে দ্বীপক তাঁর দিকে তাঁকাতে পাচ্ছিলো না, যখন আলো কমে গেলো দ্বীপক দেখতে পেলো নীলার জায়গায় অন্য একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,,
মেয়েটিকে দেখার পরেই তাঁর হার্ট কাঁপতে শুরু করেছে, কোমর পর্যন্ত তাঁর চুল,সাদা একটি লেহেঙ্গা পড়ে আছে সে, সারা শরীর ধবধবে ফর্সা, চুখের মণি দুটো ঘন কালো,তবে মনে হলো মেয়েটি দ্বীপকের থেকে অনেকটাই খাটো,মেয়েটির ডান হাতেই রয়েছে দ্বীপকের হাতে থাকা সোর্ডটি, তবে কিভাবে সেটি মেয়েটির কাছে গেলো তা দ্বীপক ভেবে পেলো না,,,
>- এই সোর্ড গত ৩ হাজার বছর ধরে রক্ষা করে আসতেছি আপনার জন্য মাষ্টার,, আমার উপরে আপনার পুরো অধিকার রয়েছে মাষ্টার, আমাকে আপনার জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে,,,,( নীলা )
নীলা হাটু ভেঙে দ্বীপকের সামনে বসে সোর্ডটি উচু করে ধরলো দুই হাত দিয়ে, এই দিকে দ্বীপক তো নীলার আসল রুপ আর তাঁর কন্ঠ স্বর শুনেই ফিট হয়ে নিছে পড়ে গেলো যা দেখে নীলা হাসতে শুরু করলো,,,
>- আমার আসল রুপের ২৫% দেখেই আপনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন, জানি না পুরোটা দেখলে কি করবেন হাহাহাহা,, তবে মনে হচ্ছে আপনার সাথে জীবনে চলার পথে আমাকে অনেক কিছু সহ্য করে নিতে হবে হাহাহাহাহা,,,,,( নীলা )
*********
আমার এখন নিজেরই লজ্জা লাগছে,জানি না আজকে আমার সাথে কি হয়েছে? ,, নীলাকে দেখার পরেই আমার মনে লাড্ডু ফুটতে চলেছে জানি না সামনে কি হবে?,,
>- কি ভাবছেন আপনি?,,,, ( নীলা )
>- না কিছু না,,, ( দ্বীপক )
>- আমি কিন্তু আপনার মনের কথা শুনতে পারি তাই আমার সামনে কিছু গোপন করে লাভ নেই,,,, ( নীলা )
মনে হচ্ছে এবার আমাকে ভালোই বিপদে পড়তে হবে, এই মেয়েটাও যা শুরু করেছে তাতে মনে হচ্ছে এবার নিজেকে সংযত করতে হবে,,
>- আমি কিন্তু এটাও শুনতে পাচ্ছি😒😒,,, ( নীলা )
>- ধ্যাত এবার আর আমি কোনো কথাি বলবো না 😤😤😤,,( দ্বীপক )
দ্বীপক অনেকটাই রেগে গিয়েছে যা তাঁর চেহেরা দেখেই বুঝা যাচ্ছে, তাঁর চোখ দুটি রক্ত বর্ণ ধারন করেছে জেনো মনে হচ্ছে এই চোখ দুটো দিয়েই নীলাকে শেষ করে দিবে, নীলাও দ্বীপকের চোখ রাঙানো দেখে নিজের কথা বলা বন্ধ করে দিলো,তাঁরা দুইজনই পাহাড়ের চূড়া থেকে নেমে আসতে ছিলো লোকালয়ের দিকে যাওয়ার জন্য, দেখা যাক তাঁরা কখন পৌঁছাতে পারে লোকালয়ে,,,,,,
********
>- মাইশা তুমি কি সিউর হয়েই বলছো?, দ্বীপক কি সত্যিই এই একাডেমিতে আসবে?,,,,
>- তাঁকে আসতেই হবে এখানে,এটিই একমাএ জায়গা যেখানে দ্বীপক তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর পেতে পারে। তাঁকে এখানেই আসতে হবে,,,,,( মাইশা )
>- কিন্তু তাঁকে তো সবাই দেখলেই চিনে যাবে সে কে? তাঁরা দুইজনই তো জমজ তাই না?
