Notification texts go here Contact Us Buy Now!

The power episode 10

 The Power 


লেখকঃ- Amran Hossain 


পর্বঃ-১০ ( দশম স্পেশাল পর্ব ) 


মাইশা,যার সাথে দ্বীপকের পরিচয় হয়েছিলো তাঁর পৃথিবীতে। এই মেয়েটাকে বাঁচাতে গিয়েই দ্বীপক ২২০ ভোল্টের কারেন্টের শক্ খেয়েছিলো আর সেই গঠনার জন্যই দ্বীপক আজ এই নতুন দুনিয়ায়। মাইশাকে এখানে দেখে দ্বীপক কারেন্টের শকে্র চেয়েও বেশি শক্ খেয়েছে যা তাঁর চোখ মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছিলো।  তবে দ্বীপক নিজেকে সামলে নিলো এখন এখানে তাঁর কোনো জামেলা করা যাবে না। যা হবার পরে দেখা যাবে দ্বীপক এই ভেবে সেই জায়গা থেকে চলে যেতে লাগে। 


মাইশা লাইব্রেরিয়ানের সাথে হেসে হেসে কথা বলছিলো যা দ্বীপক লাইব্রেরি থেকে বের হওয়ার সময় লক্ষ করে। দ্বীপক  মোট পাঁচটা বই নিয়েছে, কিছুক্ষন পরে দ্বীপক যখন তাঁর রুমে ফিরে আসে তখন সে তাঁর রুমে স্যার জ্যামসকে বসা অবস্থায় দেখতে পায়।


>- কোথায় গিয়েছিলে তুমি? আর তুমি কি সিদ্ধান্ত নিলে আমাকে জানাও,, ( স্যার জ্যামস ) 


>- আমি পড়বো এখানে,,, ( দ্বীপক ) 


স্যার জ্যামস মন খারাপ করে দ্বীপককে প্রশ্নটি করে তিনি হয়তো ভেবে ছিলেন দ্বীপক এই একাডেমিতে ভর্তি হতে রাজি হবে না। এই একাডেমির রেংক বর্তমানে নিম্ন স্তরে নেমে গেছে যার ফলে এখানে ঠিক আগের মতো আর স্টুডেন্ট নেই। অনেক শিক্ষকও এখানের চাকরী ছেড়ে দিয়ে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে। স্যার জ্যামস দ্বীপকের প্রশ্ন শুনে একটু মুচকি হেসে উঠে দাঁড়ালেন আর দ্বীপকের দিকে একটি লেটার তুলে দিলেন। লেটারটি ছিলো একাডেমির ভর্তির ফরম যা পূরন করা বাকি ছিলো। দ্বীপক ফরমটি নিয়ে নিলো স্যার জ্যামস থেকে,,, 


>- তাহলে দেখা হচ্ছে কালকে আর এই ফরমটি পূরন করে কালকে আমাকে দিবে তাহলে তোমার কার্ড পেয়ে যাবে,,,,( স্যার জ্যামস ) 


দ্বীপক আর কিছু বলছিলো না দেখে স্যার জ্যামস রুম থেকে চলে যায়। এই দিকে দ্বীপক তাঁকিয়ে আছে বই গুলোর দিকে,প্রথমে দ্বীপক স্পেলের বইটি নিলো যাতে সে বিভিন্ন স্পেলের সম্পর্কে জানতে পারে এবং কিছু স্পেল শিখতে পারে যা তাঁকে তাঁর শএুদের থেকে রক্ষা করতে পারবে,,, 


দ্বীপক বইটির প্রথম পৃষ্ঠা খুললো যেখানে একটা স্পেল এবং তাঁর বিবরণ দেওয়া আছে,, 


কাউন্টার স্পেলঃ- 

যখন কোনো ব্যাক্তি আপনার উপরে আক্রমণ করতে যাচ্ছে তখন যদি আপনি এই স্পেল ব্যবহার করেন তাহলে সেই আক্রমণ আপনার উপরে এসে পড়ার পরে তা দুই গুন বেশি শক্তিশালী হয়ে সেই আক্রমণ করা ব্যাক্তিকে আঘাত করবে, মানে ধরুন আপনার চেয়ে কম শক্তিশালি একজন ব্যাক্তি আপনাকে আক্রমণ করলো তখন যদি আপনি এই স্পেল ব্যবহার করেন তবে এই স্পেল সেই আক্রমণ কে আটকিয়ে দিবে এবং তা দ্বিগুণ শক্তিশালী হয় সেই ব্যাক্তিকে গিয়ে আঘাত করবে,,, 


