The Power
লেখকঃ- Amran Hossain
পর্বঃ-২৪
সকালের সূর্যের আলো এসে পড়লো দ্বীপকের মুখে। তীব্র সূর্যের আলোর সহ্য করতে না পেরে সে উঠে পড়লো ঘুম থেকে। যখন যে সে উঠার চেষ্টা করলো তখন তাঁর বুকে ভারী কিছু একটা অনুভব করে সে। প্রথমত সূর্যের আলোর কারনে তাকাতে পারছিলো না সামনের দিকে আর দ্বিতীয়ত কে শুয়ে আছে তাঁর বুকে তাও দেখতে পাচ্ছিলো না। হাত দিয়ে সূর্যের আলোকে ডাকার চেষ্টা করলো, আলো কমার পরেই সে দেখতে পেলো তাঁর বুকে যে শুয়ে আছে সে আর কেউ নয় সে ছিলো নীলা। দ্বীপকের হঠাৎ কিছু একটা মনে পড়তে শুরু করলো, সে মাথার যন্ত্রণায় দুই হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরলো। তবুও জেনো ব্যাথা কমছিলো না আরো বেড়েই যাচ্ছে ব্যাথা, দ্বীপকের চোখের সামনে তখন কিছু দৃশ্য ফুটে উঠতে শুরু করলো,,,,,
কিছুক্ষন আগে ----------
দ্বীপকের বুকে সবুজ রংয়ের একটি সোর্ড ডুকে আছে, তাঁর নাকি থেকেও ব্লাড বের হচ্ছে এখন। লোকটি ধীরে ধীরে এসে দ্বীপকের গলা চেপে ধরলো, দ্বীপক এখন আর বাঁধাও দিতে পারছিলো না। দ্বীপক বুঝতে পারছিলো সে এই লোকটার সাথে কখনোই পারবে না কিন্তু তাঁর যে এতো তাড়াতাড়ি মারা গেলে চলবে না তাঁকে তো এখনো অনেক কিছু করার আছে,,,,,
>- ভেবে ছিলাম অন্ততত তোমার সাথে ফাইট করে মজা নিবো কিন্তু তুমিও তোমার বাকি সব সত্তার মতো দুর্বল। তুমি হচ্ছো শেষ সত্তা আর তোমাকে হত্যার করার মাধ্যমেই আমার ব্লাড লাইনের পুরো শক্তি ব্যবহার করতে পারবো। আমার শুধু তোমার সোলকে লাগবে দেখো তোমাকে বেশি কষ্ট দিবো না হাহাহাহাহা,,,( লোকটি )
দ্বীপক এখন তাঁর চোখ বন্ধ করে ফেলেছে যা দেখে লোকটি তাঁকে অনেক দূরে ছুঁড়ে মারে। দ্বীপক অনেকটা দূরে গিয়ে একটি রক্তের সমুদ্রে পড়েছে, চারদিকে রক্ত আর রক্ত। দ্বীপক আর নিজের জ্ঞানে ছিলো না যার ফলে লোকটি এক লাফে চলে আসে দ্বীপকের কাছে। লোকটি দ্বীপকের শরীরটাকে দুই হাতে কোলে করে নিয়ে আসে মাটির উপরে ফেলে দেয় অনেক জোরে যার ফলে দ্বীপক হালকা নড়ে উঠে আর তা দেখে লোকটি আরো জোড়ে হাসতে থাকে। লোকটি তাঁর জামার পিছন থেকে একটি ছোট ড্যাগার বের করলো। দুই হাতে মুট করে ড্যাগারটিকে ধরে দ্বীপকের বুকে ডুকিয়ে দেয় যা গিয়ে সরাসরি দ্বীপকের কোরে আঘাত করে। দ্বীপকের হাত লোকটি তাঁর দুই পা দিয়ে ধরে রেখে তাঁর পেটের উপরে বসে ড্যাগার দিয়ে আঘাত করে দ্বীপকের বুকে। আঘাতের ফলে দ্বীপক প্রথমে একটু নড়া ছড়া করলেও তা কিছুক্ষন পরে বন্ধ হয়ে যায়। ড্যাগারের চারপাশে দিয়ে অনেক ব্লাড বের হচ্ছিলো যা গিয়ে লোকটির শরীরে প্রবেশ করতে শুরু করে। লোকটি ততক্ষনে দ্বীপকের শরীর থেকে নেমে গিয়েছে, লোকটি তাঁর শরীরে