#The_Power,,,S1
Series:- #The_Legend_Of_The_Dragon_King
লেখকঃ- #Amran_Hossain,
পর্বঃ- ০৫
প্রায় তিনঘন্টা লেগেছে দীপকের আবারো পাহাড়ের উপরে উঠার জন্য, যেহেতু তাঁর দুই কাঁধেই ছিলো পাএ ভর্তি মাছ তাই এতো সময় লেগেছে এখানে উঠতে,,বৃদ্ধাটি চোখ বড় বড় করে দীপকের দিকে তাঁকিয়ে ছিলো কেননা সে বলেছিলো তাকে পানি আনার জন্য কিন্তু দীপক নিয়ে এসেছে মাছ যা বৃদ্ধাটিকে বিরক্ত করে তুলেছে,,,
তুমি মাছ কেনো নিয়ে এসেছো, আর এতো গুলো মাছ কোথায় ফেলে,,,,,( বৃদ্ধাটি )
দীপক বৃদ্ধাটিকে সেখানে ঘটে যাওয়ার সব কিছু বলতে লাগলো তবে বৃদ্ধাটির রিয়েকশান দেখার মতো ছিলো, লোকটি ভয় একদম চুপসে গেছে,,,
কি হলো আপনার?,,,( দীপক )
না কিছু না,,আমি কি তোমার শরীরে থাকা ট্যাটু গুলো দেখতে পারি?,,,,( বৃদ্ধাটি )
দীপক বৃদ্ধাটির কথা শুনে নিজের গায়ে থাকা জামাটিকে খুলে ফেলে তবে আরো একটা অবাক করা বিষয় হলো দীপকের শরীরে থাকা ট্যাটু গুলো জ্বল জ্বল করছিলো যা বৃদ্ধাটিকে আরো ভেবে তুলেছে,,
তোমাকে আমার সাথে একটি জায়গায় যেতে হবে তবেই তোমার সাথে ঘটে যাওয়া রহস্যের সমাধান হবে,,, ( বৃদ্ধা )
যা হবে কালকে দেখা যাবে,,এখন আগে মাছ পার্টি করে নিই, আপনি কি আগুন জ্বালাতে পারবেন?,,,,( দীপক )
হ্যা অবশ্যই,,, ( বৃদ্ধাটি )
আধা ঘন্টা ধরে রান্না করার পর,,,,,,
চলুন আমরা একটি বাজি ধরি, যে বেশী মাছ খেতে পারবে সে আগামী একমাস পর্যন্ত কোনো কাজ করবে না, যে হেরে যাবে তাঁকে সমস্ত কাজ করতে হবে,, আপনি কি রাজী আছেন এই শর্তে?,,,,, ( দীপক )
তাহলে শুরু করা যাক,,, ( বৃদ্ধা )
দীপক এবং বৃদ্ধা দুইজনেই খাওয়া শুরু করলো তবে দীপক ১৫টি মাছ খাওয়ার পরে আর খেতে পারছিলো না কিন্তু বৃদ্ধটি ইতিমধ্যে সব মাছ সাবাড় করে ফেলেছে,,
আপনি কি রাক্ষস?,এতো গুলো মাছ এক সাথেই খেয়ে ফেলেছেন আপনি,,,,, ( দীপক )
আচ্ছা এখন শর্তের কথা মনে আছে তো?,, যাও এখন আমার ঘরটি একটু পরিষ্কার করে দাও,,,,,, ( বৃদ্ধ )
যাচ্ছি যাচ্চি,,, পান্ডা একটু পরেই টের পাবা দীপক কি জিনিষ যখন প্রকৃতি তোমাকে বারবার ডাকিবে তখনই বুঝিবে তুমি কার পাংগা নিয়েছো,,,( দীপক )
মানে,,, ওহ্ আচ্ছা আমি বাহির থেকে একটু প্রকৃতির বাতাস উপভোগ করে আসি কেমন?,, তুমি কাজ শুরু করে দাও,,,, ( বৃদ্ধ )
বুইড়া এবার বুঝবা কত ধানে কত চাল,, হাহাহাহা,, ( দীপক )
*******
বাবা তুমি কি দীপক কে খুজে পেয়েছো???,, ( মাইশা )
মাইশা তাঁর বাবাকে প্রশ্নটি করলো, তাঁর বাবা একটু একটু আগেই বাহির থেকে এসেছে অবশ্য মাইশাই তাঁকে পাঠিয়ে ছিলো দীপককে খুঁজে আনার জন্য কিন্তু যখন সে দেখলো তাঁর বাবা আজকেও খালি হাতে ফিরে এসেছে তখন সে প্রশ্নটি করে বসলো তাঁর বাবাকে,,,