লার্ন ম্যাজিক স্পেলঃ- 

এই স্পেল যেই বইয়ের উপরে ব্যবহার করা হবে সেই বইয়ের সমস্ত পৃষ্ঠার কপি টেলিপ্যাথিকের সাহায্যে স্পেল ব্যবহার করা ব্যাক্তির কাছে চলে আসবে যার ফলে তাঁকে আর কষ্ট করে পড়তে হবে না বইটি,,, 


শর্তঃ- অবশ্যই স্পেলটি রাএে ব্যবহার করতে হবে নাহলে মস্তিষ্কে সমস্যা হতে পারে,,, 


বইটিতে প্রায় হাজারের উপরে স্পেল রয়েছে যা একটা একটা করে পড়তে হলে অনেকদিন লাগবে তাই দ্বীপক লার্ন ম্যাজিক স্পেলটি বইটির উপরে প্রয়োগ করার চিন্তা ভাবনা করতাচে কিন্তু শর্ত অনুযায়ী তাঁকে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, তাই দ্বীপক এখন এই দুনিয়াকে জানার জন্য আরেকটি বই নিয়ে পড়তে বসে গেলো,,,, 


বইটির প্রথম পৃষ্ঠায় বিভিন্ন রাজ্যের নাম এবং তাঁদের ইতিহাসের বিবরণ দেওয়া আছে, প্রথমে আছে সব থেকে শক্তিশালী রাজ্যের নাম  " দ্যা গ্রেট সেন্ট কিংডম "


প্রায় আজ থেকে দুই হাজার পূর্বে এই রাজ্য গঠিত হয়েছিলো, যিনি প্রথম এই রাজ্য তৈরি তাঁর নাম অনুসারে এই রাজ্যের নাম গঠন করা হয় তাঁর মৃত্যুর পরে, বর্তমান রাজা হচ্চেন কিং আইডেন। তিনি ফায়ার এনার্জির অধিকারী। বর্তমানে দেশটি শান্তি প্রিয় রাজ্য হিসাবে পরিচিত,শান্তি প্রিয় রাজ্য হলেও তাঁরা সবসময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকে। তাঁদের ডিফেন্স শক্তি বাকি সব রাজ্য থেকে বেশি বলেই তারা আজ সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী রাজ্য হিসেবে গঠিত হতে পেরেছে,,,, 


২ঃ- ওয়ারিয়র্স কিংডমঃ- এটি শুরুতে মূলত একটি অঙ্গ রাজ্য হিসেবে ছিলো, একজন সৈনিকের হাত ধরে এই রাজ্য জয়লাভ করে যুদ্ধে। সেই সৈনিকের স্মরণে এই রাজ্যের নাম গঠিত হয় ওয়ারিয়র্স কিংডম। বর্তমানে দেশটি যুদ্ধরত অবস্থায় আছে, রাজ্যটির শাসন ব্যবস্হা এতোটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিলো যে আজকে সেই রাজ্যের মানুষই একে অপরের সাথে যুদ্ধ নিয়ে ব্যাস্ত,,,


৩ঃ- বার্ডস কিংডমঃ- এটিই একমাএ রাজ্য যেখানে প্রায় সব বার্ডসের দেখা মেলে, আজ থেকে প্রায় ৩০০০ হাজার বছর পূর্বে এই রাজ্য তৈরি হয়। এই রাজ্যের নতুন নাম করা হয় গঠিত হওয়ার প্রায় ৫০০ বছর পূর্বে রাজা আলবার্টের হাত ধরে। বর্তমানে এই রাজ্যও নিজেদের শক্তিশালী করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে,,, 


৪ঃ- গোল্ডেন সিটিঃ- লোক মুখে শুনা যায় এখন গোর্ডেন সিটি যে রাজ্যে অবস্থিত তা এক সময় অনেক বড় একটি সমুদ্র ছিলো, সমুদ্রের তীরেই গড়ে উঠে একটি শহর। কয়েকশো বছর বৃষ্টি না হওয়ার ফলে সমুদ্রও ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে শুরু করেছ। অবশেষে সেখানে দেখা মিলে এক বিরাট মরুভূমির। মানুষ যখন সিটি ছেড়ে চলে যাচ্চিলো ঠিক তখন কিছু মানুষ সেখানে আবিস্কার করে সোনার খনি,আর এভাবেই গড়ে উঠে গোল্ডেন সিটি