থাকা কোটটি খুলে একদিকে ছুঁড়ে মারলো। লোকটি একটি বড় পাথরের উপরে বসে পড়লো, সেখানে বসে চোখ বন্ধ মেডিটেশন করছিলো আর ড্যাগারের ওখানে থাকা ব্লাড গুলো লাল রংয়ের এনার্জিতে পরিবর্তন হয় লোকটির শরীরে প্রবেশ করছে। লাল রংয়ের এনার্জি যতো প্রবেশ করচে লোকটির শরীরে ঠিক ততোটাই দ্বীপকের শরীর গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এক সময় দেখা গেলো দ্বীপকের শরীর ছাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে শুধু আর কিছুই ছিলো না সেখানে। লোকটি এবার চোখ মেললো এবং তাঁর বাম হাতটির দিকে তাকালো সেখানে আমরা দেখতে পাই একটি ব্রেসলেইটকে যা দ্বীপকের হাতে ছিলো। লোকটির সামনে একটি পোর্টাল খুলেছে যা দেখে সে খানিকটা হেসে উঠলো,,,,
>- অবশেষে আড়াই কোটি বছর পরে মুক্তি পেতে চলেছি, এই বার থেকে সবাই দেখবে কে আমি,,,,
লোকটির পোর্টালে প্রবেশ করার একটু আগেই হঠাৎ তাঁর মাথা চেপে ধরে বসে পড়ে সেখানে। দুই হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে প্রচন্ড জোরে চিৎকার দিতে লাগলো যার ফলে তাঁর সামনে তৈরি হওয়ার পোর্টাল ভেঙে যায় এমনকি সেখানে আশে পাশে থাকা সব কিছুই ভেঙে যেতে শুরু করে। আমরা দেখতে পাই লোকটির দুটি চোখ একদম সাদা রং ধারন করেছে। ব্রেসলেইট থেকে প্রচুর পরিমানে এনার্জি বের হচ্ছে যা আশে পাশে প্রচুর আলো তৈরি করেছে। লোকটি এখন আর চিৎকার না করে বসে রইলো সেখানে, তাঁর হাত থেকে ব্রেসলেইট পড়ে গেলো আর সাথে সাথেই তাঁর শরীর থেকে লাল রংয়ের এনার্জি বের হতে শুরু করে যা একটি আকৃতি ধারন করে। লাল এনার্জির সাথে আরো একটি এনার্জি প্রচুন্ড শক্তিতে লাল এনার্জি সাথে ঘুড়ছিলো। যখন সব আলো কেটে গেলো তখন আমরা দেখতে পাই দ্বীপক এবং নীলাকে। দ্বীপক মাটিতে পড়ে আছে আর তার পাশেই নীলা দাঁড়িয়ে আছে। নীলার ডান হাতে রয়েছে তাঁর সে সোর্ড, নীলা অনেক রাগি লুক নিয়ে লোকটির দিকে তাঁকিয়ে আছে। নীলার কাছাকাছি থাকার ফলে দ্বীপকের শরীরের ক্ষত গুলো ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যেতে শুরু করে। রোকটি এতোক্ষন মাথা নিচু করে ছিলো কিন্তু এবার সে উঠে দাঁড়ালো। প্রচন্ড রাগি লুক নিয়ে নীলার দিকে তাঁকালো লোকটি, তাঁর দুটি চোখই লাল রং ধারন করেছে। তার শরীরের চারপাশ থেকে প্রচন্ড এনার্জি লিকেজ হতে শুরু করেছে যা দেখে নীলাও তাঁর স্পিরিট ফর্মে চলে আসলো। নীলার স্পিরিট ফর্মে সে কিছুটা খাটো হয়ে গিয়েছে। তাঁর চোখ দুটো সাদা রংয়ের, চুল গুলো হালকা সোনালী রংয়ের। পিঠ ছিঁড়ে বেরিয়ে এসেছে দুটি সাদা ডানা, ডানার আলোয় চারদিকের লাল এনার্জি কিছুটা কমতে শুরু করেছে কিন্তু তা শুধু কিচুক্ষনের জন্য