The Power,,,, S1
লেখকঃ- Amran Hossain
পর্বঃ- ০৩
প্রত্যেকটি ইউনিবার্স একটি থেকে অন্যটি ভিন্ন ভাবে তৈরি,,দীপক এখন যে ইউনিবার্সে যাচ্ছিলো তা সম্পর্ণ রুপে আমাদের ইউনিবার্সেরই একটি কপি ছিলো যাকে আমরা প্যারালাল ইউনিভার্সও বলতে পারি তবে সেখানে একটি পার্থক্য ছিলো আর তা হলো পাওয়ার,, সেখানের থাকা সমস্ত মানুষই পাওয়ার ব্যবহার করতে পারে যা তাঁদেরকে শক্তিশালী করে তুলে তবে তাঁদেরও একটা দুর্বলতা আছে আর তা হলো বুদ্ধি,,,
তাঁদের মধ্যে যারা বুদ্ধিমান ব্যাক্তি একমাএ তারাই টিকে থাকতে পেরেছে,,,
কে তুমি এখানে কেনো এসেছো?,,,,
দীপক কে একটি লোক প্রশ্নটি করলো যখন সে নতুন ইউনিবার্সে প্রবেশ করতে যাবে ঠিক তখন, তবে লোকটি সাধারন কেউ নয়, সে একজন টাইম গার্ডিয়ান যে এই ইউনিবার্সের সময়কে নিয়ন্ত্রণ করে,গার্ডিয়ানটির সারা শরীর একটি কালো এনার্জি চারোদিক থেকে ঘিরে রেখেছে যার ফলে তাঁর শরীরের সাইজ বুঝতে সমস্যা হচ্ছে দীপকের, তাছাড়াও তাঁর মাথায় ছোট দুইটি সিং এবং দুটো চোখ সবুজ রংয়ের,, বুকে একটি সবুজ বৃত্তকার এনার্জি জমা হচ্ছে যা দীপকের কাছে টাইম পাওয়ার মনে হচ্ছে,,,,,
তুমি এই ইউনিবার্সে প্রবেশ করতে পারবে না কেননা তুমি এখানে অনেক আগেই মারা গেছো,,,, ( গার্ডিয়ান )
কিন্তু আমি তো জীবিত আছি,,, ( দীপক )
তুমি টাইম সম্পর্কে কিছুই জানো না,, যদি তুমি জানতে এই ইউনিবার্সে কখনোই প্রবেশ করতে চাইতে না,,,, ( গার্ডিয়ান )
কি জানি না আমি?,,,,, ( দীপক )
প্রত্যক ইউনিবার্সেই সময় ভিন্ন ভাবে চলে, এখন তুমি এই জায়গায় অবস্থান করতেছো ঠিক এই সময় তোমার অন্য একটি ব্যারিয়েন্ট অন্য একটি জায়গায় থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে অন্য কোনো জায়গায় যাওয়ার জন্য আবার কেউ কেউ মৃত,,তবে অনেকেই সাধারন জীবন যাপন করতেছে কিন্তু এখন তুমি যা করতে চাচ্ছো তা খুবই ভয়ংকর হতে চলেছে তুমি নিজেই জানো না তোমার শএু কে আমি তোমাকে আটকাতে পারবো না কেননা টাইম নিজের মতো চলতেছে আমার শুধু তোমাকে সাবধান করার ছিলো,,,( গার্ডিয়ান )
এই কথা বলার পরেই গার্ডিয়ানের পিছনে একটি সবুজ ব্লাক হোল তৈরি হয় যা গার্ডিয়ানকে তাঁর ভিতরে নিয়ে যায়,, গার্ডিয়ান যাওয়ার পরেই দীপকের উপরে ব্যবহার করা টেলিপোর্টেশন স্পেল আবারো কাজ করা শুরু করেছে তবে দীপক এবার দ্বিগুণ গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে আসতেছে,,,,
*********
কিরে মাইশা তুই এতোদিন কথায় চিলি?,,,,
এতোদিন একজনকে পাহারা দিচ্ছিলাম তবে সে এবার ফিরে আসতেছে তাঁর মাতৃভূমিতে,,,,,( মাইশা )
কে ফিরে আসতেছে?,,,..
