The Power
লেখকঃ- Amran Hossain
পর্বঃ-২৫
দ্বীপক তাঁর দুই হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে বসেছিলো, তখন নীলার ঘুম ভেঙে যায় আর সে দেখতে পাই দ্বীপক তাঁর মাথা চেপে ধরে বসে আছে।
>- দ্বীপক তোমার জ্ঞান ফিরেছে তাহলে, আমি তো অনেক্ষন ধরেই তোমার জ্ঞান ফিরার অপেক্ষায় আছি।,,, ( নীলা )
দ্বীপক কোনো কথা বলছে না দেখে নীলা বুঝতে পারলো দ্বীপকের কালকে রাএের কথা মনে পড়তেছে যার কারনে তাঁর মাথা ব্যাথা করছে। নীলা দুই হাত দিয়ে দ্বীপকের মাথাকে উপরের দিকে উঠালো, দ্বীপকের চোখ দুটি লাল হয়ে আছে অনেকটা। নীলার হাত থেকে সাদা আলো বের হয়ে দ্বীপকের ক্ষত গুলো হিল হচ্ছে যা মূলত সোল ড্যামেজ ছিলো। নীলা একজন পার্টনার হিসেবে সে বুঝতে পারে তাঁর পার্টনারের কি সমস্যা হচ্ছে। কিছুক্ষনের মাঝেই দ্বীপকের চোখ থেকে লালচে ভাবটা চলে গেলো যা দেখে নীলা কিছুটা হেসে উঠলো। দ্বীপক নীলার হাত দুটি শক্ত করে ধরলো, যা দেখে নীলা দ্বীপকের দিকে তাঁকিয়ে আছে।
>- তোমাকে এবার কিছু দিন একলা থাকতে হবে, আমাকে অন্য একটি কাজে যেতে হবে। আমার উপরে এখন এক বিরাট দায়িত্ব এসেছে যা আমাকে পালন করতেই হবে। আমি সঠিক সময় ফিরে আসবো নিজের খেয়াল রাখবে,,,, ( নীলা )
>- তুমি কি সেই আগের নীলাই আছো যে কিনা কথা কম বলতো,,,, ( দ্বীপক )
দ্বীপকের কথা শুনে নীলা অনেকটা জোরে হাসতে শুরু করলো যা দেখে দ্বীপক খুব কাছ থেকে দেখছিলো।
>- আমি তোমার পার্টনার, আমি ইচ্ছে করলেও তা পরিবর্তন করতে পারবো না। আমাদের সারাজীবন এক সাথে থাকতে হবে যে। তবে এবার কিছু দিনের জন্য ছুটি চাই আমার, চেষ্টা করবো খুব তাড়াতাড়ি ফিরার জন্য,,,,, ( নীলা )
>- কিন্তু যাবে তুমি?,,,,, ( দ্বীপক )
>- আমার রাজ্যের প্রয়োজন আমাকে আজ, আমি যদি তাঁদের সাথে আজ না থাকি তবে আমার নিজের জাতির সাথেই বেঈমানি করা হবে আমার। আমি খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো,, আর হ্যা আমি না থাকা কালীন সময়ে বেশি পাওয়ার ইউজ করবে না। এতে তোমার নিজের উপর থেকে কন্টোল না থাকতে না পারে,,, দেখা হবে আমাদের আবার,,,,, ( নীলা )
নীলা এই কথা বলেই সেখান থেকে গায়েব হয়ে যেতে শুরু করে ধীরে ধীরে, অনেক গুলো সাদা ফুল পড়ে রইলো শুধু নীলার জায়গায়। দ্বীপক হঠাৎ অনুভব করলো তাঁর সামনে কিছু একটা অনেক স্পিডে এগিয়ে আসছে যা থেকে সে প্রচন্ড পরিমানে এনার্জি ফিল করতে পারছে। দ্বীপক বাম দিকে একটু সরে গেলো আর তখনই তাঁর পাশ কেঁটে চলে যায় বিশাল বড় একটি কালো রংয়ের বল যা সম্পর্ণ রুপে ডিম্যানিক পাওয়ারে তৈরি। দ্বীপক যখন বলটিকে দেখছিলো তখন সে খেয়াল করলো বলটি খুব আস্তে আস্তে তাঁর পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে। বলটি