The Power
লেখকঃ- Amran Hossain
পর্বঃ- ২২
দ্বীপক এখনো সামনের দিকে তাঁকিয়ে আছে। তাঁর সামনে যেই মেয়েটি ভাসমান অবস্থায় ছিলো সে আর কেউ নয় সে ছিলো নীলা। নীলা হাওয়ার মাঝে ভাসছিলো, নীলা বলেছিলো তাঁর ঘুম তাড়াতাড়ি ভাঙবে না কিন্তু সে যে এতো তাড়াতাড়ি জেগে যাবে তা দ্বীপক আশা করে নিই। আর তাছাড়াও নীলা একজন স্পিরিট ছিলো দ্বীপকেরই সোলের একটি অংশ। সোল আমাদের একটি অনিবার্য অংশ। যদি কোনো কারনে সোল আঘাত প্রাপ্ত হয় তবে আমরা সেটাকে ইর্টানাল কার্স বলে থাকি। ইর্টানাল কার্স হলো এমন একটি কার্স যা সাধারনত সোলকে ধংস করার জন্য ব্যবহার করা হয়। নীলা মূলত একজন স্পিরিট ছিলো। একজন ব্যাক্তি মারা যাবার পরে তার সোল সাধারনত আন্ডারওয়ার্ল্ডে চলে যায় কিন্তু কোনো কারনে যদি সেটি কোনো জায়গায় বন্ধি হয়ে যায় এবং সেখান থেকে মুক্ত হতে না পারে তবে তাঁর কয়েকশো বছর পরে সে একটি স্পিরিটে পরিণত হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেএে হাজার বছরের প্রয়োজন পড়ে স্পিরিটে পরিণত হতে। স্পিরিটদের নিজেদের কোনো শরীর থাকে না, এরা তখনই কারোর সাথে সামনে আসতে পারে যখন তাঁরা কারোর সাথে কন্টাক তৈরি করে। আরো একটা উপায় আছে আর সেটি হলো প্রসেস,যখন একটি শক্তিশালী স্পিরিট কোনো এক দুর্বল মানুষের সাথে কন্টাক তৈরি করে তখন সেই দুর্বল মানুষটার সোল ধীরে ধীরে ধংস হতে থাকে আর একসময় লোকটি মারা যায়। এখানে লোকটি মারা যাওয়ার সাথে সাথে সেই শক্তিশালী স্পিরিট লোকটির শরীরকে নিজের কন্টোলে নিয়ে নেয় যার ফলে কেউই বুঝতে পারতো না যে লোকটি অনেক আগেই মারা গিয়েছে আর তাঁর শরীরেই অন্য কেউ বাস করছে তাঁদের মাঝে।
>- নীলা তুমি এখানে কিভাবে এলে? তুমি তো বলছো এতো তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙবে না তোমার?,,,, ( দ্বীপক )
নীলা কোনো কথা বলে সেখানেই ভাসা অবস্থায় রইলো, কিছুক্ষন পরে সে ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসে। নীলা কোনো কথা না বলেই দ্বীপককে জড়িয়ে ধরে যার ফলে দ্বীপক কিছুটা অস্বস্তিতার মধ্যে পড়ে যায় কারন পাশেই আকাশ ঘুমুচ্ছে। যদিও আকাশ নীলাকে দেখতে পাবে না কিন্তু তবুও তো সে স্পিরিট এনার্জি ডিটেক্ট করতে পারবে।
>- আজকে আমি সময় মতো না আসলে তোমার সোল আন্ডারওয়ার্ল্ডে চলে যেতো। আর কখনোই এই স্পেল ব্যবহার করবে না, এই স্পেল তোমার সোলকে ধংস করে দিবে,,,, ( নীলা )
