Notification texts go here Contact Us Buy Now!

The power episode 02

 The Power,,, S1 

লেখকঃ--Amran Hossain 

পর্বঃ- ০২


এই দুনিয়ায় যার কাছে যতো বেশী টাকা রয়েছে সে সব থেকে বেশী ক্ষমতাবান, তাঁরা ধনী ব্যাক্তি কিন্তু যারা গরীব তাঁরা কি মানুষ না শুধু ধনীরাই কি মানুষ নিশ্চয়ই না, যদি সমাজের দেওয়া এই টাইটেল আমরা ছুড়ে ফেলে দিই তবে সব শেষে আমরা সবাই মানুষ,, 


ঠিক এই রকম অন্য একটি দুনিয়া রয়েছে যেখানে সবাই টাকার নয় শক্তির পাগল, আমরা যেটাকে প্যারালাল ইউনিভার্স বলে থাকি,প্রত্যেকটি ইউনিবার্সেই একটি অদৃশ্য ব্যারিয়ার রয়েছে যা একটি ইউনিবার্স থেকে অন্য একটি ইউনিবার্সকে আলাদা করে,,তবে সাদা রংয়ের একটি এনার্জি সেই ব্যারিয়ার ভেদ করে চলে আসে আমাদের এই পৃথিবীতে, যা এসেই দীপকের শরীরে প্রবেশ করে,,, 


দীপকের মা দীপককে একটি ওয়ান টাইম টেলিপোর্টেশন ডিভাইসের মাধ্যমে অন্য একটি জায়গায় নিয়ে আসে, তবে এই ডিভাইসকে চালানোর জন্য কিছু মানা এনার্জির প্রয়োজন হয় যা দীপকের মায়ের ছিলো না একজন মানুষ হওয়ার ফলে,, কিন্তু নিজের সন্তানকে বাঁচানোর জন্য সে দমে যায় নিই সে নিজের লাইফ এনার্জি ব্যবহার করে ডিভাইস টিকে চালু করে দেয় যার ফলে সে দীপক নিয়ে সেই জায়গা থেকে আসতে পারে,,,, 


এই মেশিনটি এমন ভাবে তৈরি যে এটি যেকোনো এনার্জিকে তাঁর নিজের মন মতো পরিবর্তন করে ব্যবহার করতে পারে যার ফলে লাইফ এনার্জি দিয়েও ডিভাইসটি চালু করা সম্ভব হয়েছিলো,, ডিভাইসটি দেখতে অনেকটা আমাতের মোবাইলের মতো যার ধারা বুঝা যাচ্ছে এটি যে তৈরি করেছে সে যথেষ্ট জ্ঞানীই হবে,,, 


আসলে দীপকের মা ওই সাদা এনার্জিটি আসার একটি সংকেত পেয়ে যায় যার ফলে সে দীপক কে নিয়ে একটি বনের মধ্যে চলে আসে,, তবে এখানে আসার পরেই তিনি অজ্ঞান হয়ে যায় কেননা এই ডিভাইসকে অন করার জন্য অনেক এনার্জির প্রয়োজন ছিলো যা তাঁর লাইফ এনার্জিকে অনেকটাই শেষ করে দিয়েছে হয়তো তিনি আর বেশীক্ষন বাঁচতে পারবেন না,,, 


*******

যখন আমার জ্ঞান ফিরে তখন আমি নিজেকে নিজের বাড়িতেই পাই, তবে আমার স্পষ্ট খেয়াল আছে আমি নিজের মরন যন্ত্রণা খুব কাছ থেকে উপভোগ করেছি, এখনো আমার সারা শরীর কাপঁতেছে আমার মনে হয় এখনো ভোল্টেজ কমে নিই হাহাহা,, 


এই রকম একটি অবস্থায়ও আমি হাসঁতেছি, এখন কেউ দেখলে নিশ্চয়ই আমাকে পাগল বলবে,,,,,( দীপক ) 


আমার ছেলেকে পাগল বলবে এতোটা সাহস কার শুনি তো আমি,,,( মা ) 


আমার এই রকম একটি মায়াবীনী মা থাকতে কে আমাকে পাগল বলবে শুনি তো আমি একটু,,,, ( দীপক ) 


আচ্ছা শুন না তোর সাথে আমার একটু কথা ছিলো,,, ( মা ) 


কি কথা?,,,( দীপক ) 


তোকে একটি জায়গায় যেতে হবে যেখানে তোর বাবা তোর অপেক্ষায় আছে,, ( মা ) 


না আমি ওই ব্যাক্তির কাছে কখনোই যাবো না, যে ব্যাক্তিকে আমি আজ পর্যন্ত দেখিই নাই তাকে কিভাবে আমি বাবা বলে মেনে নিবো?,,,, ( দীপক ) 