আস্তে যাচ্ছে না বরং দ্বীপকের স্পিড বলটি থেকেও বেশি ছিলো যার ফলে তাঁর মনে হচ্ছে বলটির গতি অনেক কম। বলটি তাবুর পর্দা ভেদ করে দূরে একটি বরফের পাহাড়ে প্রচন্ড শক্তিতে আঘাত করে যার ফলে সমস্ত বরফের নদীতে ফাটল ধরতে শুরু করে। যেহেতু বরফের নিচে একটি নদী ছিলো যেটাতে পানি প্রবাহ হচ্ছিলো তাই এখানে পড়া মানে নিশ্চিত মৃত্যু। দ্বীপক তাবুর বাহিরে বের হয়ে আসলো দেখার জন্য কে এই এট্যাক করেছে। অনেক গুলো বিস্ট চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে তাঁদের সবাইকে,এই বিস্ট গুলো প্রাপ্ত বয়ষ্কে পরিণত হয়েছে আর এরা এখন ম্যাজিকও ইউজ করতে পারছে যার ফলে এদের এখন হারাতে অনেকটা কষ্ট করতে হবে। মূলত এদের তখনই হারানো যাবো যখন এদের ডিফেন্সকে ভেঙ্গে দেওয়া যাবে কিন্তু এদের ডিফেন্স একজন শক্তিশালী ম্যাজিশিয়ান থেকেও বেশি যার ফলে এদের মারা অনেকটা কঠিন ব্যাপার। একটা বা দুইটা বিস্ট হলে হয়তো তাঁদের হত্যা করতে কষ্ট হতো না কিন্তু এখানে এখন প্রায় ১৫ টি বিস্ট ছিলো যারা সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক।
টিমের মাঝে খানিকটা শক্তিশালী ছিলো নিয়ন আর এখন তাঁর উপরেই সবচেয়ে বেশি এট্যাক হচ্ছে যার ফলে নিয়ন সুবিধা করতে পারছিলো না কিছু করে উঠার। দ্বীপক খেয়াল করলো বাম দিকে বৃদ্ধ লোকটির লাঠি পড়ে আছে, সে লাঠিটা হাতে নিয়ে এটার একটি অংশ আলাদা করে নিলো যার ফলে বেরিয়ে আসে নাগিনটা। দ্বীপক নাগিনটা কে হাতে নেওয়ার সাথে সাথে নাগিনটার সাথে তাঁর কানেকশন হয়ে যায়। এখানে অনেক গুলো অস্ত্র পাওয়া যায় যা সরাসরি ব্যবহার কারীর মাইন্ডের সাথে কানেক্ট থাকে বা সংযোগ স্থাপন করতে পারে। নাগিনটাও সেই অস্ত্র গুলোর মাঝে একটি, নাগিনটার সাথে সংযোগ হওয়ার সাথে সাথে দ্বীপকের শরীর থেকে লাল একটি এনার্জি বের হয়ে নাগিনটার দিকে যেতে থাকে। নাগিনটার ব্লেডের মাথা ধীরে ধীরে লাল রং ধারন করে, ব্লেডের চারপাশ থেকে ফায়ার এনার্জি লিক হচ্ছে। দ্বীপক এতোক্ষন চোখ বন্ধ করে ছিলো, সে সঠিক জানতো সে অস্ত্রটির সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে কিনা। কিন্তু সে সফল হয়েছে সংযোগ স্থাপনে। দ্বীপক চোখ মেলে তাকালো, ডান হাত শক্ত করে নাগিনটাকে নিলো। তাঁর স্পিড ব্যবহার করে সামনে থাকা বিস্ট গুলোর দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করলো সে। এখন কাঁর স্পিড আগের থেকে প্রায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, বিস্ট গুলোকে তাঁর কাছে অনেকটা স্লোই মনে হচ্ছিলো। দ্বীপক নাগিনটার ব্লেডের কাছাকাছি ধরেছিলো যাতে তাঁর দৌড়াতে অসুবিধা না হয়। একটি বিস্ট আকাশের কাছাকাছি চলে এসেছে এবং তাঁকে