The Power,,,,S1
লেখকঃ- Amran Hossain
পর্বঃ- ০৪
দীপকের এই দুনিয়ায় আসার একদিন শেষ হতে শুরু হলো,, বৃদ্ধ লোকটি পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে ছিলো তবে তাঁর সেই শান্তি বেশীক্ষন স্হায়ী ছিলো না, কেউ একজন কুব জোরে তাঁর ঘরের দরজায় আঘাত করতেছিলো যার ফলে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়,,,,
বৃদ্ধটি দরজা খোলার পরেই কিছু একটা এসে তাঁর শরীরের উপরে পরে তবে তাঁর ভার সইতে না পেরে বৃদ্ধাটিও নিচে পড়ে যায়,,
বৃদ্ধাটি যখন উঠে দাঁড়ালো তখন সে দেখতে ফেলো তাঁর শরীরের অন্য কিছু নয় বরং দীপক এসে পড়েছে,, দীপকের সারা শরীর থেকে এক ধরনের আলো বের হচ্ছিলো যা যা বৃদ্ধাটিকে কাঁপিয়ে দিচ্ছিলো বারবার,,,
আমার যখন ছেলেটির সাথে প্রথম দেখা হয় তখন তো তাঁর থেকে এনার্জী অনুভব করতে পারছিলাম তাহলে এখন পারতেছি না কেনো?,,,, ( বৃদ্ধাটি )
দীপকের সারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ট্যাটু তৈরি হয়েছে যার থেকে আলো গুলো বের হচ্ছে, দেখে মনে হচ্ছে কেউ একজন জলন্ত লাভা দিয়ে তাঁর শরীরে খোদাই করে ট্যাটু তৈরি করেছে,,,,
আমার তখন তাঁর সাথে এমন ব্যবহার করা ঠিক হয় নিই,, ( বৃদ্ধ লোকটি)
লোকটির মনে অনুশোচনা হচ্ছিলো দীপকের জন্য কেননা তাঁর জন্যই আজ দীপকের এই অবস্থা,, লোকটি পরম যত্নে দীপককে খাটে শুইয়ে দিলো আর তাঁর উপরে হিলিং স্পেল ব্যবহার করলো যার ফলে তাঁর শরীরে তৈরি হওয়া ক্ষত গুলো ঠিক হতে লাগলো তবে সেই ট্যাটু গুলো ঠিক হচ্ছিলো না যা লোকটিকে অনেকটাি অবাক করেছে,,, দীপকের ঘাড়ে কিছু একটা লেখা ছিলো যা ট্যাটু গুলোর মতো জ্বল জ্বল করছিলো,, লেখাটি পৃথিবীর গ্রিক ভাষায় লেখা ছিলো যার ফলে লোকটি বুঝতে পারছিলো না ঠিক সেখানে কি লেখা ছিলো তবে ছেলেটি যে সাধারন কেউ হতে পারে না তা লোকটি ভালো ভাবেই বুঝতে পারলো,,
সকালের রৌদ্র যখন দীপকের চোখে পড়লো তখন তার ঘুম ভেঙে যায় সে অনেকটা লাফিয়ে ঘুম থেকে উঠে জেনো সে কিছু একটা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে,, পাশে তাকিয়ে দেখলো পান্ডা মানে লোকটি ধ্যান করার স্টাইলে বসে আছে চোখ বন্ধ করে,,,
কি মারাটাই দিলো কালকে আর এখন দেখে মনে হচ্ছে জেনো ভাজা মাছটি উল্টে খেতে পারে না,,,, ( দীপক )
আজ থেকে তোমার ট্রেনিং শুরু হচ্ছে,, আজকে সারাদিন শুধু তোমার একটাই কাজ তোমার,, আমার ঘরের পিছনে ছোট একটি পুকুর আছে যাতে তোমাকে পানি এনে ভর্তি করতে হবে,,, ( বৃদ্ধাটি )
এ আর এমন কি,, এটি তো আমার বাম হাতের কাজ,,, ( দীপক )
হিহিহি এখানে একটি পার্থক্য আছে, তোমাকে পাহাড়ের নিচ থেকে পানি উঠিয়ে নিয়ে আসতে হবে,,, ( বৃদ্ধাটি )
কিহ্,,আমি এটি করতে পারবো না,,,, ( দীপক )
নাহলে তুমি চলে যেতে পারো এখান থেকে,,,,( বৃদ্ধাটি )
যাচ্ছি যাচ্ছি আমি পানি আনতে,,, ( দীপক )
বৃদ্ধাটি দীপকের হাতে দুইটি পাএ ধরিয়ে দিলো পানি আনার জন্য,,প্রত্যেকটি পাএে কম করে হলেও ৪০ - ৫০ কেজী পানি ধরবে আর যদি দুটো একসাথে হিসেব করা হয় তবে তা ১০০ কেজী ছাড়িয়ে যা,, দীপক ভেবেই পাচ্ছে না এতো নীচ থেকে কিভাবে সে পানি নিয়ে আসবে,,