সবশেষ যে রাজ্যটি রয়েছে তা হলো ড্রাগনিয়া। এখনে কিছু মানুষ মনে করে এই রাজ্য তৈরি করেছিলো ড্রাগনেরা কিন্তু আবার কেউ কেউ মনে করে এই রাজ্য কোনো বিতাড়িত প্রিন্স এবং প্রিন্সেসের তৈরি করা রাজ্য, বর্তমানে এই রাজ্যের অবস্হার অবনতি এতটাই খারাপ যে মানুষ এই রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে শুরু করে। বর্তমানে এই রাজ্য পুরোটাই প্রায় জনশূন্য। কি হয়েছিলো ড্রাগনিয়া রাজ্যের সাথে তা আজ পর্যন্ত কেউই বের করতে পারে নাই, এই রাজ্যের এই দুর্দশার একটি কারন এই রাজ্য ম্যাজিক স্পেল কাজ করে না বিশেষ কিছু জায়গা ছাড়া। কেনোই বা এমন হয়েছে তা কেউই বুঝতে পারে নাই এমনকি জানতেও পারে নাই। 


আরো কিছু রাজ্য রয়েছে বা থাকতে পারে যা আমি খুজে পায় নিই তবে হ্যা যে আমার এই বইটা পড়েছে তাঁকে আমি একটা জানাতে পারি, তুমি নিশ্চয়ই এই রাজ্যের সাথে সাথে কোনো না কোনো ভাবে ঠিকই জড়িত হয়তো তুমি তা জানো না আবার হতে পারে তুমি আমারই আপনজন,,,


ইতি ড্রাগন প্রিন্স এলেক্স,,


দ্বীপক বইটির পড়া শেষ করার সাথে সাথেই বইটিতে আগুন ধরে যায়, দ্বীপক বইটির এই শেষ কয়েকটি লাইন বুঝতে পারে নাই যার ফলে সে ভেবেছিলো আবার ঠিক করে পড়বে,,,, 


>- এটা কি হলো? আমার মনে হচ্ছে বইটিতে এমন কোনো স্পেল ব্যবহার করা হয়েছিলো যা বইটি একবার পড়ার পড়েই কার্যকর হবার কথা,,,, ( দ্বীপক ) 


বইটিতে যখন আগুন ধরে যায় দ্বীপক তখন তা ছুঁড়ে ফেলে দেয় অন্যদিকে, যখন তাঁর চোখ গুলো সেই বইয়ের পুড়ে যাওয়া কয়লার দিকে যায় তখন সে সেখানে কিছু একটাকে জ্বল জ্বল করতে দেখে। দ্বীপক কয়লা গুলোকে যখন সরালো তখন সে কয়লার মাঝে অন্য একটি কাগজ পায় যাতে আগুনের একটু আঁচও লাগে নিই যা দেখে সে কিছুটা অবাক তো হয়েছেই তবে কাগজের উপরের লেখাটি দেখে তাঁর আরো অবাক লাগে,,, 


>- তোমার জন্য একটি উপহার,, এইটার মানে কি?,,, ( দ্বীপক ) 


দ্বীপক খুব সাবধানে কাগজটি খুললো,কাগজটিতে সে কিছু জায়গায় ম্যাপ দেখতে পেলো কিন্তু দ্বীপকে এটাতে কোনো আগ্রহ ছিলো যার ফলে সে সেটি ছুঁড়ে ফেলে দেয় বাহিরে,, দ্বীপক আজকে কয়েকদিন যাবত ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করে নিই তাই সে ক্যান্টিনের দিকে রওনা দেয়,,, 


দ্বীপক রুম থেকে বের হওয়ার আগে যে কাগজটি বাহিরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েচিলো তা এখন টেবিলের উপরেই দেখা যাচ্ছে, অনেকটা রি-কলিং স্পেলের মতো। রি-কলিং স্পেল হলো এমন একটি স্পেল যা সাধারনত খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছুর উপরে করা হয় যাতে সেই জিনিষটি হারিয়ে গেলেও তা তাঁর প্রকৃিত মালিকের কাছে টেলিপোর্ট হয়ে চলে আসে,,,


