Notification texts go here Contact Us Buy Now!

The Power Episode 26

 The Power 


লেখকঃ--Amran Hossain 


পর্বঃ-২৬


চারদিকে কুয়াশা ধীরে ধীরে কেঁটে যেতে লাগলো। নীয়ন আর দ্বীপক ছাড়া আর কেউই নিজেদের সজ্ঞানে ছিলো না। বিশেষ করে মেয়েদের অবস্হা খারাপ ছিলো। চারদিকের কুয়াশা কেঁটে যাওয়ার সাথে সাথে নিয়ন দেখতে ফেলো দ্বীপক দাঁড়িয়ে আছে। দ্বীপকের দুটি চোখ লাল রং ধারন করে ছিলো যা নিয়ন দেখার সাথে সাথে স্বাভাবিক হয়ে যায়। দ্বীপক নাগিনটাকে অদৃশ্য করে নিলো যাতে কেউই না দেখতে পায় এটাকে। নিয়ন একটি বরফের টুকরাকে তাঁর ফায়ার এট্রিবিউট দ্বারা গলিয়ে পানি তৈরি করলো। দ্বীপক নিয়নের কাছ থেকে পানি গুলোকে সংগ্রহ করে তাঁদের টিমের বাকি সদস্যদের মুখে ছিঁটিয়ে দিতে লাগলো। আর পানি পড়ার সাথে সাথেই মাইশা লাফ দিয়ে উঠে পড়ে, মাইশা অনেকটাই ভয় পেয়ে গেছে যা তোর চোখ মুখ দেখেই বুঝতে পারতেছে দ্বীপক৷


কিছুক্ষন পরে সবার জ্ঞান ফিরে আসে, নিয়ন যেহেতু টিমের লিড করছিলো তাই সে এবার সিধান্ত নিলো এই স্নো কিংয়ের এলাকা ত্যাগ করার। এখনো রাত শেষ হতে অনেক দেরী,নিয়ন এবং হ্যারি অনেক গুলো ফায়ার বল তৈরি করলো তাঁদের এট্রিবিউট দ্বারা। এমনিতে চাঁদের আলোয় চারদিক আলোকিত ছিলো কিন্তু তবুও তাঁরা ফায়ার বল তৈরি করেছে যাতে কোনো বিস্ট তাঁদের এট্যাক না করতে পারে। তাঁদের সবারই এখন একমাএ লক্ষ্য ছিলো দ্যা গ্রেট সাহারা মরুভূমিতে পৌছানো। সবচেয়ে কঠিন ফরেষ্ট হচ্ছে দ্যা গ্রেট সাহারা। এক সময়ের একচি রাজ্য আজ মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে, সেখানে চারদিকেই প্রচুর পরিমানে স্পিরিট এনার্জি পাওয়া যায় কিন্তু কেনো পাওয়া যায় তা কেউই জানে না। 


********

আমাদের সিন চেন্জ হলে আমরা দেখতে পাই একটি মেয়েকে। যে একটি কালো অন্ধকার গুহার মাঝে চোখ বন্ধ করে বসে আছে। মেয়েটি কাছ থেকে দেখার পরে বুঝা গেলো মেয়েটি আসলে নীলা। নীলা চোখ খুলে সামনের দিকে তাঁকালো এবং তাঁর হাতে থাকা সাদা সোর্ড দিয়ে সেই অন্ধকার জায়গার মধ্যে একটি স্লাইস দিলো। স্লাইস দেওয়ার স্হানে থাকা অন্ধকারের মাঝে একটি চিকন আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে। নীলা সেই চিকন আলোর রেখা যেখান দিয়ে আসছিলো সেখানে গিয়ে আরো কয়েকটি স্লাইস দেয় এক সাথে যার ফলে সেখানে কিছু জায়গায়ার অন্ধকার কেঁটে যায় এবং একটি শূন স্হান তৈরি হয় যা সাদা আলোয় পূরিপূর্ণ রয়েছে। নীলা তাঁর হাতে থাকা সোর্ডটিকে শক্ত করে ধরে সাদা আলো যেখান দিয়ে আসছিলো সেখানে প্রবেশ করে, নীলা একবার পিছনে ফিরে তাঁকালো। আবার কিছু একটা ভেবে সামনের দিকে হাঁটা শুরু করলো, নীলা কিছু দূর যাওয়ার সাথে সাথে সে যেই জায়গা দিয়ে ভিতরে এসেছিলো তা বন্ধ হয়ে যায়। নীলা অনেক্ষন যাবত হেঁটে চলেচে এই জায়গায়, চারদিকে শুধু সাদা আলো আর আলো। এই জায়গায় প্রবেশের সাথে সাথে নীলার শারীরিক এবং পোশাকেও পরিবর্তন ঘটেছে। প্রথমে নীলা একটু লম্বা হলেও এখন একটু খাটো হয়েছে। এমনিতেই সে ফর্সা ছিলো কিন্তু এখন তাঁর ফর্সা ভাব আরো বেড়ে গেছে। এখানে আসার পূর্বে একটি সাধারন পোশাকে ছিলো সে কিন্তু বর্তমানে একজন কুইনের পোশাকে রয়েছে সে। 