ছিলো। লোকটি তাঁর সর্বোচ্চ স্পিড ব্যবহার করে চোখের পলক ফেলার পূর্বেই নীলার সামনে চলে আসে, নীলা কোনো কিছু না করে তখনো নরমাল ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে যা দেখে লোকটির মুখে একটি মুচকি হাসি দেখা গেলো। লোকটি নীলার মুখের উপরে একটি পান্স মারে, লোকটি ভেবেছিলো তাতে নীলার কিছু হবে তবে লোকটি তখন অবাক হলো যখন নীলা তাঁর বাম হাত দিয়ে লোকটির ডান হাতকে ধরে ফেলেছে। নীলা লোকটির ডান হাত ধরে রেখে তাঁর ডান পায়ে এনার্জি চ্যানেল করিয়ে লোকটি বুক বরাবর একটি কিক্ মারে এবং সঙ্গে সঙ্গে হাতটিও ছেড়ে দেয় যার ফলে লোকটি অনেকটা দূরে গিয়ে পড়েছে। লোকটি উঠে দাঁড়ালো আবারো আর রক্ত বমি করতে শুরু করলো, লোকটি নীলার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো। নীলা এবার প্রথম এট্যাক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁর ডানান সাহায্যে এক লাফে অনেকটা মাটির উপরে উঠে গিয়েছে এবং ডানার সাহায্যে সেখানেই ভাসমান অবস্থায় রইলো। দুই হাত দিয়ে তাঁর সোর্ডটিকে মুট করে ধরলো, এরপর নিজের ডানা গায়েব করে ধরলো যার ফলে সে প্রচন্ড গতিতে নীচে পড়তে শুরু করে। লোকটি বুঝতে পারলো নীলা কি করতে চাইছে, লোকটি বুঝার সাথে সাথেই তাঁর চারপাশে একটি ব্যারিয়ার তৈরি করলে হাসি মুখে তাঁর দিকে তাঁকিয়ে রইলো। সে হয়তো ভাবছে এই ব্যারিয়ার নীলা ভাঙতে পারবে না, নীলা মাঁটিতে সোর্ড গেঁথে দেওয়ার স্টাইলে নিচে পড়ছিলো সোর্ডটিকে লোকটির দিকে তাঁক করে রাখলো। কিছুক্ষনের মাঝেই সেখানে একটি শব্দ শোনা হয়ে গেলো, চারদিক লাল রংয়ের আলোয় ভরে উঠলো। সব চারদিকে সরে যাওয়ার একটু পরেই আবার সব আলো গুলো ফিরে আসতে শুরু করলো যা এসে একটি জায়গায় বল আকৃতি ধারন করে। আলো কেঁটে যাওয়ার ফলে আমরা দেখতে পাই লোকটিকে,লোকটির ঠিক বুক বরাবর নীলার সোর্ড প্রবেশ করেছে। তবে লোকটি এখনো মারা যায় নিই,এখনো হাসছিলো সে,,,,
>- কে জানতে স্বয়ং স্পিরিট কুইন এই ছেলে প্রটেক্ট করে রেখেছে,,,,,
লোকটি এই কথা বলেই মেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলো, তাঁর শরীর লাল রংয়ের ছাঁইয়ে পরিণত হয়ে গেলো। যেই আলো গুলো বল আকৃতি ধারন করেছে সেই বলটি নীলা তাঁর হাতে নিয়ে দ্বীপকের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। নীলার মুখে একটি হাসি দেখা যাচ্ছে,তাঁর মনে কি চলছিলো তা লেখক নিজেও জানে না,,,,,,
,,,,,,,,,
,,,,,,
,,,
,,
To Be Continued
( জানি আজকে পর্ব ছোট হইছে কারন এখনো বাড়ি ফেরা হয় নিই আমার হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল থেকে ফিরলেই বড় করে দেওয়ার চেষ্টা করবো )