Notification texts go here Contact Us Buy Now!

The power episode 1

 #The_Power,, S1


Series:- #The_Legends_Of_The_Dragon_King


লেখকঃ- #Amran_Hossain 


( এটি একটি একটি সিরিজ ভিত্তিক গল্প হতে যাচ্ছে যার প্রতিটা সিজন প্রায় ৫০ পর্ব পর্যন্ত হতে পারে,, আর সিজন হতে পারে ৫টি, ৩য় সিজনে দেখা হবে আমার প্রথম গল্প #The_Ultimate_Power,, সবশেষ সিজন হবে " দ্যা লিজেন্ড অফ ড্রাগন কিং,, মূলত আগের দুইটি গল্পের সংমিশ্রণে তৈরি হতে যাচ্ছে এই সিরিজ ) 


পর্বঃ- ০১ 


আচ্ছা আপনাদের যদি বলা হয় কেউ একজন কারেন্টের শক খেয়ে সুপার হিউম্যান হয়েছে তবে কি আপনারা সেটি বিশ্বাস করবেন অবশ্যই না, কেননা ২২০ ভোল্টের কারেন্টেই যেখানে মানুষ সহ্য করতে পারে না আবার সেখানেই দীপক কারেন্টের শক্ খেয়ে সুপার হিউম্যান হয়ে গিয়েছে যা ছিলো সত্যি অবিশ্বাস্য,,,, 


আকাশ থেকে বিজলী পড়ার পরে কিছু মানুষ সুপার পাওয়ার পেয়ে যাবার রের্কড রয়েছে তবে দিপকের জন্য সেটি সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ছিলো,, কি হয়ে ছিলো দীপকের সাথে সেই দিন জানতে হলে যেতে হবে আজ থেকে দুই দিন আগে,,,,


******


আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না নওরিন,তুমি প্লিজ আমাকে ছেড়ে চলে যেওনা,, আমি তোকে ছাড়া বাঁচবো না,   


আমাকে যে যেতেই হবে দীপক, আমার বাবা যে আমার বিয়ে ঠিক করে রেখেছে অন্য জায়গায়,,, ( নওরিন )


ঠিক আছে তুমি চলে যাও,, আমি তোমাকে বাঁধা দিবোও না তবে তোমার জন্য আমার মনের দরজা সব সময় খোলা থাকিবে,,,, ( দীপক ) 


নওরিন চলে গেলো আর দীপক দাঁড়িয়ে গেলো রাস্তার মাঝখানে কেননা সে জানে তাঁর নওরিন আর ফিরে আসিবে না তাই এই জীবন রেখে আর কি লাভ,, হঠাৎ করে দীপকের চোখ যায় রাস্তার কোণে জমে থাকা পানির দিকে, পানিতে পড়ে ছিলো একটি কারেন্টের তার যা উপরের মেইন লাইনের সাথে সংযোগ দেওয়া অবস্থায় ছিলো,, সেই পানির দিকেই এগিয়ে আসছিলো এক অন্ধ মেয়ে যে আর একটু হলেই সেই পানি স্পর্শ করতো তবে কেউ একজন তাঁর হাত ধরে তাঁকে টান দেয় যার ফলে মেয়েটি বেঁচে গেলেও বাঁচতে পারে নিই তাঁকে টান দেওয়া ব্যাক্তিটি যে একটি গাড়ির ধাক্কা খেয়ে গিয়ে সেই পানিতে পড়ে,, সেই ব্যাক্তিটি আর কেউ নয় বরং দীপক ছিলো,, 


সেই পানিতে পড়ার পড়েই দীপক চটপট করতে লাগলো,, তাঁর সারা শরীরে এতোটাই বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিলো যে সেখানে থাকা কারোরই সম্ভব ছিলো তাঁর আশে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা,, কেউ একজন বিদ্যুৎ অফিসে খবর দিলো বিদ্যুৎতের লাইন বন্ধ করার জন্য কিন্তু ততক্ষনে দীপকের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় তাঁর হার্টবিট, বিদ্যুৎতের লাইন বন্ধ হওয়ার পরে উদ্ধার কর্মীরা এসে দীপক কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্হা করে আর সাথে সেই অন্ধ মেয়েটিকেও,, মেয়েটির মাথায় একটি আঘাত লাগে যার ফলে মেয়েটিও অজ্ঞান হয়ে যায়,,, 


ডাক্তারেরা দীপককে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টাই করে যাচ্ছে তবে একটাই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে আর সেটি হলো দীপক কে যে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয় সেই কেবিনের সমস্ত ইলেকট্রনিকস জিনিষ পএ কাজ করা বন্ধ করে দেয় যার ফলে সেই কেবিনে থাকা বাকি লোকদের অন্য কেবিনে শিপ্ট করা হয়,,,, 