একটি পান্স মারছিলো যা দ্বীপকের কাছে অনেকটা আস্তে মনে হচ্ছে, সে স্বাভাবিক ভাবে বিস্টের কাছাকাছি এসে নাগিনটাকে দুই হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে একটি স্লাস মারে যার ফলে বিস্টের হাতটি শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়ে যায়। দ্বীপক স্লাইসটি মারার সময় অনেকটা উপরে উঠে যায় লাফ দিয়ে যার কারনে স্লাসটি সরাসরি তাঁর লক্ষে আঘাত করেছে। দ্বীপক স্লাইসটি দেওয়ার পরে সেখানে দাঁড়িয়ে যায় এখনো আকাশ চোখ বন্ধ করে আছে, সে চোখ খুলে দেখে দ্বীপক দাঁড়িয়ে আছে তাঁর সামনে এবং বিস্টের একটি হাঁত শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। আকাশ দ্বীপকের ডান হাতের দিকে লক্ষ্য করলে দেখকে পায় তাঁর হাতে থাকা অস্ত্রটি থেকে এখনো রক্ত ঝড়ছে বিস্টের শরীরের। আকাশ খানিকটা অবাকই হয়েছে দ্বীপককে দেখতে পেয়ে, আকাশ কিছু বলার আগেই দ্বীপক তাঁর জায়গা থেকে গায়েব হয়ে গেলো। দ্বীপক আবারো তাঁর স্পিড ব্যবহার করে অন্য বিস্ট গুলোর দিকে এগিয়ে গেলো,নাগিনটাকে শক্ত করে ধরে দ্বীপকে একসাথে অনেক গুলো স্লাইস দিতে শুরু করলো, প্রতিটা স্লাইসই নাগিনটার মতো রুপ নিয়ে সামনে থাকা বিস্ট গুলোর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। বিস্ট গুলোর সাথে নিয়ন এবং অন্যরা ফাইট করছিলো যার ফলে সে একটু সাবধানতা অবলম্বন করে স্লাইস দেওয়ার স্টাইল পাল্টে নেয়। যার ফলে এনার্জি ব্লেড তৈরি না হয় প্রায় ৩০টির নাগিনটার ক্লোন তৈরি হয়েছে যা দ্বীপক এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আসল নাগিনটার সাহায্যে কন্টোল করে চলেছে। বাম হাতে নাগিনটাকে নিয়ে ডান হাত দিয়ে বাকি নাগিনটার কপি গুলোকে কন্টোল করে চলেছে দ্বীপক, একটার পর একটার নাগিনটার কপি বিস্ট গুলোর মাঝে গেঁথে দিচ্ছে দ্বীপক। একটি এট্যাকে কোনো বিস্ট বেঁচে থাকলে তাঁর উপরে আরো একটা এট্যাক করছে যার ফলে বিস্ট গুলো কিছু করার সুযোগ ফেলো না,, দ্বীপকের দিকে পিছন দিক থেকে একটি বিস্ট এসে আক্রমণ করে বসে কিন্তু দ্বীপকের শরীর নিজে থেকে সরে যায় যার ফলে এট্যাকটি এসে লাগে আকাশের উপরে আর আকাশ অনেকটা দূরে গিয়ে পড়ে যায়। আকাশকে আহত হতে দেখে দ্বীপক আরো রেগে যায়, দ্বীপক নাগিনটাকে ডান হাতো নিয়ে তাঁর স্পিড আরো বেশি বাড়িয়ে বিস্টের চারদিকে প্রচন্ড গতিতে ঘুড়তে লাগলো আর তাঁর উইন্ড এট্রিবিউটের পাওয়ার ব্যবহার করো তাঁর এবং বিস্টের চারদিকে একটি ব্যারিয়ার তৈরি করলো। দ্বীপক ব্যরিয়ার তৈরি করেই ভিতরে ডুকে যায়, ভিতরে কি হচ্ছিলো তা কেউই দেখতে পাচ্ছিলো না। দ্বীপক উইন্ড এট্রিবিউট ব্যবহার করার ফলে চারদিকের বাতাস তাঁর দিকে ছুটে আসছিলো যা সবাই