ক্যান্টিন রুম যা অনেকটা বিশাল স্পেস নিয়ে তৈরি, অবশ্য ক্যান্টিন রুম বড় করারও কিছু কারন রয়েছে। এখানে একসাথে হাজার মানুষ খাওয়া দাওয়া করে এতো মানুষকে একসাথে জায়গা দেওয়ার জন্যই এতো আয়োজন। 


এখানের খাবারের মূল্য সাধারনত মাসিক বেতনের থেকে কাঁটা হয় যা স্টুডেন্টের মা বা বাবা দিয়ে থাকে প্রতি মাসে। দ্বীপক যেহেতু এখনো অফিশিয়াল ভাবে স্টুডেন্ট হয় নিই তাই এখানের রুলস ফলো করলে সে খাবার পাবে না, তবে যেহেতু তাঁর কাছে স্যার জ্যামসের কার্ড রয়েছে তাই আপাতত থাকে খাবার খাওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। 


দ্বীপক কিছু খাবার নিয়ে একটি টেবিলে এসে বসলো খাবার খাওয়ার জন্য,সে লক্ষ করছিলো চারদিকের অনেক ছেলে মেয়ে তাঁর দিকে কেমন করে জেনো তাকিঁয়ে আছে। দ্বীপক তাঁদের দিক থেকে চোখ নামিয়ে খাওয়া শুরু করে। কিছুক্ষন পরে তাঁর সামনে কিছু ছেলে এসে দাঁড়ায়। 


>- এই কে তুই? এটা আমার টেবিল, তোর সাহস হলো কিভাবে এখানে বসার?,,,, ( ছেলে গুলোর মাঝে একজন ) 


দ্বীপক তাঁদের কথায় কর্ণপাত না করে খাবার খাওয়ায় মনোযোগ দিচ্ছিলো,ছেলেকে গুলো যখন দেখলো দ্বীপক কিছুই বলছে না তখন তাঁরা আরো রেগে যায় এবং দ্বীপকের উপরে একটি থান্ডার বল ছুঁড়ে মারে। দ্বীপকের আশে পাশে কিছু জায়গা কালো ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় সেখানে থাকা অনেকেই ভাবছিলো দ্বীপক বেঁচে নিই কিন্তু তখন তাঁদের সবাইকে অবাক করে দিয়েছে একটি বড় থান্ডার বলটি গিয়ে সেই ছেলেকে আঘাত করে যেই ছেলেটি প্রথমে আক্রমণ করেছিলো,,, 


>- আমি কি এটা ভুল দেখছি, 


>- যে ছেলে থান্ডার এট্রিবিউটের অধিকারী তাঁকেই কিনা তাঁর থান্ডার বল দ্বারা আক্রমণ করে বসলো এই ছেলে,, 


>- কে এই ছেলে? স্যার জ্যামস ছাড়বে না এই ছেলেকে,,,  


সেখানে বাকি স্টুডেন্টের অনেকেই দ্বীপকে সার্পোট করছিলো আবার কেউ সেই ছেলেকে সার্পোট করছে,, দ্বীপক খাওয়ার মাঝেই কাউন্টার স্পেল ব্যবহার করে খাচ্ছিলো। 


সাধারনত একটা স্পেল ব্যবহার করার জন্য চান্টিং এর প্রয়োজন পড়ে যা সেই বইতেই লেখা ছিলো এই ব্যাপারে কিন্ত দ্বীপক কোনো চান্টিং ছাড়াই অনেক দ্রুত স্পেল প্রয়োগ করে বসে থাকে,,,


>- আমি ভেবেছিলাম আজকেই শেষ দিন আমার কিন্তু স্পেলটা তো আমিও ব্যবহার করি নিই তাহলে কে করলো?,,,,, ( দ্বীপক ) 


দ্বীপক মনে মনে কথা গুলো বলছিলো আর একটা জিনিষ তাঁর মাথায় আসছিলো না কিভাবে স্পেলটি বিনা চান্টিং এ সম্পর্ণ হলো আর সে যদি না করে থাকে তবে কে করলো স্পেল, তাঁর কিছুই মাথায় আসছিলো না নীলা তো এখনো ঘুমের মাঝে রয়েছে তাহলে কিভাবে কি হলো,,, 