পাহাড়ে উঠার চেয়ে নিয়ে নামা বেশী কঠিন,একবার যদি কোনো ভাবে পা পিছলে যায় তবে তাঁর আর বাঁচার চান্স নেই যদিও এখানকার আর পৃথিবীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে তবুও দীপক ভয় পাচ্ছে,,,
পাহাড়ের বুক ছিঁড়ে নেমে গিয়েছে রাস্তাটি, রাস্তাটি গোল হয় পাহাড়ের চারপাশ দিয়ে উপরে উঠে গিয়েছে যদি রাস্তাটি সোজা হতো তবে হয়তো পাহাড়েও উঠা সম্ভব হতো না,,পাহাড়ের পূর্ব পাশেই একটি নীল নদী রয়েছে যার থেকে দীপককে পানি উঠিয়ে নিয়ে আনতে হবে,,,
দীপক ওই নদী সম্পর্কে একটি আজব কথা শুনতে পেয়েছিলো বৃদ্ধাটির কাছ থেকে,এই নদীতে গোসল করলে নাকি পাওয়ার বেরে যায় সেই জন্য বৃদ্ধাটি তাঁকে পানি আনতে বলেছে,,,,
এতো কষ্ট করে যখন নদীর কাছে যাচ্ছি তখন তো আমার উচিত নদীতে নেমে দেখা সত্যি সেখানে কি আছে,,,,, ( দীপক )
দীপক মনে মনে ঠিক করে নিয়েছিলো যে সে ওই নদীতে গোসল করে আসবে কিন্তু সে তো জানে না তাঁর জন্য সেখানে কি বিপদ অপেক্ষা করতেছে,,,
এক ঘন্টা পরে,,,,,,
আহ্ অবশেষে চলেই এলাম, সারা শরীর ঘামে ভিজে গেছে এখন আগে গোসল করে নিই তাঁর পরে পানি নিবো,,,,, ( দীপক )
দীপক দূর থেকেই পাএ গুলো ফেলে একপ্রকার দৌড়ে এসে নদীতে একটি লাফ দেয় আর সে সাঁতার কাটঁতে থাকে তবে কিছুক্ষনের মাঝেই সে অন্য কিছু একটা অনুভব নিজের শরীরে তাই সে নিজের শরীরে থাকা জামাটি খুলে ফেলে আর তখনই সে দেখতে ফেলো তাঁর সারা শরীরের বিভিন্ন ধরনের ট্যাটু রয়েছে যে গুলো জ্বল জ্বল করছিলো মানে ওই গুলো থেকে আলো বিকরণ হচ্ছিলো,,,
এই গুলো কি হচ্ছে আমার শরীরে?,,, ( দীপক )
তখনই সে দেখতে ফেলো সে যেখানে এতোক্ষন দাঁড়িয়েে ছিলো সেই জায়গার চারপাশে একটি বৃত্তাকার চক্র তৈরি হয়েছে, তবে দীপক সেই চক্রটিকে দেখেই চিনতে পারলো কেননা সে যখন এই ইউনিবার্সে আসে তখন তাঁর মা উপরে যে স্পেল ব্যবহার করেছিলো তাঁর ডিজাইনও ঠিক এই রকম ছিলো,, তবে দীপক আর কিছু ভাবার আগেই সেই জায়গার চারপাশে কালো মেঘ জমা হতে থাকে, কিছুক্ষনের মাঝেই তা অন্ধকারে পরিপূর্ণ হয় যায় আর প্রচন্ড শব্দে একটি বাজ এসে পড়ে দীপকের উপরে তবে এতে জেনেও তাঁর কিছুই হয় নিই সে স্বাভাবিক ভাবে পানিতে দাঁড়িয়ে ছিলো,,বাজটি পড়ার পড়েই মেঘ গুলোও ঘায়েব হয় যায় যা দীপকের মনে ভয়ের সৃষ্টি করে তবে আরো একটি অবাক করা বিষয় হলো দীপকের আশেপাশের সমস্ত জায়গায় মাছ মরে ভেসে উঠেছে,,,,,
আজকে মনে হচ্ছে মাছ পার্টি হবে,,,, ( দীপক )
দীপক মাছ গুলোকে নিতে লাগলো তাঁর আনা সেই পাএে, দুইটি পাএই মাছ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যায়, দীপক দুইটি পাএকে দুইটি কাঁদে নিয়ে বাহুবলীর স্টাইলে হাঁটতে লাগলো তবে কিছুদূর যাওয়ার পরেই তাঁর বাহুবলী হওয়া গায়েব হয়ে গেলো,,,৷
আমি মনে হয় পারবো না এতো উপরে উঠতে,,,, ( দীপক )
********
মাই কিং আমি তাঁর উপরে হেভেনের সবথেকে শক্তিশালী থান্ডার স্টাইক প্রয়োগ করেছি যে থান্ডার থেকে স্বয়ং ডিম্যান কিংও বাঁচতে পারে নাই সেখানে এই তুচ্ছ বালক কিভাবে বেঁচে গেলো?,,,,,
সেই বালক তুচ্ছ কেউ হতে পারে না, সে ভবিষ্যতে আমাদেরও ধংস করে দিতে পারে তাই তাঁকে এখনই শেষ করে দাও,,,,,,
,,,,,,,,,
,,,,
,,To Be Continued