শুন বাবা এই পৃথিবী টাকার গোলাম আর তোকে যে জায়গায় যেতে হবে তা শক্তির গোলাম, তোকে একদিন অনেক শক্তিশালী হতে হবে, শক্তিশালী হয় একদিন তোর মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবি, সবাইকে দেখিয়ে দিবি তোর মা কোনো ভুল করে নাই,তুই কি আমার এই কথাটি রাখবি না,,,,( মা ) 


মা আমি কি আজ পর্যন্ত তোমার কোনো কথার অমান্য করেছি,,,তুমি দেখো এটিও অমান্য করবো না,,, ( দীপক ) 


যতদিন না পর্যন্ত তুই নিজের আসল পরিচয় খুজে পাবি না ততদিন পর্যন্ত তোর আসল পাওয়ার সবার সামনে নিয়ে আসবি না আমাকে কথা দেয়,,, ( মা ) 


তোমাকে আমি কথা দিলাম,,, ( দীপক ) 


" রির্টান দ্যা ট্রু পাওয়ার টু হিজ অরিজন " 

এটি এমন একটি স্পেল যা ইন্টারগেলাক্টিক টেলিপোর্টেশন ব্যবহার করার জন্য ব্যবহার করা হয় তবে এটি সাধারন ব্যাক্তিদের জন্য উন্মুক্ত নয় এটি তাঁরাই ব্যবহার করতে পারে যারা এটির ব্যবহার করার অনুমতি পেয়েছে,, দীপকের মায়ের পিছনে একটি সোনালী ড্রাগনের আবছা তৈরি হয়েছিলো যা গিয়ে দীপকের বুকে আঘাত করে আর দীপক তখনই সেখান থেকে ঘায়েব হয়ে যায়,, 


আমাদের আর কখনোই দেখা হবে না দীপক,, যদি আমাদের আবারো দেখা হয় তবে আমাকে পাবে এক নতুন রুপে যা তুমি কখনোই আশা করো নাই,,,, ( মা ) 


এই কথা বলেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কেননা তিনি ইন্টারগেলাক্টিক স্পেলটি পড়ার জন্য নিজের শেষ লাইফ এনার্জি টুকুও ব্যবহার করে পেলেছেন তাই তিনি কিছুক্ষনের মধ্যেই মাটিতে পড়ে যান তবে তাঁর শেষ মূহুর্তে সেখানে একটি লোক উপস্থিত হয় যাকে দেখে তাঁর মুখে একটি হাসি ফুটে উঠে,,, 


আমি জানতাম তুমি অবশ্যই আসবে,,,,, ( মা ) 


*******

একটি টেলিপোর্টেশন স্পেল ব্যবহার করা হয় নিদিষ্ট একটি জায়গার মধ্যে জুরুরি প্রয়োজনে, সাধারন টেলিপোর্টেশন স্পেল ব্যবহার করা রাজ্যে বিভিন্ন কাজে, মিডিয়াম সাপেল ব্যবহার করা হয় এক রাজ্য হতে অন্য রাজ্যে যাওয়ার জন্য এবং সবশেষে রয়েছে ইন্টারগেলাক্টিক টেলিপোর্টেশন স্পেল যার কোনো লিমিট নেই, দীপকের মা তাঁর উপরে হাই লেভেলের টেলিপোর্টেশন স্পেল ব্যবহার করেছে যার ফলে সে আলোর স্পিডে অন্য একটি ইউনিবার্সের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যেখানে রয়েছে পৃথিবীর মতোই দেখতে একটা জায়গা আর সেখানেই রয়েছে তাঁর বাবা,,, 


দীপক ছোটবেলা থেকেই তাঁর মায়ের এসব ম্যাজিক দেখে অবস্ত তবে এই ব্যাপার কখনোই সে দুনিয়ার জন্য উন্মুক্ত করে নিই, সে জানতো তাঁর একজন সাধারন ম্যাজিশিয়ান তবে তাঁর ধারনাই ছিলো না তিনি এতো শক্তিশালী,,, দীপকের সারা শরীর এক প্রকার সাদা আলোয় ডেকে আছে চারদিক থেকে,,, 


কোটি কোটি গ্রহ,নক্ষএ মিলে তৈরি একটি গ্যালাক্সি আবার অনেক গুলো গ্যালাক্সি মিলে তৈরি হয় একটি ইউনিবার্স,, এখানেই শেষ নয় কোটি কোটি ইউনিবার্স মিলে তৈরি হয় অমনিবার্স আবার কোটি কোটি অমনিবার্স নিয়ে তৈরি ইনফিনিটি তাঁর পরেই লুকিয়ে আছে সমস্ত রহস্য,,, 


দীপকের যাএাটি ছিলো একটি ভিন্ন ইউনিবার্সের দিকে যার ফলে তাঁর সেখানে পৌছাতেও তো সময় লাগবে,,, 


বরং সে পৌছে যাক আর আজকে পর্বটা এখানেই শেষ করে দিই 😁😁😁😁,,,


,,,,,,,,,,,,


,,,,,,,


,,,


,,


To Be Continued

Getting Info...

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.