তাঁর মাথায় একটি মুকুট চলে এসেছে,এছাড়াও তাঁর হাতে থাকা সোর্ডেরও কিছুটা পরির্বতন হয়েছে।


>- আমি জানি আমার ডেস্টিনি আমাকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের লক্ষ্য পূরণ করে দ্বীপকের কাছে ফিরে যেতে হবে। কিছু দিনের মাঝে দ্বীপকের ব্লাড লাইন এক্টিভ হবে, আমাকে যে কোনো ভাবেই হোক না কেনো তাঁর ব্লাড লাইন এক্টিভ হওয়া আটকাতে হবে। একবার যদি তা এক্টিভ হয়ে যায় তবে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে,,,, ( নীলা ) 


 সোর্ডে প্রথমে গ্রিস ভাষায় কিছু লেখা থাকলেও তা বর্তমানে পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এখন এখানে থাকা লেখাটি নীলা পড়তে পারছিলো। স্পিরিট কুইন ডেস্টিনি, নীলা লেখাটি পড়ার সাথেই নিচের দিকে পড়তে শুরু করে। প্রথমে চারদিকে সাদা আলো থাকলেও নিচে এখন অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না, নীলা কোনো ভাবেই নিজেকে নিচে পড়া থেকে আটকাতে পারছিলো না। নীলার ডানা বের হয়ে আসে তাঁর না চাইতেও, নীলা এবার অনেকটা আস্তে আস্তে নিচে পড়ছিলো তবে তা খানিকটা সময়ের জন্য ছিলো। নীলা ডানার সাহায্যেও এখন আর স্পিড কমাতে পারছিলো না। এই অন্ধকারের শেষে কি রয়েছে তা নীলার জানা নেই কিন্তু সে চোখ বন্ধ করে নিলো, নিজের ডানাকে কন্টোল করতে চেষ্টা করতে লাগলো। নীলা বর্তমানে মাটি থেকে কিছুটা উপরে রয়েছে ঠিক তখনই সে আবারো ডানা মেলে উড়ার চেষ্টা করে। মাটিতে প্রচুন্ড শক্তিতে এসে পড়ে সে, যদিও ডানার সাহায্যে সে শেষ সময় কন্টোল করতে পেলেছিলো কিন্তু তবুও তা অনেক বেশি ছিলো। পড়ার সময় নীলার হাত থেকে সোর্ডটি ছুঁটে গিয়ে কিছুটা দূরে সোজাসুজি ভাবে পরে। নীলার ডানা থেকে প্রচন্ড পরিমানে সাদা আলো নির্গত হচ্ছিলো। সোর্ডটির দিকে এগিয়ে গিয়ে নীলা সোর্ডটি মাটি থেকে তুলে নিলো। সোর্ড প্রচন্ড পরিমানে কেঁপে চলেছে,সোর্ড প্রচন্ড পরিমানে স্পিরিট এনার্জি চারদিকে ছড়াতে শুরু করেছে। নীলা সোর্ডটিকে খানিকটা উপরর উঠিয়ে ধরলো, সোর্ড চারদিকের অন্ধকার কে অবর্জোব করতে শুরু করলো। প্রচুর পরিমানে ডার্ক এনার্জি নীলা এবং তাঁর হাতে থাকা সোর্ডের দিকে এগিয়ে আসছে। সোর্ডটি ধীরে ধীরে কালো হতে শুরু করেছে, নীলা খেয়াল করলো চারদিকের অন্ধকার একটু একটু করে কমে যাচ্ছে। সে সামনের দিকে হাঁটার চেষ্টা করলো কিন্তু সে পারলো না। নীলার দুই পা কালো রং ধারন করতে শুরু করেছে যা পাথরে রুপান্তর হয়ে চলেছে। নীলা খানিকটা অবাক হলো এমন হতে দেখে, নীলা তখন অনুভব করলো তাঁর মতোই শক্তিশালী কেউ তাঁর দিকে এগিয়ে আসছে। এখন প্রায় অনেকটাই অন্ধকার কেঁটে গিয়েছে। 