তুই কি তাঁকে ভুলে গেলি,, এলেক্স ফিরে আসতেছে আবারো তবে এবার সে নিজের ডেস্টিনি পূরণ করেই ছাড়বে,,,,, ( মাইশা )
কিন্তু এলেক্স তো
আমি জানি তোকে বলতে হবে না,,,, ( মাইশা )
আরে দেখতো একটি ফ্যালেন স্টার,, তাড়াতাড়ি চল একটি উইশ চেয়ে নিই,,,
এটি কোনো স্টার নয়,, এটিই আমার এলেক্স, এবার কেউ বাঁচবে না হাহাহা,,,, ( মাইশা )
মাইশা কথাটি মনে মনেই বললো,আর সে নিজেই মুচকি মুচকি হাসি দিতে লাগলো,,,,
********
আমি অনেক স্পিডে নিচে পড়তেছি যা থামানো দরকার নাহলে আমার শরীরের সব হাড্ডি মাংস এক হয়ে যাবে,, তবে কিভাবে কমানো যেতে পারে এই স্পিড,, দীপক এতোক্ষন যাবত এই গুলোই ভেবে যাচ্ছিলো আর নীচে পড়তেছিলো,, যেহেতু দীপক আগে কোনোদিন এই জায়গায় আসে নাই তাই তাঁর উপরে টেলিপোর্টেশন স্পেল ঠিক ভাবে কাজ করে নাই যার ফলে সে এখন খুব স্পিডে নিচে পড়তে ছিলো,, আর একটু হলেই সে মাটি স্পর্শ করবে কিন্তু মাটিতে পড়ার আগেই কেউ একজন তাঁকে ধরে ফেলে আর মাটিতে একটি আছাড় মারে,,,,
ওমারে আমার কোমড় গেলোরে, যখন আমাকে মারারই শক ছিলো তাহলে বাঁচালেন কেনো?,,,,( দীপক )
আমি তোমাকে কখন বাঁচালাম তুমি আমার রাস্তায় এসেছো তাই তোমাকে আমি শরীরে দিলাম,,,,,,
দীপক কে একটি বৃদ্ধ লোক বাঁচিয়ে ছিলো তবে সবচেয়ে আশ্চর্য জনক কথা হলো লোকটি তাঁর হাতে থাকা একটি লাঠির উপরে ভর দিয়ে হাঁটতে ছিলো,,
আচ্ছা আমি এই জায়গায় নতুন এসেছি, এখানে কি কোনো থাকার জায়গা রয়েছে???,,,,( দীপক )
তুমি আমার সাথে থাকতে পারো তবে একটি শর্ত আছে,,, ( বৃদ্ধ লোকটি )
কি শর্ত,, ভ্রু কুঁচকে,,,, ( দীপক )
আমার সব কাজ তোমাকে করতে হবে, বিনিময় আমি তোমাকে পাওয়ার ব্যবহার করা শিখাবো,,,, রাজি থাকলে আসতে পারো,,, ( বৃদ্ধ লোকটি )
বর্তমানে আমি এই জায়গায় নতুন, এখানে আমার পরিচিত কেউ নেই তাই আমাকে লোকটির সাথেই যেতে হবে তাছাড়া লোকটি তো আমাকে পাওয়ার ব্যবহার করাও শিখাবে বলছে,,,
দীপক মনে মনে কথা গুলো বলছিলো আর বৃদ্ধ লোকটিকে অনুসরন করে হেঁটে যাচ্ছিলো,,,,
২ ঘন্টা পরে,,,,,
আমি আর হাঁটতে পারবো না,, দুই ঘন্টা যাবত শুধু হেঁটেই যাচ্ছি তো যাচ্ছি,,,
এই বলে দীপক একটি গাছের নিচে বসে পড়লো, প্রায় দুই ঘন্টা যাবত সে আর বৃদ্ধ লোকটি একটি পাহাড়ী রাস্তা ধরে পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে ছিলো তবে দীপকের পাহাড়ে উঠার পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার কারনে সে হাঁপিয়ে উঠেছে এতোক্ষন হাঁটার ফলে তবে বৃদ্ধ লোকটি দিব্বি হেঁটে চলেছে যেনো তাঁর জন্য এসব কিছুই না,,,
এই বুইড়া তো দেখি আমাকে ফেলেই চলে যাবে,,,, ( দীপক )
দীপক উঠে আবারো বৃদ্ধ লোকটিকে অনুসরন করে হেঁটে চলেছে,,,
******
কোনো এক অজানা জায়গায়,,,,
বাবা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দীপক কে খুজে বের করো, যদি সে ওদের হাতে ধরা পড়ে যায় তবে তাঁকে আমরা কেউই বাঁচাতে পারবো না,,,,,,