>- তাঁরা জমজ হতে পারে কিন্তু, না আমি কিছু ভাবতে পারছি না,,,,,( মাইশা )
*******
>- ওফ্,আমি আর হাঁটতে পারতেছি না,,,( নীলা )
>- তাহলে আমরা একটু জিড়িয়ে নিই কি বলো?,,, ( দ্বীপক )
>- না তাহলে আমাদের পৌঁছাতে দেরী হয় যাবে,,( নীলা )
>- তাহলে এখন কি করা যেতে পারে?,,অবশ্য একটা উপায় আছে,,,,
দ্বীপক এই কথা বলেই নীলাকে কোলে তুলে নিলো,দ্বীপক হঠাৎ এমন কিছু করবে তা নীলা ভাবতে পারে নাই,নীলা একনো এক শকে্র মধ্যে আছে, নীলা দ্বীপকের গলা জড়িয়ে ধরলো আর এক দৃষ্টিতে তাকিঁয়ে রইলো তাঁর দিকে,,,
>- কি খাও তুমি হ্যা,মনে হচ্ছে আমি কোনো আটার বস্তা হাতে নিয়েছি,,,( দ্বীপক )
নীলা দ্বীপকের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে দ্বীপকের বুকে তাঁর মুখ লুকিয়ে ফেললো,নীলা লজ্জার কারনে এমন করছিলো নাকি অন্য কোনো কারন ছিলো তা দ্বীপক জানে না তবে এখন সে কিছু ভাবতে চাচ্ছিলো না কারণ কিছু ভাবলেই তো নীলা সব জেনে যাচ্ছে,,
>- আমি জানি না আমার এমন কেনো মনে হচ্ছে আপনি আমার হাজার বছরের পরিচিত,আপনার থেকে আমি একজন পরিচিত মানুষের ঘ্রান পাচ্ছি তবে সেই ব্যাক্তিটা কে আমি কেনো মনে করতে পাচ্ছি না,,,, ( নীলা )
নীলা মনে মনে কথা গুলো বলছিলো,সে কিছু বুঝতে পারছিলো কি হচ্ছে এই সব, দ্বীপকের সাথে তো তাঁর কিছুক্ষন আগেই দেখা হয়েছে কিন্ত এই কিছুক্ষনের মাঝেই এতো কাছে চলে আসবে তাঁরা দুইজনের কেউ ভাবতে পারে নাই, নীলা দ্বীপকের মধ্যে অন্য কেউ একজন কে অনুভব করছিলো কিন্তু সে কে তা মনে করতে পারছিলো না, এই দিকে দ্বীপকের অবস্থা তো খারাপ তাঁর পা অনেক জায়গায় কেঁটে গিয়েছে কাঁটা ফুটার জন্য।
যেহেতু সে খালি পায় ছিলো তাই এইটা হওয়া স্বাভাবিক ছিলো,নীলাকে কোলে নিয়ে আধা ঘন্টা ধরে হাঁটছিলো সে।তাঁর দুই হাত প্রচন্ড ভাবে ব্যাথা করছিলো কিন্তু নীলা ঘুমিয়ে ছিলো বলে সে তাঁতে জাগিয়ে দেয় নিই,,
>- নীলা, এই নীলা আমরা চলে এসেছি তো,,, ( দ্বীপক )
নীলা ধড়ফড় করে উঠে পড়লো ঘুম থেকে, আর ঘুম থেকে জেগেই সে দ্বীপকের কোল থেকে নেমে যায়,,
>- আমি কখন ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম?,, এমা তোমার পায়ের কি হয়েছে?,,, ( নীলা )
নীলার চোখ দ্বীপকের পায়ে পড়ার পরেই সে আঁতকে উঠে কেননা দ্বীপকের পা থেকে প্রচন্ড ভাবে রক্ত বের হচ্ছিলো,,,,
নীলা তখন প্রথম বারের জন্য তাঁর ডানা বের করলো যা ছিলো সম্পর্ণ রুপে সোনালী রংয়ের,যার থেকে প্রচন্ড ভাবে আলো বের হচ্ছিলো যার ফলে দ্বীপক নিজের চোখ খোলা রাখতে পারলো না,,,,,
>- কে তুমি? নীলা,,,,,, ( দ্বীপক )
,,,,,,,,,,
,,,,,,
,,,
,,To Be Continued