এখানে অনেক বড় সমস্যা হয়ে গেছেরে মা, হেভেন বাসিন্দারা বুঝে গেছে এই দুনিয়ায় অন্য দুনিয়ার কেউ প্রবেশ করেছে তাই তাঁকে মারার জন্য তাঁরা উঠে পরে লেগেছে, এখন আমার মনে হয় না তাঁকে আমরা খুজে পাবো,,,( মাইশার বাবা )
বাবা এখন একটি উপায় রয়েছে আমাদের হাতে দীপক কোথায় আছে তা জানার জন্য,,,, ( মাইশা )
কি সেটা?,, আর তুই কিসের কথা বলছিস?,,, ( মাইশার বাবা )
তোমার ছোট ছেলেকে ভুলে গিয়েছো,, যে কিনা নিজেকে অনেক বড় হিরো ভাবে, তাঁকেই এই কাজ দাও দেখবে সে দীপক কে ঠিকই খুজে বার করবে,,,,( মাইশা )
কথা মন্দ বলিস নিই, কিন্তু সে এখন কোথায় রয়েছে তা তো আমি জানি না,,,,
তোমরা কি আমার কথা বলছো,,,,
দরজার উপর পাশে মাথায় একটি টুপি ও কালো কোট পড়া একটি ব্যাক্তি কথাটি বললো, যার কথা শুনে মাইশা সামনে তাঁকালো, মাইশার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটি আর কেউ নয় বরং মাইশার ছোট ভাই,,,,
********
আমার সাথে ইতরামো, হ্যা, হতছাড়া,দাঁড়া তোকে আজ উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখবো,,,
এই বলে রোকটি একটি স্পেল ব্যাবহার করলো যার ফলে মাটির নিচ থেকে চারটি৷ চেইন বের হয় দীপককে বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে দিলো,,, এই স্পেলটির নাম হলো " চেইন অফ আর্থ ", এটি তাঁরাি ব্যবহার করতে পারে যারা এটিতে মাষ্টার হতে পারে, মাটি থেকে কত গুলো চেইন বের তা হোস্টের ইচ্ছের উপরে নির্ভর করে বর্তমানে কিলবিল পান্ডে চারটি চেইন বের করেছে যা দীপক কে উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখেছে আকাশে,,,
কি পান্ডা কেমন দিলাম?,,,, ( দীপক )
বাঁপের জন্মেও এতোবার হয়তো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিই নিই কিন্তু আজ সারাটা দিন ধরে আমাকে দৌড়ের উপরে থাকতে হয়েছে,,,এখন তোমার সেই জন্য শাস্তি হলো সকাল হওয়া পর্যন্ত এভাবে উল্টো হয় থাকতে হবে, আর যদি এখান থেকে পালানোর চেষ্টা করো তবে একদন নিচে গিয়ে পড়বে,,,( বৃদ্ধা )
যাও যাও তুমি গিয়ে ঘুমাও আর এই দিকে আমি শাস্তি ভুগ করি হিহিহি,,,,
দীপক কথাটি বলার সময় হালকা হেঁসে উঠলো কেননা তাঁর মাথায় অন্য কিছু চলছিলো যা বৃদ্ধাটি বুঝতে পারে নিই,,,,
বৃদ্ধাটি ঘরে প্রবেশ করে দেখলো ঘরটি সুন্দর করে সাজানো, তাঁর খাটটিও সুন্দর করে রাখা হয়েছে,, সে খুশী মনে বিছানায় গাঁ এলিয়ে দিলো তবে সেটিই বোধয় তাঁর সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো, যখন সে বিছানায় গাঁ এলিয়ে দেয় তখন বিছানার নিচে থাকা কত গুলো কাঁটা লোকটির শরীরে প্রবেশ করে যার ফলে বৃদ্ধাটি ব্যাথায় চিৎকার দিয়ে উঠে আর বাহিরে দীপক হাসতে থাকে ,,,