নীলা কাঁদতে কাঁদতে দ্বীপককে কথা গুলো বলছিলো, দ্বীপক নীলার কথা শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছে। সে কি বলবে ভেবেই পাচ্ছিলো না। নীলার তাঁর সোল পার্টনার হওয়ার ফলে শুধু মাএ দ্বীপকই তাঁকে দেখতে পাবে এমনকি স্পর্শও করতে পারবে। তবে যার জন্য দুইজনেরই সম্মতি থাকতে হবে। দ্বীপকও নীলাকে জড়িয়ে ধরলো তবে হঠাৎ করেই নীলার সারা শরীর সাদা এক ধরনের ফূলে পরিণত হয়ে ঝরে পড়তে শুরু করে।
>- আমি জানি আমি একজন সাধারন স্পিরিট তবে আজকে আমি আমার ডেস্টিনি পেয়েছি দ্বীপক। আমাকে যেতেই হবে দ্বীপক। আমি চলে গেলেও আমার সব পাওয়ার তুমি ব্যবহার করতে পারবে কোনো লিমিট ছাড়া। হয়তো সৃষ্টি কর্তা চায় নিই আমরা এক হই, কোনো এক সময় হাজারো নীলার মধ্য থেকে তোমার এই নীলাকে খুজে নিও,,,, ( নীলা )
নীলা কাঁদতে ছিলো তবে সেই কাঁদার শব্দ শুধু দ্বীপকই শুনতে পাচ্ছিলো, দ্বীপক বুঝে উঠতে পাচ্ছিলো না নীলা কিসের ইংগিত দিচ্ছে। দ্বীপক এতোক্ষন একটি জিনিষ খেয়াল না করতেও পারলেও এখনই সেই জিনিষটি দেখতে পেলো দ্বীপক। নীলার ডান হাত দিয়ে সাদা পানির মতো কিছু একটা টপটপ করে নিছে পরছিলো। নীলার শরীর ততক্ষণে অর্ধেক ফুলের পাতায় রুপান্তরিত হয়ে গিয়েছে, দ্বীপক ভালো ভাবে খেয়াল করতে পারলো নীলার স্পিরিট আর্মার ভেঙ্গে গিয়েছে এবং যা তাঁর সোলকে আঘাত করেছে। নীলার সোল ধীরে ধীরে ধংস হতে দ্বীপক দেখতে পারছিলো না।
>- আমার কেনো এমন মনে হচ্ছে আমি আমার কাছের কেউ একজন কে হারিয়ে ফেলছি। না আমাকে কিছু একটা করতেই হবে,,,( দ্বীপক ভাবছে )
দ্বীপকের মাথায় একটি বুদ্ধি আসলো, দ্বীপক অনেক ধরনের ফরবিডেন স্পেল সম্পর্কে পরেছে যার মধ্যে অনেক গুলো ছিলো সোল সম্পর্কে। আর সেখানেই ছিলো সোল মার্জ এর একটি স্পেল, এই স্পেলের মাধ্যমে একজন ব্যাক্তি তাঁর সোলকে অন্য এটি সোলের সাথে মার্জ করতে পারবে বা একএ করতে পারবেন কিন্তু এতে যদি অসফল হয় তবে তা দুইজনের সোলকেই ধংস করে দিবে। এই স্পেল প্রয়োগ করার জন্য একটি শক্তিশালী আইটেমের প্রয়োজন পড়বে যা তাঁদের দুইজনের সোলকেই কিছুক্ষনের জন্য হোল্ড করে রাখতে পারবে। নীলার শরীর অনেকটাই এখন ফুলের পাতা হয়ে ঝরে পড়েছে, দ্বীপক তাঁর ব্রেসলেইটিকে নীলার শরীরের সাথে স্পর্শ করানোর সাথে সাথেই নীলার বাকি অংশটুকু অবর্জোব হয়ে যায় ব্রেসলেইটে আর দ্বীপক দেরি না করেই সোল টান্সপার স্পেল ব্যবহার করে যার ফলে দ্বীপক দাঁড়ানোর অবস্থা থেকে অনেক জোরে নিচে পড়ে যায় আর সেই শব্দে আকাশের ঘুম ভেবে যায়।