দেখতে পাচ্ছে কুয়াশা হিসেবে। চারদিক কুয়াশায় আছন্ন হয়ে যায় যার ফলে কেউ দেখতে পাচ্ছিলো না দ্বীপক কি করচে। দ্বীপক ব্যারিয়ারে প্রবেশ করেই তাঁর ডান হাত এনার্জি চ্যানেল করিয়ে একটি পান্স মেরে বসে বিস্টের মুখে যার ফলে বিস্ট উড়ে গিয়ে ব্যারিয়ারের সাথে ধাক্কা খায়,দ্বীপক আস্তে আস্তে বিস্টের দিকে এগোতে লাগলো বিস্টটি আবারো উঠে দাঁড়ালো। বিস্ট দৌড়ে দ্বীপকের কাছে আসতে লাগলো, এসেই দ্বীপকের মুখে পান্স মারতে চায় কিন্তু একি বিস্টের ডান হাত শরীর থেকে অনেকটা দৌড়ে বিছিন্ন পড়ে আছে অনেকটা দূরে। দ্বীপকের স্পিড বিস্টের চেয়ে বেশি ছিলো বিস্টটি যখন তাঁর দিকে এগিয়ে আসচিলো তখন দ্বীপক তাঁর সর্বোচ্চ স্পিড ব্যবহার করে বিস্টের কাছে চলে যায় এবং নাগিনটা দিয়ে একসাথে অনেক গুলো স্লাইস দিয়ে তাঁর জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে যায়। বিস্টটি অন্য হাত দিয়ে এট্যাক করতে চাইলে দ্বীপক একটি শক্তিশালী মুভ ব্যবহার করে বসে। ওয়ান পান্স মুভ, এটিকে ওয়ান পান্স মুভ বলার একটিই কারন আর তা হলো এই এট্যাকের ফলে হাতের ন্যায় অনেক বড় একটি প্রতিচ্ছবি তৈরি হয়ে শএুর দিকে এগিয়ে যায়। এটি শএুর বুকের এপার ওপার হয়ে বের হয়ে যায় যার ফলে শএু বুঝে উঠতে পারে না কি হয়েছে তাঁদের সাথে। দ্বীপক মুভটি ব্যবহার করে অনেকটা হাঁপাচ্ছে, বিস্ট ভেবেছে হয়তো তাঁর কিছুই হয় নিই কিন্তু যখন সে সামনে এগোতে চাইলো তখন সে হাজারো টুকরো টুকরো হয়ে নিচে পড়ে যায়। মূলত এই মুভের এটাই স্পেশাল পাওয়ার, যা ভিতর থেকে সব কিছু ধংস করে দেয়। যেই ব্যাক্তি এই এট্যাকের শিকার হয় সে ততক্ষণ বুঝতে পারবে না যতক্ষন না সে কোনো নড়াচড়া করছে। নড়াচড়া করলেই তাঁর শরীর হাজারো টুকরো টুকরো হয়ে মৃত্যু বরণ করবে।
সবাই কুয়াশার জন্য কিছুই দেখতে পাচ্ছিলো না, আশে পাশে শুধু একটি লাল রংয়ের এনার্জিকে দেখতে পাচ্ছে যা প্রচন্ড গতিতে চারপাশে ঘুড়তেছে। এই এনার্জিটা কেউই কোনো দিন অনুভব করে নিই যার এমনকি এই এনার্জি সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানে না। এই এনার্জিকে তাঁদের এনার্জি কোনো ভাবেই ডিটেক্ট করতে পারছে না ঠিক এটি কোন ধরনের এনার্জি। সাধারনত এনার্জির ঘ্রান থাকে না কিন্তু এই এনার্জি থেকে তাঁরা রক্তের ঘ্রান পাচ্ছিলো যার ফলে এতোক্ষনে মেয়েরা বমি করা শুরু করা দিয়েছে। ছেলেদের মাঝে শুধু স্বাভাবিক ভাবে নিয়ন দাঁড়িয়ে আছে আর সবাই রক্ত গন্ধ সহ্য করতে পারছিলো না,,,,,,
>- রক্তের ঘ্রান অনেকদিন পাই না। আহ্ কি মিষ্টি এই ঘ্রান,না আমাকে সংযোত হতে হবে। আমিও নিজের জাতির মতো হতে চাই না,,,,,,,
,,,,,,,,,,,
,,,,,,
,,
To Be Continued
শব্দ সংখ্যাঃ- ১৪৫৪