নীলা এখন চারদিকে প্রচুর পরিমানে স্পিরিট এনার্জি অনুভব করতে পারছে কিন্তু সে এটা বুঝতে পারছিলো যে তাঁর স্পিরিট এনার্জি অনেকটাই কমে গিয়েছে বর্তমানে। তাঁর বুক পর্যন্ত পাথর হয়ে গিয়েছে, তা ধীরে ধীরে তাঁর মুখের দিকে এগিয়ে আসছে হয়তো কিছুক্ষনের মাঝেই তাও পাথর হয়ে যাবে। 


>- তবে কি এটিই ছিলো আমার ডেস্টিনি? একজন স্পিরিট হয়ে মানুষকে ভালোবাসার শাস্তি বুঝি এটাই। আমি মানি না এই নিয়ম, যেই নিয়মের জন্য শত বছর পূর্বে হারিয়েছি তাঁকে,,,,,( নীলা ) 


নীলা অনেক চিৎকার করে কথা গুলো বলছিলো কিন্তু তাও কিছুক্ষনের মাঝে বন্ধ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে তাঁর মুখ পর্যন্ত পাথর হয়ে গিয়েছে, শুধু মাএ তাঁর চোখ দুটি এখনো পাথর হওয়া বাকি। তখনই নীলা কোনো এক ব্যাক্তিকে দেখতে পেলো। যার মাথায় তাঁর মুকুটের মাথায় একটি মুকুট রয়েছে, চেহেরাটিও খানিকটা তাঁর মতোই। নীলা মানুষটিকে দেখার সাথে সাথেই কেমন জেনো করতে শুরু করলো। নীলার চোখ অঝরে পারি বের হচ্ছিলো, ধীরে ধীরে নীলার সারা শরীর পাথর হয়ে গেলো। নীলার চোখের পানি গুলোও মাটিতে পড়তে পারলো না তাঁর আগেই সে পাথরে পরিণত হয়েছে। যেই মানুষটিকে দেখতে তাঁর মতো লাগছিলো সেই লোকটি এসে নীলার পাথর হয়ে যাওয়া শরীরের সামনে দাঁড়ালো। মানুষটি তাঁর ডান হাত দিয়ে নীলার মুখে স্পর্শ করেছে, মানুষটিও কাঁদতে শুরু করেছে সাথে সাথে। 


>- এমন কেনো হলো এল্ডার, এমন হওয়ার তো কথা ছিলো না। আমার মেয়ের এমন কেনো হলো?


>- মহারাণী আপনাকে শক্ত হতে হবে। আজ অনেক বছর পরে আমরা মুক্তি পেয়েছি। যারাই আমাদের সাথে বেইমানি করেছে তাঁর সব কিছুরই প্রতিশোধ নেওয়া হবে। নীলা এবারো আগের মতো ভুল করেছে আর যার শাস্তি সে এভাবেই পাবে তবে যদি তাঁর ভালোবাসার মানুষটি তাঁর জন্য জীবন বাজি রাখতে পারে তবেই নীলা মুক্তি পাবে। নীলার হাতে যেই সোর্ড রয়েছে তা একমাএ নীলার সোল পার্টনারই ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু সে কে তা শুধু মাএ নীলাই জানে,,,,, ( এল্ডার ) 