আমাদেন সিন চলে আসে ব্রেসলেইটের ভিতরে, আমরা সেখানে একটি সাদা শূন্য স্হান দেখতে পাই যা সম্পূর্ণ রুপে সাদা রংয়ের তৈরি। সেই সাদা জায়গার মাঝেই দ্বীপক পড়ে ছিলো। দ্বীপক কোনো মতে উঠে দাড়ালো সেই সাদা জায়গায়, সেই উঠেই নীলাকে খুঁজতে শুরু করলো তবে নীলাকে সে কোথাও দেখতে পাচ্ছিলো না আর কোন দিকেই বা যাবে সে, সব দিকেই তো শুধু সাদা আর সাদা। যেনো সমস্ত সাদা রং এখানে ডেলে দেওয়া হয়েছে। দ্বীপক অনুভব করলো কেউ তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে আছে, সে সাথে পিছনে ফিরে তাকায় কিন্তু সেখানে কেউই নেই। সে অনুভব করলো কেউ একজন তাঁর পা স্পর্শ করেছে কিন্তু পায়ের দিকে তাকানোর পরে সেখানেও কিছু নেই।
>- কে এখানে? কে এমন করছে আমার সাথে? তোমাকে সামনে আসতে বলছি আমি,,, ( দ্বীপক চিল্লিয়ে বলছে )
দ্বীপকের চিল্লানোর সাথে সাথে সেখানে থাকা সব কিছু পরির্বতন হতে লাগলো,এতোক্ষন সেখানে কোনো ধরনের আকাশ না থাকলেও এখন সেখানে একটি আকাশ তৈরি হয়েছে। চারদিকে লাল রংয়ের ছড়াছড়ি এমনকি আকাশটিও লাল, জেনো এখানের সব কিছুই লাল রংয়ের তৈরি। চারদিকে অনেক মৃতি গাছ পড়ে আছে,কিছু কিছু গাছ দাঁড়িয়ে আছে তবে তাও মৃত। চারদিকে বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ শুনা যাচ্ছে, দ্বীপক একটি জায়গা থেকে আজব ধরনের এনার্জি অনুভব করে যা চারদিকে অনেক দ্রূত ছড়িয়ে পড়ছে। দ্বীপকের পায়ের নিচের মাটিটাও লাল রংয়ের হয়ে গিয়েছে।
>- আমি জানি না এই জায়গাটি কি দিয়ে তৈরি তবে আমার মনে হচ্ছে আমি যাকে নীলা ভেবেছি সে নীলা না, এইটা সম্পূর্ণ রুপে একটি ট্র্যাপ ছিলো আর আমি সেই ট্র্যাপে পা দিয়ে দিয়েছি,,,, ( দ্বীপক ভাবছে )
দ্বীপক অনেকক্ষন সামনের দিকে হাঁটার পরে সেখানে কালো কিছু একটা দেখতে পায় যা দেখে দ্বীপক এবার দৌড়াতে শুরু করেছে তবে সে যতোই এগোচ্ছে তাঁর মনে হচ্ছিলো কালো বিন্দুটি ঠিক ততোটাই পিছচ্ছে। দ্বীপক ক্লান্ত হয়ে নিজের উইংস অফ দ্যা উইন্ড বের করলো যার দ্বারা সে সেখানে উড়তে পারবে কিন্তু একি সে কোনো ভাবে ডানা দিয়ে উড়তে পারছে না জেনো মনে হচ্ছে কেউ একজন তাঁর উপরে অনেক ভারী কিছু একটা চাপিয়ে দিয়েছে। ভারের চাপে দ্বীপক মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। মাটিতে পড়া অবস্থায় দ্বীপক একটি লোকের পা দেখতে পেলো একটি বৃদ্ধ লোকের পা যা দেখে দ্বীপক কিছু একটা ভাবদে লাগলো।
>- আমি সেই বৃদ্ধ লোকের ফাঁদে আটকা পড়ে গেছি এখন আমাকে শুধু নীলাই বাঁচাতে পারবে,,,,,,, ( দ্বীপক )
,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,
,,,,
To Be Continued