ডাক্তার আমি কিছু বুঝতে পারতেছি না, এই রকম আজব ঘটনা আমি আমার বাপের জন্মেও দেখি নাই,,,, ( একটি লোক ) 


আপনি কি আপনার বাপের জন্মানো দেখেছেন?,,চুপচাপ কথা বাদ দিয়ে নিজের কাজ করুন,,,, ( ডাক্তার ) 


শিলা তুমি নিশ্চয়ই জানো একজন মানুষ যখন কারেন্টের শক্ খাওয়ার দেড় ঘন্টা পরেও কিছু ইলেকট্রন সেই ব্যাক্তির শরীরে থেকে যায় যার ফলে তাঁদের জ্ঞান তাড়াতাড়ি ফিরে আসে না কিন্তু এখন যে ছেলেটিকে দেখছো সে দশ হাজার ভোল্টেজ এর শক্ খেয়েছে তাই তাঁর হার্টও কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে আমার মনে হয় না তাঁকে আমরা বাঁচাতে পারবো,,,,, ( অন্য একজন ডাক্তার ) 


চেষ্টা তো করতেই পারি,,,, ( ডাক্তার শিলা ) 


তিন ঘন্টা পরে,,,,, 


আমাকে যে লোকটি বাঁচিয়েছে সে কেমন আছে বাবা,, আর আমি কি করে এখন চোখে দেখতে পারতেছি?,,,,


দেখ মাইশা আমি তোকে কিভাবে বলবো যে তোকে বাঁচানো সেই ছেলেটি আর আমাদের মাঝে নেই,, আর তোর মাথায় আঘাত লাগার ফলে তোর দৃষ্টি শক্তি আবারো ফিরে আসে ঠিক যেমন হারিয়েছিলি আজ থেকে ৫ বছর আগে,,, ( মেয়েটির বাবা ) 


আমি তাঁকে একটি বার দেখতে চাই যে আমার জন্য নিজের জীবন দিয়ে দিলো,,, ( মাইশা ) 


মাইশাকে নিয়ে আসা হলো দীপকের মৃত দেহের কাছে, একটি সাদা কাপড়ে ডাকা ছিলো তাঁর দেহ, তবে মাইশার কাছে একটি ঘ্রান পরিচিত মনে হলো যা ছিলো তাঁর খুব কাছের একজন মানুষের,, 


কিন্তু যখন সেখানে থাকা একজন লোক দীপকের দেহের উপর থেকে সাদা কাপড়টি উঠলো তখনই মাইশা কেঁপে উঠলো দীপকের চেহেরা দেখে, আর সে চিৎকার দিয়ে উঠলো দিপক বলে, মাইশার বাবা অবাক হয়ে যায় তাঁর মেয়ে ছেলেটিকে চিনে বলে তবে সে আরো অবাক হয়ে যায় যখন জানতে পারলো দীপক আর কেউ নয় বরং তাঁরই ছোট বোনের সাথে হারিয়ে যাওয়া ছেলেটি,,, যখন সে দেখতে পেয়েছিলো তাঁর আপন ছোট বোনকে দীপকের মৃত লাশের সাথে দেখে,, দীপকের মা নির্বাক হয় তাকিঁয়ে ছিলো দীপকের দিকে,,, 


আজ আমার জন্য তোমার একমাএ ছেলেকে হারাতে হয়েছে ফুফু, আমিই দোষী আমিই,,,,( মাইশা ) 


মাইশা যে কিনা এখন নিজেকেই দোষী ভাবতেছে এসবের জন্য কেননা তাঁকে বাঁচাতে গিয়েই তো আজ দীপকের এই অবস্থা,,, 


আমি জানি আমার ছেলে এতো সহজে মরবে না, তাঁর বাবার রক্ত তাঁর শরীরে বইছে যে,,,, ( দীপকের মা ) 


দীপকের মা দীপকের শরীরকে স্পর্শ করার সাথে সাথেই ঘায়েব হয় যায় হাসপাতাল থেকে তবে যাওয়ার আগে মুছে দিয়ে যায় সবার সৃতি শুধু দুই ব্যাক্তিকে ছাড়া,একজন হলো মাইশা আর অন্যজন হলো তাঁর বাবা,,, 


মাইশা সময় হয় গেছে তোর আসল পরিচয় জানার, এখন যদি তোকে না বলি তবে আর কখনোই তোকে বলতে পারবো না কে তুই আর কেনোই বা তুই এতোদিন অন্ধ ছিলি,,,,,, 


,,,,,,,,,,,


,,,,,,


,,,



To Be Continued

Getting Info...

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.