চারদিকে মেঘের গর্জন শুরু হয়ে গেলো এবং হঠাৎ করেই প্রচন্ড গতিতে বৃষ্টিপাত শুরু হয় গেলো। সেখানে মহারানী এবং এল্ডারের মতো আরো অনেক গুলো লোক ছিলো যার তাঁদের ডানা বের করে এই জায়গাটি ত্যাগ করে। চারদিকে হাজারো মানুষের কংকাল পরে আছে,এই সব কিছুরই মাঝখানেই নীলার মূর্তিটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। আজ প্রকৃতিও জেনো তাঁর প্রান ফিরে পেয়েছে চার পাশে ঠান্ডা বাতাস বইছে। নীলার হাত থেকে সোর্ডটি পরে গেলো এবং সেটি যেখানে পড়েছিলো সেখান থেকেই গায়েব হয়ে গেলো। 


*********

আমাদের সিন চলে আসে নিয়ন এবং তাঁর টিমের কাছে। দ্বীপক বর্তমানে অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছো ফাইটের ফলে তাঁর উপরে অনেকটা পথ হেঁটে হেঁটে পাড়ি দিতে হচ্ছে তাঁর। আকাশ এখনে তাঁর এনার্জি রিকোভার করতে পারে নিই যার ফলে আকাশ কে কাঁদে করে নিয়ে আসছে দ্বীপক। যার কারনে সে অনেকটাই পিছনে ছিলো, দ্বীপক হঠাৎ থেমে গেলো। তাঁর শরীরের বাম পাশ অবশ হয়ে আসছে। দ্বীপক চিৎকার দিতে শুরু করলো, দ্বীপকের চিৎকার শুনে টিমের বাকি গুরো তাঁর দিকে দৌড়ে আসছিলো। দ্বীপক প্রচন্ড জোরে চিৎকার দিচ্ছিলো, নিয়ন এগোতে গিয়েও এগুলো না বরং সে আকাশকে দ্বীপকের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে আসলো,,, 


>- আমাদের দ্বীপক কে সাহায্য করার দরকার? দ্বীপক এমন কেনো করছি,,,,( ঐশী ) 


ঐশী দ্বীপকের দিকে যেতে চাইলে মাইশা এবং নিয়ন ঐশীর পথ আটকায়। তখন হ্যারি আকাশের দিকে কিছু একটা দেখতে পেরে জোরে সবাইকে চিৎকার করে সরে যেতে বললো আর সাথে সাথেই সেখানো অনেক বড় একটি ব্লাস্ট হয়। সবাই সরে যেতে পারলেও তাঁদের কারোরই দ্বীপকের কথা মনে ছিলো না। যখন তাঁরা বুঝতে পারলো তখন তাঁরা দ্বীপকের দিকে দৌড়ে যেতে শুরে করে কিন্তু সে হঠাৎ করে কত গুলো মেঘ চলে আসে এবং সেখানে একের পর এক বাজ পড়তে থাকে। যার ফলে সেখানে থাকা বরফের নদী ভেঙে যেতে শুরু করে যা দেখে সবাই সামনের দিকে দৌড়াতে শুরু করে। নিয়ন আকাশ কে কাঁদে নিয়ে দৌড়াচ্ছিলো,,, দ্বীপকের উপরে যেই এট্যাকটা এসে পড়েছিলো সেটি আসলে কোনো এট্যাক ছিলো না যা ছিলো নীলার ওয়াইট সোর্ড। যা সম্পর্ণ রুপে কালো রং ধারন করে আছে। দ্বীপক বাম দিয়ে সোর্ডটি ধরে রেখেছে, তাঁর বাম চোখ ঘন কালো রং ধারন করে রয়েছে। তাঁর চারপাশে যে বাজ গুলো পড়ছিলো তাও ছিলো কালো রংয়ের, দ্বীপক হঠাৎ করেই একটি বাজ পরার সাথে সাথে গায়েব হয়ে যায়। সেখানে শুধু পড়ে রইলো টুকরো টুকরো হওয়া বরফের খনবড গুলো,,,,,,,,,,,,,, 



,,,,,,,,,,,


,,,,,


,,


,,


To Be Continued 


( কি হতে পারে সামনে বলুন তো 🥱 অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যা কালকে কোনো গল্প পাচ্ছেন না। অসুস্থ এখনো আমি 😞🥱 )  

Getting Info...

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.