********
মাই কিং আমরা ৫০ জন মিলেও তাঁকে শেষ করতে পারি নাই, যখন আমরা তাঁকে সেই পাহাড়ে মারতে যাই তখন এক অজানা ব্যাক্তি আমাদের সামনে চলে আসে যে একাই আমাদের সবাইকে হারিয়ে দিয়েছিলো,,,
কে সেই ব্যাক্তি যে আমার বিরুদ্ধে কাজ করছ??,,, ( কিং )
আমি সেই ব্যাক্তির থেকে এমন এক এনার্জি অনুভব করেছি যা গত ৫০০ বছর ধরে ঘুমন্ত ছিলো,,,,
ড্রাগন কিং, সে আবারো ফিরে এসেছে তবে তাঁকে এবার চিরতরে শেষ করে দিতে হবে নাহলে ধংস হয়ে যাবে এই হেভেন,,,,,,( কিং )
কে এই ড্রাগন কিং?,,তাঁর সাথে এই হেভেনের কি সম্পর্ক?,,,
তা জানতে হলে যেতে হবে আজ থেকে ৫০০ বছর পূর্বে যখন প্রথম ড্রাগন কিংয়ের আর্বিভাব হয়েছিলো,,,আমি ছিলাম তখন এই হেভেনের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধাদের একজন, আমার নাম ছিল তখন এলবার্ট,,,,
ফ্লাশ বেক শুরু,,,,
ড্রাগন কিং তুমি যদি আমাদের বিপক্ষে গেলে তোমার সাথে কি হবে তুমি ভালো করেই জানো,,,( এলবার্ট )
আমি তোমাকে ভয় করি না,,ভয় করি না এই হেভেনকে,,, ( ড্রাগন কিং )
তবে তাহলে শুরু করি,,, ( এলবার্ট )
আমি সব কিছু সহজ করে করতে পছন্দ করি,তাই আজকে এই হেভেন সহ সবাই উরিয়ে দিবো হাহাহা,,,,( ড্রাগন কিং )
মানে?,,, ( এলবার্ট )
পিচ্ছি ছেলে কিচ্ছু বুঝে না,,, Self Destroy Mode Active,,,
তুমি জানো এটি ব্যবহার করলে তুমিও মারা যাবে,,,,
I Don't Care,রিলেজ মাই আল্টিমেট ফর্ম, রিলেজ মাই ডিফেন্স ফর্ম, রিলেজ মাই ড্রাগন এবং মাই আল্টিমেট পাওয়ার,,,,,,,, ( ড্রাগন কিং )
আপনি কি আপনার লাইফ এনার্জি দিয়ে আপনার Destroy মোড এক্টিভেট করতে চান " হ্যাঁ বা না "
ড্রাগন কিংয়ের সামনে একটি প্রজেকশন তৈরি হয় অনেকটা যেটাকে টিভির ডিসফ্লেও বলা যায়,যেখান থেকে একটি মেয়ে কথাটি বললো,,,
হ্যাঁ,,,,, ( ড্রাগন কিং )
Destroy মোড এক্টিভেট,, ৫ সেকেন্ডের মাঝে হোষ্টের শরীর ব্লাষ্ট হবে যার ফলে হোষ্ট মারাও যেতে পারে,,, 5 4 3 2 1 Self Destroy Mode Actived,,,,
ব্যাস আমার এই টুকুই মনে আছে এর পরে কোনো সৃতি আমার কাছে নেই তবে আমি এখানের কিং হওয়ার পরে একটি জিনিষ জানতে পেরেছিলাম এই হেভেন সহ এই ইউনিবার্স একটি ব্লাস্টের প্রবাহে ধংস হয়ে যায়, পরবর্তী সময় কেউ একজন এই সব কিছুকে পুনরায় ফিরে আনতে সম্ভব হয় তবে দুইটা জিনিষ সে পিরিয়ে আনতে পারে নাই একটি হলো ড্রাগন কিং এবং দ্বিতীয়টি হলো আমাদের সবার সৃতি,,,,
তবে তাহলে সে কিভাবে এখন ফিরে এসেছে?, আর কেনোই বা ছেলেটিকে বাঁচাচ্ছে আমাদের হাঁত থেকে?,,,,
হয়তো কোনো এক রহস্য জড়িয়ে আছে এই ইউনিবার্সে, নাহলে কে সেই ব্যাক্তি যে পুনরায় সবকিছু ফিরিয়ে আনতে ফেরেছে এমনকি এই মৃত ব্যাক্তিদের কেও,,,,,, ( কিং )
,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,
,,,
To Be Continued