মাইশা কথা গুলো তাঁর বাবাকে বলছিলো, এই রাজ্যে এখন কিছুই ঠিক ভাবে চলছে না অবশ্য তাঁরও কিছু কারন রয়েছে আর তা হলো এখানকার কুইনের জন্য,, যিনি আজ থেকে অনেক বছর পূর্বে হারিয়ে গিয়েছিলেন তবে কালকে রাতে তিনি হঠাৎ করে ফিরে এসেছেন আর এসেই রাজ্যের সমস্ত ক্ষমতা তাঁর হাতে নিয়ে নেয় যার ফলে রাস্তে একটি অস্থিরতা কাজ করছে,,,,
আমি যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁকে খুজে বের করার চেষ্টা করতেছি, তুই চিন্তা করিছ না,,,, ( মাইশার বাবা )
******
অবশেষে পৌঁছাতে পেরেছি বৃদ্ধ লোকটির গন্তব্যে, কে জানে এই লোকটির মাথায় কখন কি চলে কি ধরকার ছিলো তাঁর এই বয়সে পাহাড়ের চূড়ায় ঘর তৈরি করার,,,আমি তো এসেই শুয়ে পেরেছি তবে তা বোধহয় লোকটির সহ্য হলো না লোকটি এসেই আমার শরীরে পানি ঠেলে দিলো,,,
আপনি আমার শরীরে পানি মারলেন কেনো?,,,,( দীপক )
তুমি ঘুমালে আমার ঘরের কাজ কে করবে,, দেখি এখন আমার পা একটু মালিশ করে দাও তো,ওহ্ তোমাকে তো আমার পরিচয় দেওয়াই হলো না আমার নাম হলো কিলবিল পান্ডে,,,( বৃদ্ধ লোকটি )
হাহাহা এটি কোনো নাম হলো, আমি তো আপনাকে পান্ডা বলেই ডাকবো,,,,( দীপক )
দীপক আর সেই জায়গায় ছিলো না সে দূরে একটি গাছের সাথে ভারি খেয়ে নিচে পড়ে গিয়েছে,দীপক নিজের কথা শেষ করার আগেই তাঁর মুখে কয়েকটি পান্স পড়ে যার ফলে সে দূরে গিয়ে পড়ে সে সাথে বোনাস হিসেবে একটি গাছের সাথেও ভারী খেয়েছে যার ফলে তাঁর পিঠ ছিড়ে রক্ত বের হচ্ছিলো,,,,
আমি তো পান্ডাই বলবো,,,,( দীপক )
লোকটি এবার আরো ক্ষেপে গেলো বোধহয় তাই লোকটি নিজের ফুল স্পিড ব্যবহার করা এসে দীপককে একটি রাউন্ড কিক্ দেয়,, লোকটির স্পিডের কারনে দীপক লোকটি দেখতে পায় নাই তবে সে অনুভব করতেছে তাঁর বুকের ডান পাশের হাড় ভেঙে গেছে,, তাঁর মুখ থেকে রক্তক্ষরনও হচ্ছিলো,,,
আর আমাকে পান্ডা বলবে?,,, ( পান্ডে )
দীপক রক্তাক্ত চেহেরা নিয়ে আবারো লোকটিকে পান্ডা বললো যার ফলে লোকটি এবার তাঁর দুই হাত দিয়ে একের পর এক পান্স মারতে লাগলো দীপকের মুখে যার ফলে দীপকের মুখের বিভিন্ন অংশের চামড়া ছিঁড়ে গিয়েছে যেখান থেকে রক্তক্ষরন হচ্ছিলো,, লোকটি এবার দীপককে ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো এবং ঘরের দিকে যেতে লাগলো তবে কি মনে করে আবারো পিছনে তাঁকালো তবে সে তখন দেখতে ফেলো দীপক উঠে বসে নিজের রক্ত দিয়ে মাটিতে লেখেছে পান্ডা যার ফলে লোকটি এবার নিজের রাগকে কন্টোল না করতে পেরে একটি স্পেল ব্যবহার করলো,,,
" দ্যা রাউন্ড ড্রাগন কিক্ ",, স্পেলটি ব্যবহার করার পরে লোকটির পিছনে চারটি ড্রাগনের প্রজেকশন তৈরি হলো, তবে তা দেখতে বাস্তব ড্রাগনের মতোই ছিলো যা এসে দীপক কে আঘাত করে একটির পরে একটি,, দীপক অনেক দূরে গিয়ে একটি গুহার মাঝে পড়ে যায় তবে পাথরের সাথে তাঁর মাথায় আঘাত লাগার ফলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়,, দীপক যেই পাথরে আঘাত খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সেই পাথরের অন্যপাশে একটি পানির স্রোত বেয়ে যাচ্ছিলো, তবে আশ্চর্য জনক হলো পানি গুলো মাটিকে স্পর্শ করছে না,, গুহার উপর থেকে একটি পাথর এসে সেই পানির স্রোতের রাস্তাকে বন্ধ করে দেয় আর পানি গুলো সেখানেই জমা হতে থাকে,,,,,,,
,,,,,,,,,,
,,,,,,,
,,,
To Be Continued