>- আমি জানি না এই ছেলেটি কতটুকু শক্তিশালি, এখনো পর্যন্ত কেউই আমার থান্ডার বল থেকে বাঁচতে পারে নেই তাহলে এই ছেলে কিভাবে আমার এট্যাক আমার দিকেই ফিরিয়ে দিলো এটা কি কোনো ধরনের স্পেল ছিলো?,,,, ( সেই ছেলে গুলোর মাঝে আহত হওয়া ছেলেটি ) 


যেহেতু দ্বীপক ছাড়া আর কেউই জানে না সে কতটুকু শক্তিশালি, তাই সবার মাঝেই একটা ভয় কাজ করছিলো যে সেও কি অন্য ছেলেদের মাতো খারাপ হবে নাকি ভালো। এই জায়গায় যার শক্তি যতো বেশি সে ততোই বেশি খারাপ। তবে সবাই যে খারাপ তাও কিন্তু না, খারাপের মাঝেও ভালো আছে যা হয়তো তাঁরা বুঝে উঠতে পারে না,,, 


ছেলে গুলো চলে ক্যান্টিন থেকে যেহেতু তাঁরা জানে না দ্বীপক কতটুকু শক্তিশালী তাই তাঁরা রিক্স নিতে চাচ্ছিলো না অবশ্য দ্বীপকও এখনো ফাইট করার মতো প্রস্তুত নয়।


এই সব কিছুই মাইশা দূর হতে দেখছিলো আর কি মনে করে জেনো হাসছিলো তাঁর এই হাসির মাঝেও রহস্য লুকিয়ে আছে যা দ্বীপকও খেয়াল করেছে,, 


দ্বীপক ক্যান্টিক থেকে বেরিয়ে চলে যাচ্ছিলো তখন কি মনে করে সে প্রিন্সিপালের রুমের দিকে যাচ্ছিলো, বেশিক্ষন হাঁটতে হলো না কারন স্যার জ্যামসও এই দিকেই আসছিলেন, দ্বীপক স্যার জ্যামসের হাতে ফরমটি তুলে দিলেন। 


স্যার জ্যামস ফরমটি দেখে খুশিই হলেন মনে হলো যা তাঁর চেহেরা দেখে বুঝা যাচ্ছে,দ্বীপক কোনো কথাই না বলে তাঁর রুমে ফিরে আসলো। রাত প্রায় হয়েই এসেছে তাই দ্বীপক আর দেরী না করে স্পেলের বইটি হাতে নিয়ে নিলো। 


যেহেতু তাঁর উপরে আক্রমণ হলে নীলা রয়েছে ব্যাকআপ হিসেবে তাই তাঁর কোনো সমস্যা নেই এখন এই লার্ন ম্যাজিক স্পেল ব্যবহার করলে,, 


>- লার্ন ম্যাজিক স্পেল,,,, ( দ্বীপক ) 


দ্বীপক মুখেই শুধু স্পেলটির নাম বললো আর সাথে সাথে স্পেলটি তাঁর কাজ শুরু করে, দ্বীপক ধ্যান করার স্টাইলে বসে স্পেলটি প্রয়োগ করেছে, স্পেলটি তাঁর কাজ শুরু করার সাথে সাথে দ্বীপকের চোখও বন্ধ হয়ে যায়। বইটি থেকে বিভিন্ন শব্দ শব্দ এসে দ্বীপকের মাথার সামনে ঘুরতে ঘুরতে আলো হয়ে দ্বীপকের শরীরের মাঝে প্রবেশ করা শুরু করে,,, 


পরের দিন সকালে,,,, 


সকাল বেলার রৌদ্রের আলো যখন দ্বীপকের চোখ স্পর্শ করে তখন সে ধড়ফড়িয়ে উঠে পড়ে ঘুম থেকে, কখন সে গুমিয়ে গিয়েছিলো সেটা তাঁর মনেও নেই। কিন্তু আজ সে তাঁর মাথা নাড়াতে পারছিলো না তাঁর চোখের সামনে অনেক গুলো স্পেল ঘুরপাক খাচ্ছিলো। সমস্ত স্পেল জেনো তাঁর মাথা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলো দ্বীপক মাথা দুই হাতে চেপে ধরে বসে পড়লো, দুই চোখ তাঁর লাল হয়ে আছে এবং পানি বের হচ্ছিলো,,,


>- কি হচ্ছে এমন? কেনো হচ্ছে এমন?, আমার মাথা জেনো ফেঁটে যাচ্ছে ভিতর থেকে,,,, ( দ্বীপক ) 


,,,,



,,



,,



To Be Continued 


Getting Info...

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.